রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ পদে গৌতম গম্ভীর নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে আলোচনা চলছিল অনেক আগে থেকেই। গত মাসে বার্বাডোজে টি-২০ বিশ^কাপ শিরোপা ঘরে তোলার পর রাহুল দ্রাবিড় ভারতের প্রধান কোচের পদ ছেড়ে দিলে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গম্ভীর। গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে গম্ভীরকে কোচ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
এইি পদে যোগ দিতে পারাকে অনেক বড় সম্মানের বলে উল্লেখ করেছেন নবনিযুক্ত ভারতীয় কোচ।
তিনি বলেন, খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতের জার্সি গায়ে দিতে পারাটা সব সময় আমাকে গর্বিত করেছে এবং কোচ হিসেবে নতুন ভূমিকাতেও কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
গম্ভীরকে ‘লড়াকু প্রতিযোগী এবং দুর্দান্ত কৌশলবিদ’ বলে অভিহিত করে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, সর্বসম্মতিভাবে প্রধান কোচ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে গম্ভীরকে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস প্রধান কোচ হিসেবে একই রকম মানসিকতা এবং নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনবেন গম্ভীর।
একমাত্র ভারতীয় ও বিশে^র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি রেকর্ড আছে গম্ভীরের। এই তালিকায় অন্য তিন ব্যাটার হলেন- অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ।
শাহ বলেন, আধুনিক ক্রিকেট খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে এবং খুব কাছ থেকে পরিবর্তন দেখেছেন গম্ভীর।
২০০৭ সালে টি-২০ এবং ২০১১ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন গম্ভীর। সর্বশেষ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন কোলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন গম্ভীর। ২০০৩ সালে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেকের পর ভারতের হয়ে ১৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি ।
অবসর নেয়ার পর ধারাভাষ্যে যোগ দেন গম্ভীর। এরপর রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন আইন প্রণেতা ছিলেন তিনি।
আইপিএলের দল কোলকাতায় যোগ দেয়ার জন্য গত মার্চ মাসে রাজনীতি ছাড়েন গম্ভীর। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে কোলকাতাকে আইপিএলের শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সদ্য টি-২০ বিশ^কাপের শিরোপা জয় করা আত্মবিশ^াসী ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন গম্ভীর।
বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি বলেছেন, গম্ভীরের কোচ হওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়। তার অভিজ্ঞতা, দায়বদ্ধতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদর্শ।
প্রধান কোচের নতুন দায়িত্ব নিয়ে গম্ভীর বলেন, ভারত আমার পরিচয় এবং দেশের সেবা করার সুযোগ পাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। ভিন্ন দায়িত্বে হলেও জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। সব সময়ের মতো আমার লক্ষ্য থাকবে, প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করা। ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন নীল জার্সিধারীদের কাঁধে এবং এই স্বপ্নগুলো সত্যি করার জন্য আমার ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করবো।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষ দিকে শ্রীলংকা সফর দিয়ে ভারতের কোচ হিসেবে পথচলা শুরু করবেন গম্ভীর।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ পদে গৌতম গম্ভীর নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে আলোচনা চলছিল অনেক আগে থেকেই। গত মাসে বার্বাডোজে টি-২০ বিশ^কাপ শিরোপা ঘরে তোলার পর রাহুল দ্রাবিড় ভারতের প্রধান কোচের পদ ছেড়ে দিলে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গম্ভীর। গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে গম্ভীরকে কোচ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
এইি পদে যোগ দিতে পারাকে অনেক বড় সম্মানের বলে উল্লেখ করেছেন নবনিযুক্ত ভারতীয় কোচ।
তিনি বলেন, খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতের জার্সি গায়ে দিতে পারাটা সব সময় আমাকে গর্বিত করেছে এবং কোচ হিসেবে নতুন ভূমিকাতেও কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
গম্ভীরকে ‘লড়াকু প্রতিযোগী এবং দুর্দান্ত কৌশলবিদ’ বলে অভিহিত করে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, সর্বসম্মতিভাবে প্রধান কোচ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে গম্ভীরকে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস প্রধান কোচ হিসেবে একই রকম মানসিকতা এবং নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনবেন গম্ভীর।
একমাত্র ভারতীয় ও বিশে^র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি রেকর্ড আছে গম্ভীরের। এই তালিকায় অন্য তিন ব্যাটার হলেন- অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ।
শাহ বলেন, আধুনিক ক্রিকেট খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে এবং খুব কাছ থেকে পরিবর্তন দেখেছেন গম্ভীর।
২০০৭ সালে টি-২০ এবং ২০১১ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন গম্ভীর। সর্বশেষ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন কোলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন গম্ভীর। ২০০৩ সালে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেকের পর ভারতের হয়ে ১৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি ।
অবসর নেয়ার পর ধারাভাষ্যে যোগ দেন গম্ভীর। এরপর রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন আইন প্রণেতা ছিলেন তিনি।
আইপিএলের দল কোলকাতায় যোগ দেয়ার জন্য গত মার্চ মাসে রাজনীতি ছাড়েন গম্ভীর। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে কোলকাতাকে আইপিএলের শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সদ্য টি-২০ বিশ^কাপের শিরোপা জয় করা আত্মবিশ^াসী ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন গম্ভীর।
বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি বলেছেন, গম্ভীরের কোচ হওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়। তার অভিজ্ঞতা, দায়বদ্ধতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদর্শ।
প্রধান কোচের নতুন দায়িত্ব নিয়ে গম্ভীর বলেন, ভারত আমার পরিচয় এবং দেশের সেবা করার সুযোগ পাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। ভিন্ন দায়িত্বে হলেও জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। সব সময়ের মতো আমার লক্ষ্য থাকবে, প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করা। ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন নীল জার্সিধারীদের কাঁধে এবং এই স্বপ্নগুলো সত্যি করার জন্য আমার ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করবো।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষ দিকে শ্রীলংকা সফর দিয়ে ভারতের কোচ হিসেবে পথচলা শুরু করবেন গম্ভীর।