একজন পছন্দের খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর জন্য যেন আলাদীনের চেরাগ নিয়ে হাজির হয় প্রতিদ্বন্ধী ক্লাবগুলো। ব্যয়ের দিক দিয়ে একজন কোচ ছাড়িয়ে যান অন্যদের।
টাকাই ফুটবলে সফলতা এবং ব্যর্থতা নির্ণয় করে দেয়। নতুন কোন ক্লাবে একজন পছন্দের খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করার সাথে, সাথে বিলাসবহুল রিসোর্ট, বাড়ি, গাড়ি পারসোনাল জেট এবং সাইনিং বোনাস — কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ তো আছেই। যা সাধারণের কল্পনাকেও ছাপিয়ে যায়।এবং তা প্রতি মৌসুমে বিরাজমান। যার সাথে ক্লাব গুলোর সফলতা,ব্যর্থতা ও জড়িয়ে আছে।
টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ জয়ী এবং ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ম্যানচেস্টার সিটির সাফল্যের পিছনে মূলমন্ত্র অর্থ — সবাই তাই মনে করে। যদিও পিএসজি সেখানে ব্যর্থ।
কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ, নেইমার,এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি — সময়ের সবচেয়ে বড় ত্রিফলা তারকার সমীকরণ ঘটিয়েও তারা সে অর্থে ইউরোপে সফলতা পায়নি। কিন্তু দলগুলোর টাকা ওড়ানোতে সবসময় প্রতিযোগীতা চলছেই।
পেপ গার্দিওলা, জোসে মরিনিও, কার্লো আনচেলত্তি এক্ষেত্রে সবার চেয়ে বেশি এগিয়ে। বড় তারকাদের দলে ভিড়িয়ে ট্রফি নিশ্চিত করতে চায় তারা। এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় ওপেন সিক্রেট। তারা নিয়মের কারনে প্রকাশ্যের চেয়ে চুক্তির বাইরে গিয়েও গোপনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন বলে গুঞ্জন আছে ।
দুই মৌসুম আগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আলিং হালান্ড এবং কয়েক মৌসুম আগে সেই সময়কার সবচেয়ে বড় দলবদলের রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নেইমারকে দলে ভেড়াতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের।
কিছু কিছু ক্লাব আবার বিপরীতমুখী। তারা ছোট তারকা কিনে, বড় তারকায় পরিনত করেন। এক্ষেত্রে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ এডিন টারজিক এবং আলোচিত কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ সবার ওপরে। ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালও খেলোয়াড় কেনার চেয়ে তৈরিতে বেশি মনোযোগী। আর্লিং হালান্ড, জুড বেলিংহাম, মোহাম্মদ সালাহ সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং এখন ম্যানচেস্টার সিটিতে কোচিং করানো পেপ গার্দিওলা অর্থ খরচ করে সফলতা, ট্রফি জিতানোয় সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ৩৯ টি ট্রফি জিততে তার ক্যারিয়ারে খরচ করেছেন রেকর্ড ২০৬ কোটি ইউরো। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার সমান।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসিতে কোচিং করানো স্পেশাল ওয়ান খ্যাত জোসে মরিনিও ক্যারিয়ারে ২৬ টি ট্রফি জিততে খরচ করেছেন ১৯১কোটি ইউরো। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও কম যাননা, ২৯ টি ট্রফি জিততে খরচ করিয়েছেন ১৭৯ কোটি ইউরো।
দলবদলে বেশি খরুচে ১০ কোচ
পেপ গার্দিওলা ট্রফি সংখ্যা ৩৯ টি, ২০৬ কোটি ইউরো।
হোসে মরিনিও ট্রফি সংখ্যা ২৬টি, ১৯১ কোটি ইউরো।
কার্লো আনচেলত্তি ট্রফি সংখ্যা, ২৯টি ১৭৯ কোটি ইউরো। ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রি ট্রফি ১৫টি, ১৪২ কোটি ইউরো।
দিয়েগো সিমিওনে ১০ ট্রফি, ১৪২ কোটি ইউরো।
আন্তোনিও কন্তে ৮ ট্রফি, ১৩৩ কোটি ইউরো।
ম্যানুয়াল পেলেগ্রিনি ট্রফি ৯টি, ১২৫ কোটি ইউরো।
টমাস টুখেল ১৩ ট্রফি, ১২৫ কোটি ইউরো।
উনাই এমেরি ১১ ট্রফি, ১২৩ কোটি ইউরো।
মরিসিও পচেওিনো ৩ ট্রফি, ১১৫ কোটি ইউরো।
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
একজন পছন্দের খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর জন্য যেন আলাদীনের চেরাগ নিয়ে হাজির হয় প্রতিদ্বন্ধী ক্লাবগুলো। ব্যয়ের দিক দিয়ে একজন কোচ ছাড়িয়ে যান অন্যদের।
টাকাই ফুটবলে সফলতা এবং ব্যর্থতা নির্ণয় করে দেয়। নতুন কোন ক্লাবে একজন পছন্দের খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করার সাথে, সাথে বিলাসবহুল রিসোর্ট, বাড়ি, গাড়ি পারসোনাল জেট এবং সাইনিং বোনাস — কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ তো আছেই। যা সাধারণের কল্পনাকেও ছাপিয়ে যায়।এবং তা প্রতি মৌসুমে বিরাজমান। যার সাথে ক্লাব গুলোর সফলতা,ব্যর্থতা ও জড়িয়ে আছে।
টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ জয়ী এবং ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ম্যানচেস্টার সিটির সাফল্যের পিছনে মূলমন্ত্র অর্থ — সবাই তাই মনে করে। যদিও পিএসজি সেখানে ব্যর্থ।
কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ, নেইমার,এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি — সময়ের সবচেয়ে বড় ত্রিফলা তারকার সমীকরণ ঘটিয়েও তারা সে অর্থে ইউরোপে সফলতা পায়নি। কিন্তু দলগুলোর টাকা ওড়ানোতে সবসময় প্রতিযোগীতা চলছেই।
পেপ গার্দিওলা, জোসে মরিনিও, কার্লো আনচেলত্তি এক্ষেত্রে সবার চেয়ে বেশি এগিয়ে। বড় তারকাদের দলে ভিড়িয়ে ট্রফি নিশ্চিত করতে চায় তারা। এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় ওপেন সিক্রেট। তারা নিয়মের কারনে প্রকাশ্যের চেয়ে চুক্তির বাইরে গিয়েও গোপনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন বলে গুঞ্জন আছে ।
দুই মৌসুম আগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আলিং হালান্ড এবং কয়েক মৌসুম আগে সেই সময়কার সবচেয়ে বড় দলবদলের রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নেইমারকে দলে ভেড়াতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের।
কিছু কিছু ক্লাব আবার বিপরীতমুখী। তারা ছোট তারকা কিনে, বড় তারকায় পরিনত করেন। এক্ষেত্রে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ এডিন টারজিক এবং আলোচিত কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ সবার ওপরে। ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালও খেলোয়াড় কেনার চেয়ে তৈরিতে বেশি মনোযোগী। আর্লিং হালান্ড, জুড বেলিংহাম, মোহাম্মদ সালাহ সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং এখন ম্যানচেস্টার সিটিতে কোচিং করানো পেপ গার্দিওলা অর্থ খরচ করে সফলতা, ট্রফি জিতানোয় সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ৩৯ টি ট্রফি জিততে তার ক্যারিয়ারে খরচ করেছেন রেকর্ড ২০৬ কোটি ইউরো। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার সমান।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসিতে কোচিং করানো স্পেশাল ওয়ান খ্যাত জোসে মরিনিও ক্যারিয়ারে ২৬ টি ট্রফি জিততে খরচ করেছেন ১৯১কোটি ইউরো। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও কম যাননা, ২৯ টি ট্রফি জিততে খরচ করিয়েছেন ১৭৯ কোটি ইউরো।
দলবদলে বেশি খরুচে ১০ কোচ
পেপ গার্দিওলা ট্রফি সংখ্যা ৩৯ টি, ২০৬ কোটি ইউরো।
হোসে মরিনিও ট্রফি সংখ্যা ২৬টি, ১৯১ কোটি ইউরো।
কার্লো আনচেলত্তি ট্রফি সংখ্যা, ২৯টি ১৭৯ কোটি ইউরো। ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রি ট্রফি ১৫টি, ১৪২ কোটি ইউরো।
দিয়েগো সিমিওনে ১০ ট্রফি, ১৪২ কোটি ইউরো।
আন্তোনিও কন্তে ৮ ট্রফি, ১৩৩ কোটি ইউরো।
ম্যানুয়াল পেলেগ্রিনি ট্রফি ৯টি, ১২৫ কোটি ইউরো।
টমাস টুখেল ১৩ ট্রফি, ১২৫ কোটি ইউরো।
উনাই এমেরি ১১ ট্রফি, ১২৩ কোটি ইউরো।
মরিসিও পচেওিনো ৩ ট্রফি, ১১৫ কোটি ইউরো।