কানপুরে একরকম চমকই হয়ে এসেছিল সাকিব আল হাসানের অবসরের ঘোষণা। তিনি জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে চান।
এরপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চুপ থাকায় দুঃখপ্রকাশ করেন সাকিব।
কয়েকদিন আগে বিসিবি সভাপতিও জানিয়েছেন, সাকিবের দেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। ক্রীড়া উপদেষ্টাও ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু কানপুরে সাকিব নিরাপত্তা চেয়েছিলেন দেশে ফিরে আবার বিদেশে যাওয়ার।
সেটিও কি তাকে দেওয়া হবে? রোববার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর উত্তরে বলেছেন, ‘দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা না। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না। ’
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই যে মামলা হয়েছে, ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে। ’
সাকিবের দেশে ফেরার খবরে কয়েকদিন ধরেই মিরপুরে প্রতিবাদ হচ্ছে। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের দেয়ালে সাকিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা হয়েছে। এ অবস্থায় তার নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে কি না এমন প্রশ্নও ছিল আসিফ মাহমুদের কাছে।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে প্রত্যেক নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এবং ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব এবং আমি মনে করি যে আবেগের জায়গাটা অবশ্যই আছে। যেহেতু বড় একটা আন্দোলন হয়েছে এবং সাকিবের আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেটা উনি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন উনার পোস্টে। তারপরও কিছু ইমোশন রয়ে গেছে। যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক ওই প্রশ্নে যাব না। সেটা অন্য বিতর্ক। ’
সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন আসিফ মাহমুদ, ‘বাংলাদেশে এত বড় একটা অভ্যূত্থান হয়েছে। এরপর আসলে যেটা হয় বিভিন্ন দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে মানুষ আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল জায়গাটা ধরে রেখেছে। আমরা ওই ধরনের পরিস্থিতির দিকে আসলে এত বেশি যাই নাই। সবাই প্রত্যাশাও করছিল খুব বাজে অবস্থা হবে। ’
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
কানপুরে একরকম চমকই হয়ে এসেছিল সাকিব আল হাসানের অবসরের ঘোষণা। তিনি জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে চান।
এরপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চুপ থাকায় দুঃখপ্রকাশ করেন সাকিব।
কয়েকদিন আগে বিসিবি সভাপতিও জানিয়েছেন, সাকিবের দেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। ক্রীড়া উপদেষ্টাও ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু কানপুরে সাকিব নিরাপত্তা চেয়েছিলেন দেশে ফিরে আবার বিদেশে যাওয়ার।
সেটিও কি তাকে দেওয়া হবে? রোববার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর উত্তরে বলেছেন, ‘দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা না। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না। ’
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই যে মামলা হয়েছে, ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে। ’
সাকিবের দেশে ফেরার খবরে কয়েকদিন ধরেই মিরপুরে প্রতিবাদ হচ্ছে। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের দেয়ালে সাকিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা হয়েছে। এ অবস্থায় তার নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে কি না এমন প্রশ্নও ছিল আসিফ মাহমুদের কাছে।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে প্রত্যেক নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এবং ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব এবং আমি মনে করি যে আবেগের জায়গাটা অবশ্যই আছে। যেহেতু বড় একটা আন্দোলন হয়েছে এবং সাকিবের আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেটা উনি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন উনার পোস্টে। তারপরও কিছু ইমোশন রয়ে গেছে। যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক ওই প্রশ্নে যাব না। সেটা অন্য বিতর্ক। ’
সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন আসিফ মাহমুদ, ‘বাংলাদেশে এত বড় একটা অভ্যূত্থান হয়েছে। এরপর আসলে যেটা হয় বিভিন্ন দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে মানুষ আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল জায়গাটা ধরে রেখেছে। আমরা ওই ধরনের পরিস্থিতির দিকে আসলে এত বেশি যাই নাই। সবাই প্রত্যাশাও করছিল খুব বাজে অবস্থা হবে। ’