চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেনুরান মুথুসামির বলে আউট হয়ে ব্যর্থতার আরেকটি উদাহরণ তৈরি করলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসান শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ফলো-অনের পরেও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দিতে পারেননি শান্ত। ধারাবাহিকভাবে খারাপ ফর্মে থাকার ফলে দলের ওপরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের অধিনায়কও স্বীকার করেছেন।
শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে কিছু ইতিবাচক শট খেললেও ৩৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় এবং অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাছে হোয়াইটওয়াশড হয়। বছরের শুরু থেকে শান্তর ব্যাটিংয়ে বড় রান আসছে না, যার প্রভাব পড়ছে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে। ২০২৪ সালে ১৫ ইনিংসে মাত্র ৩১৭ রান করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় মাত্র ২১.১৩।
চেন্নাই টেস্টে ৮২ রানের ইনিংস খেলার পর শান্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি স্বীকার করেছেন যে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ায় দলও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তার মতে, "আমি ওপরের দিকে ব্যাট করি, তাই রান করা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা আমি পালন করতে পারছি না। ২০ থেকে ৪০ রানে সেট হওয়ার পর আউট হওয়ায় দলের জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।"
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর শান্তর পারফরম্যান্সে আরও ছন্দহীনতা এসেছে। অধিনায়কত্বের সময়কালে ১০ ম্যাচের ১৯ ইনিংসে তার একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি রয়েছে। অধিনায়কত্বের চাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও শান্ত বলছেন, অধিনায়কত্ব তার ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে না।
"ব্যাটিং করতে তো সবারই ভালো লাগে," তিনি বলেন। "ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করি। অধিনায়কত্বকে কখনো চাপ হিসেবে দেখি না।"
আন্তর্জাতিক: পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ
অপরাধ ও দুর্নীতি: ব্যাগভর্তি জাল টাকা, হাসপাতালে বিল দেয়ার সময় আটক তিন
সারাদেশ: সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি