২০০৬ সালের পর থেকে ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারে কখনো এমন দিন দেখেননি ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে আছেন এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু সিনিয়র ফুটবলের এই ক্যারিয়ারে কখনো টানা চার ম্যাচ হারতে হয়নি তাকে। ম্যানচেস্টার সিটিতে এবার সেটাই দেখতে হছে তাকে।
আগের সাত দিনে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার। এমন বিধ্বস্ত সময় থেকে ফিরতে ব্রাইটনকে সামনে পেয়েছিল সিটিজেন্সরা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের গোলের সুবাদে এগিয়েও যায় ম্যাচে। কিন্তু বিরতির পর ব্রাইটনের খেলা দেখে বোঝার সাধ্য ছিল না মাঠে রয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যররা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য করে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর্লিং হলান্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে তারা। ম্যানচেস্টার সিটি ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারল। এর আগে সবশেষ তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্টুয়ার্ট পিয়ার্সের কোচিংয়ে।
অ্যামেক্স স্টেডিয়ামে শুরুটা ছিল কেবলই সিটির। দুই ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ২৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সিটি। মাতেও কোভাচিচের দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে বাড়ানো থ্রু পাস ধরে শট নেন হালান্ড। ব্রাইটন গোলরক্ষক ভারব্রুগেন পারেননি বল গ্রিপে নিতে। সেই সুযোগে দারুণ ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন হালান্ড।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে এবার ফিল ফোডেনের পাস ধরে হলান্ডের কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তাদের জন্য এই ম্যাচে বড় সুযোগ ছিল ওই পর্যন্তই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাইটন। ৫২ তম মিনিটে সমতা টানার সেরা সুযোগ পায় দলটি; তবে জ্যাক হিনশেনউডের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে রুখে দেন এডারসন।
মাঝে কয়েকদফায় ভাল সুযোগ মিসের পর ৭৮তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় ব্রাইটন। বক্সে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন ড্যানি ওয়েলবেক। বল আটকেছিল জটলার মাঝে। সেখান থেকেই নিচু শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
পাঁচ মিনিট পর আরেক বদলি খেলোয়াড়ের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাইটন। ডেনিশ মিডফিল্ডার ম্যাট ও’রাইলি সিটির জালে পুরে দেন দিনের দ্বিতীয় গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষ ২৭ মিনিটে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি সিটি।
এই হারের পর ১১ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানসিটি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাইটন। আর রাতের অন্য ম্যাচে জয়ের সুবাদে সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে সবার ওপরে উঠল লিভারপুল।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
২০০৬ সালের পর থেকে ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারে কখনো এমন দিন দেখেননি ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে আছেন এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু সিনিয়র ফুটবলের এই ক্যারিয়ারে কখনো টানা চার ম্যাচ হারতে হয়নি তাকে। ম্যানচেস্টার সিটিতে এবার সেটাই দেখতে হছে তাকে।
আগের সাত দিনে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার। এমন বিধ্বস্ত সময় থেকে ফিরতে ব্রাইটনকে সামনে পেয়েছিল সিটিজেন্সরা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের গোলের সুবাদে এগিয়েও যায় ম্যাচে। কিন্তু বিরতির পর ব্রাইটনের খেলা দেখে বোঝার সাধ্য ছিল না মাঠে রয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যররা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য করে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর্লিং হলান্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে তারা। ম্যানচেস্টার সিটি ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারল। এর আগে সবশেষ তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্টুয়ার্ট পিয়ার্সের কোচিংয়ে।
অ্যামেক্স স্টেডিয়ামে শুরুটা ছিল কেবলই সিটির। দুই ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ২৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সিটি। মাতেও কোভাচিচের দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে বাড়ানো থ্রু পাস ধরে শট নেন হালান্ড। ব্রাইটন গোলরক্ষক ভারব্রুগেন পারেননি বল গ্রিপে নিতে। সেই সুযোগে দারুণ ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন হালান্ড।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে এবার ফিল ফোডেনের পাস ধরে হলান্ডের কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তাদের জন্য এই ম্যাচে বড় সুযোগ ছিল ওই পর্যন্তই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাইটন। ৫২ তম মিনিটে সমতা টানার সেরা সুযোগ পায় দলটি; তবে জ্যাক হিনশেনউডের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে রুখে দেন এডারসন।
মাঝে কয়েকদফায় ভাল সুযোগ মিসের পর ৭৮তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় ব্রাইটন। বক্সে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন ড্যানি ওয়েলবেক। বল আটকেছিল জটলার মাঝে। সেখান থেকেই নিচু শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
পাঁচ মিনিট পর আরেক বদলি খেলোয়াড়ের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাইটন। ডেনিশ মিডফিল্ডার ম্যাট ও’রাইলি সিটির জালে পুরে দেন দিনের দ্বিতীয় গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষ ২৭ মিনিটে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি সিটি।
এই হারের পর ১১ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানসিটি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাইটন। আর রাতের অন্য ম্যাচে জয়ের সুবাদে সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে সবার ওপরে উঠল লিভারপুল।