যে কীর্তি গড়েছিলেন কেবল ওয়াকার ইউনুস, তাতে এবারে ভাগ বসালেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে পাকিস্তান। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তুলনামূলক খর্ব শক্তির এক দলই নামিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান এদিন আরও একবার দেখিয়েছে বোলিং সামর্থ্য।
ভারতের বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগে বিশ্রামে ছিলেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড। সঙ্গে স্টিভ স্মিথকেও বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল এই ম্যাচে। তাতে অস্ট্রেলিয়া করল ১৪০ রান। পাকিস্তান সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জয় করে ৮ উইকেটে।
এই ম্যাচেও উইকেটের পেছনে সাবলীল ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিয়েছেন ৩ ক্যাচ। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, জশ ইংলিশ এবং মার্কাস স্টয়নিসের ক্যাচ নিয়েছেন। পুরো সিরিজে নিয়েছেন ১০ ক্যাচ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে যা সবচেয়ে বেশি ক্যাচের নজির। অবশ্য এই রেকর্ডে তার ভাগীদারও আছেন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেন ১০ ক্যাচ (উইকেটরক্ষক)
ব্রেন্ডন টেইলর; প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (২০১৩)
কুইন্টন ডি কক; প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (২০১৩)
মুশফিকুর রহিম; প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (২০২৪)
মোহাম্মদ রিজওয়ান; প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (২০২৪)
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ ক্যাচ নিয়ে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষে এক ক্যাচ না ছাড়লে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের একক মালিক হতে পারতেন তিনি। যদিও আপাতত তাকে প্রথম স্থানটা ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
পুরো সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়েছেন হারিস রউফ। ১০ উইকেট নিয়েছেন তিন ম্যাচে। পেয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারটাও। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের পেসারদের মাঝে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে গড় হিসেবে রেকর্ডের পাতায় নাম লিখেছেন শাহিন আফ্রিদি।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেরা বোলিং গড় (১০+ উইকেট)
১৪.৯০ - সিলভেস্টার ক্লার্ক (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৫.২০ - ক্রেইগ ম্যাথিউস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১৫.৬১ - শাহিন আফ্রিদি (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের এমন দাপটের মুখে অস্ট্রেলিয়াকেও হইতে হয়েছে বেশকিছু লজ্জার রেকর্ড
এবারই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজ ব্যক্তিগত অর্ধশতক ছাড়াই পার করেছে অস্ট্রেলিয়া
ঘরের মাঠে ২০০০ সালের পর তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর (১৪০ বনাম পাকিস্তান)
৬ বছর (২ হাজার ২১৩ দিন) পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হার
২০১১ সালের পর থেকে চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ হার
এই সিরিজটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে রিজওয়ানের অভিষেক। নিজের নতুন এই যাত্রাটাই তিনি শুরু করলেন ইতিহাস গড়ে। এর আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় ফরম্যাটটিতে সিরিজ জয়ের রেকর্ড ছিল ওয়াকার ইউনিসের। ২০০২ সালের জুনেও তার নেতৃত্বে পাকবাহিনী জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এই কীর্তি গড়ার দিক থেকে ওয়াকার ছিলেন এশিয়ার প্রথম কোনো অধিনায়ক।
তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তান পাঁচজন পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল। তাতেই বাজিমাত করেছে দলটি। তিন ম্যাচে হারিস-শাহিনরা ২৩টি উইকেট নিয়েছেন। ৩ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১০টি শিকার হারিস রউফের। এ ছাড়া শাহিন ৮ এবং নাসিম শাহ ৫ উইকেট নিয়েছেন। সিরিজে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১২৫ রান করেছেন পাক ওপেনার সাইম আইয়ুব। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন ১১৩ রান। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটারই তিন ম্যাচে সিরিজে ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পাননি।
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
যে কীর্তি গড়েছিলেন কেবল ওয়াকার ইউনুস, তাতে এবারে ভাগ বসালেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে পাকিস্তান। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তুলনামূলক খর্ব শক্তির এক দলই নামিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান এদিন আরও একবার দেখিয়েছে বোলিং সামর্থ্য।
ভারতের বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগে বিশ্রামে ছিলেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড। সঙ্গে স্টিভ স্মিথকেও বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল এই ম্যাচে। তাতে অস্ট্রেলিয়া করল ১৪০ রান। পাকিস্তান সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জয় করে ৮ উইকেটে।
এই ম্যাচেও উইকেটের পেছনে সাবলীল ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিয়েছেন ৩ ক্যাচ। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, জশ ইংলিশ এবং মার্কাস স্টয়নিসের ক্যাচ নিয়েছেন। পুরো সিরিজে নিয়েছেন ১০ ক্যাচ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে যা সবচেয়ে বেশি ক্যাচের নজির। অবশ্য এই রেকর্ডে তার ভাগীদারও আছেন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেন ১০ ক্যাচ (উইকেটরক্ষক)
ব্রেন্ডন টেইলর; প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (২০১৩)
কুইন্টন ডি কক; প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (২০১৩)
মুশফিকুর রহিম; প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (২০২৪)
মোহাম্মদ রিজওয়ান; প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (২০২৪)
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ ক্যাচ নিয়ে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষে এক ক্যাচ না ছাড়লে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের একক মালিক হতে পারতেন তিনি। যদিও আপাতত তাকে প্রথম স্থানটা ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
পুরো সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়েছেন হারিস রউফ। ১০ উইকেট নিয়েছেন তিন ম্যাচে। পেয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারটাও। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের পেসারদের মাঝে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে গড় হিসেবে রেকর্ডের পাতায় নাম লিখেছেন শাহিন আফ্রিদি।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেরা বোলিং গড় (১০+ উইকেট)
১৪.৯০ - সিলভেস্টার ক্লার্ক (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৫.২০ - ক্রেইগ ম্যাথিউস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১৫.৬১ - শাহিন আফ্রিদি (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের এমন দাপটের মুখে অস্ট্রেলিয়াকেও হইতে হয়েছে বেশকিছু লজ্জার রেকর্ড
এবারই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজ ব্যক্তিগত অর্ধশতক ছাড়াই পার করেছে অস্ট্রেলিয়া
ঘরের মাঠে ২০০০ সালের পর তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর (১৪০ বনাম পাকিস্তান)
৬ বছর (২ হাজার ২১৩ দিন) পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হার
২০১১ সালের পর থেকে চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ হার
এই সিরিজটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে রিজওয়ানের অভিষেক। নিজের নতুন এই যাত্রাটাই তিনি শুরু করলেন ইতিহাস গড়ে। এর আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় ফরম্যাটটিতে সিরিজ জয়ের রেকর্ড ছিল ওয়াকার ইউনিসের। ২০০২ সালের জুনেও তার নেতৃত্বে পাকবাহিনী জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এই কীর্তি গড়ার দিক থেকে ওয়াকার ছিলেন এশিয়ার প্রথম কোনো অধিনায়ক।
তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তান পাঁচজন পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল। তাতেই বাজিমাত করেছে দলটি। তিন ম্যাচে হারিস-শাহিনরা ২৩টি উইকেট নিয়েছেন। ৩ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১০টি শিকার হারিস রউফের। এ ছাড়া শাহিন ৮ এবং নাসিম শাহ ৫ উইকেট নিয়েছেন। সিরিজে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১২৫ রান করেছেন পাক ওপেনার সাইম আইয়ুব। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন ১১৩ রান। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটারই তিন ম্যাচে সিরিজে ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পাননি।