ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ গত রাতে ২-০ গোলে হেরেছে লিভারপুলের সাথে। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের জায়গা পোক্ত করেছে লিভারপুল। আর এই হারে নিজেদেরকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সবচেয়ে সফল দল রেয়াল।
পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলে রেয়ালের অবস্থান ২৪ নাম্বারে। প্লে অফ খেলতে হলে শেষ ম্যাচে আতালান্তার সাথে তাদের জিততেই হবে। তবে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা আতালান্তার সাথে কাজটি সহজ হবেনা। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয়, দুটি ড্র করা আতালান্তা আছে দূর্দান্ত ফর্মে।
গতকালকের ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে ঠিক ১৫ বছরের তীব্র অপেক্ষার অবসান ঘটলো লিভারপুলের। রেয়ালের কাছে এর আগে টানা ৮ ম্যাচ হেরেছে তারা। তবে ২০১৮ এর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল ভুলতে পারেনি লিভারপুল সমর্থকরা। সেদিন সার্হিয়ো রামোসের মারাত্মক টেকলের শিকার হয়ে মোহাম্মদ সালাহকে কাঁদতে কাঁদতে ফাইনালের মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছিলো। ২০২২ এর ফাইনালেও এই রেয়ালের কাছেই হেরেছিলো লিভারপুল। হৃদয়ে বার বার রক্তক্ষরন দেখা লিভারপুলের জন্য এই ম্যাচ ছিলো অনেক হিসেব নিকেশের।
ম্যাচ শেষে লিভারপুলের রাস্তায় রাস্তায় ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ গেয়ে নৃত্য করতে দেখা গেলো সমর্থকদের।
লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট গায়ের পোশাক খুলে ডাগআউটে খেলোয়াড়দের সাথে খুনসুঁটিতে মজে ছিলেন।
বিরতির আগে দুদল অনেক সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচের ৫২ মিনিটের সময় ফ্রী কিক থেকে উড়ে আসা বলে কৌশলে মাথা ছোঁয়ান লিভারপুলের অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। অ্যানফিল্ডের ৬০ হাজার দর্শক পূর্ণ গ্যালারী মেতে উঠে মূহুর্তেই। ১-০ গোলের লিড পায় লিভারপুল।
ঠিক তার ৯ মিনিট পর পেনাল্টি মিস করেন রেয়ালের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান অ্যালিসন বেকারের ইনজুরিতে লিভারপুলের গোল পোস্ট পাহারার দায়িত্ব পাওয়া কেলহিন কেলাহারের। টার্গেট করে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পরে এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন এই আইরিশ গোল কিপার। গত ১৫ দিনে মোট ৩টি পেনাল্টি রুখে দিয়ে লিভারপুলের ইতিহাসের পাতায়ও নাম উঠিয়েছেন তিনি। লিভারপুলের গত ১১৫ বছরের মধ্যে যা প্রথম।
পর পর দুইম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে জাতীয় বীরের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন নিজেকে।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত তিন ম্যাচে দলকে কোন গোল হজম করতে দেননি। সরাসরি গোল মুখের শট ঠেকিয়েছেন ১৫টির মতো।
লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সেই মহা বাক্যটি কি নির্মম, আলিসন বেকার ফিরলেই বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা গোল কিপারের তকমা মাথায় নিয়ে কেলাহারকে চলে যেতে হবে মাঠের বাইরে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় লিভারপুলের তারকা মোহাম্মদ সালাহও মিস করেন পেনাল্টি। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে যায়। হা হয়ে তাকিয়ে থাকে হতাশ লিভারপুল সমর্থকরা। গ্যালারিতে সালাহার ভাই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন মাটিতে। তবে এতো বড় ম্যাচে এই নির্মম মিস বেশিক্ষণ ভোগায়নি লিভারপুলের দর্শকদের।
ডাচ উইঙ্গার কোডি গাকপো ৭৬ মিনিটে বক্সের ভিতরে লাফিয়ে উঠে অবিশ্বাস্য গতিতে গোল করলে ২-০ তে এগিয়ে যায় লিভারপুল। তার গোলটি নিয়ে ম্যাচ শেষে রেয়াল মাদ্রিদের কোচ ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এমন গোল দেখা সত্যি মুগ্ধকর।তবে আমার টিমের বিপক্ষে বিরক্তিকরও বটে।’
পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৮ দল সরাসরি চলে যাবে পরবর্তী রাউন্ড শেষ ১৬তে। বাকী ৮ দল নির্বাচিত হবে ৯ থেকে ২৪ দলের মধ্যে প্লে অফ খেলে। রেয়াল মাদ্রিদ অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের ঠিক ২৪ নাম্বারেই।
প্লে অফ খেলতে হলে পরের ম্যাচে আতালান্তার সাথে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
খেলা শেষে রেয়াল কোচ চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়দের লম্বা তালিকার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, দানি কারভাহাল, এদের মিলিতা, ডাভিড আলাবা, চুয়োমেনি সহ তালিকাটা দীর্ঘই।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ গত রাতে ২-০ গোলে হেরেছে লিভারপুলের সাথে। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের জায়গা পোক্ত করেছে লিভারপুল। আর এই হারে নিজেদেরকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সবচেয়ে সফল দল রেয়াল।
পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলে রেয়ালের অবস্থান ২৪ নাম্বারে। প্লে অফ খেলতে হলে শেষ ম্যাচে আতালান্তার সাথে তাদের জিততেই হবে। তবে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা আতালান্তার সাথে কাজটি সহজ হবেনা। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয়, দুটি ড্র করা আতালান্তা আছে দূর্দান্ত ফর্মে।
গতকালকের ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে ঠিক ১৫ বছরের তীব্র অপেক্ষার অবসান ঘটলো লিভারপুলের। রেয়ালের কাছে এর আগে টানা ৮ ম্যাচ হেরেছে তারা। তবে ২০১৮ এর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল ভুলতে পারেনি লিভারপুল সমর্থকরা। সেদিন সার্হিয়ো রামোসের মারাত্মক টেকলের শিকার হয়ে মোহাম্মদ সালাহকে কাঁদতে কাঁদতে ফাইনালের মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছিলো। ২০২২ এর ফাইনালেও এই রেয়ালের কাছেই হেরেছিলো লিভারপুল। হৃদয়ে বার বার রক্তক্ষরন দেখা লিভারপুলের জন্য এই ম্যাচ ছিলো অনেক হিসেব নিকেশের।
ম্যাচ শেষে লিভারপুলের রাস্তায় রাস্তায় ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ গেয়ে নৃত্য করতে দেখা গেলো সমর্থকদের।
লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট গায়ের পোশাক খুলে ডাগআউটে খেলোয়াড়দের সাথে খুনসুঁটিতে মজে ছিলেন।
বিরতির আগে দুদল অনেক সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচের ৫২ মিনিটের সময় ফ্রী কিক থেকে উড়ে আসা বলে কৌশলে মাথা ছোঁয়ান লিভারপুলের অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। অ্যানফিল্ডের ৬০ হাজার দর্শক পূর্ণ গ্যালারী মেতে উঠে মূহুর্তেই। ১-০ গোলের লিড পায় লিভারপুল।
ঠিক তার ৯ মিনিট পর পেনাল্টি মিস করেন রেয়ালের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান অ্যালিসন বেকারের ইনজুরিতে লিভারপুলের গোল পোস্ট পাহারার দায়িত্ব পাওয়া কেলহিন কেলাহারের। টার্গেট করে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পরে এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন এই আইরিশ গোল কিপার। গত ১৫ দিনে মোট ৩টি পেনাল্টি রুখে দিয়ে লিভারপুলের ইতিহাসের পাতায়ও নাম উঠিয়েছেন তিনি। লিভারপুলের গত ১১৫ বছরের মধ্যে যা প্রথম।
পর পর দুইম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে জাতীয় বীরের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন নিজেকে।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত তিন ম্যাচে দলকে কোন গোল হজম করতে দেননি। সরাসরি গোল মুখের শট ঠেকিয়েছেন ১৫টির মতো।
লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সেই মহা বাক্যটি কি নির্মম, আলিসন বেকার ফিরলেই বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা গোল কিপারের তকমা মাথায় নিয়ে কেলাহারকে চলে যেতে হবে মাঠের বাইরে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় লিভারপুলের তারকা মোহাম্মদ সালাহও মিস করেন পেনাল্টি। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে যায়। হা হয়ে তাকিয়ে থাকে হতাশ লিভারপুল সমর্থকরা। গ্যালারিতে সালাহার ভাই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন মাটিতে। তবে এতো বড় ম্যাচে এই নির্মম মিস বেশিক্ষণ ভোগায়নি লিভারপুলের দর্শকদের।
ডাচ উইঙ্গার কোডি গাকপো ৭৬ মিনিটে বক্সের ভিতরে লাফিয়ে উঠে অবিশ্বাস্য গতিতে গোল করলে ২-০ তে এগিয়ে যায় লিভারপুল। তার গোলটি নিয়ে ম্যাচ শেষে রেয়াল মাদ্রিদের কোচ ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এমন গোল দেখা সত্যি মুগ্ধকর।তবে আমার টিমের বিপক্ষে বিরক্তিকরও বটে।’
পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৮ দল সরাসরি চলে যাবে পরবর্তী রাউন্ড শেষ ১৬তে। বাকী ৮ দল নির্বাচিত হবে ৯ থেকে ২৪ দলের মধ্যে প্লে অফ খেলে। রেয়াল মাদ্রিদ অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের ঠিক ২৪ নাম্বারেই।
প্লে অফ খেলতে হলে পরের ম্যাচে আতালান্তার সাথে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
খেলা শেষে রেয়াল কোচ চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়দের লম্বা তালিকার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, দানি কারভাহাল, এদের মিলিতা, ডাভিড আলাবা, চুয়োমেনি সহ তালিকাটা দীর্ঘই।