ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২৮ রানের জয়ের টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তাসকিন আহামেদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছে পেসার শরিফুল ইসলাম।
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে পিছিয়ে থেকে আজকে সিরিজ বাঁচাতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার মারকুইনো মিন্ডলে প্রথম ওভারেই বল করার সুযোগ পান। প্রথম বলেই তানজিদ হাসানের ব্যাটের কানায় লেগে চার আসে। প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে শেষ করেন তিনি।বাংলাদেশের শুরুটাও তানজিদ হাসানের ব্যাটে হাসোজ্জল ছিলো।
মিন্ডলের দ্বিতীয় এ দলীয় তৃতীয় ওভারে ২ ছক্কা ও এক চারে মোট ১৮ রান সংগ্রহ করে তানজিদ হাসান।
সিলসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে গুডাকেশ মোতির হাতে ধরা পরেন ৫ বলে ২ রান করা সৌম্য সরকার। ৩৪ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
রান না পেয়ে ধৈর্য হারানো লিটন কুমার দাস বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ঠিক মতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল ব্যাটের মাথায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড় পয়েন্টে এভিন লুইসের হাতে ধরা পরেন। লিটন ১৯ বলে ৪ রান করেন।
সিলসের করা দশম ওভারের পঞ্চম বলটি খেলতে গিয়ে মনস্থির করতে না পারা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পের বেলস পরে গেলে হতাশ হয় মাঠে থাকা গুটিকয়েক বাংলাদেশি। বাংলাদেশের কাপ্তান ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
গ্রিভসের বলে সহজ ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ব্যাকওয়ার্ড় পয়েন্টে রোস্টন চেজের হাতে ধরা পরেন তানজিদ হাসান। তরুণ ওপেনারের ৩৩ বলে ৪৬ রানে সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে। আর বাংলাদেশও চাপে পড়ে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে।
আফিফ এবং মাহমুদউল্লাহ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কান্ডজ্ঞানহীন শট খেলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গুডাকেশ মোতির বলে শেরফার্ড রাদারফোর্ডের হাতে ধরা পড়েন। শেরফার্ড় রাদারফোর্ড কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে সহজ করে তালুবন্দি করেন আফিফের ক্যাচটি। আফিফ করেন ২৯ বলে ২৪ রান।
প্রথম ম্যাচের সফল ব্যাটার জাকের আলীকে মোতির বলে আম্পায়ার লেগবিফোরের সিদ্ধান্ত দিলে তিনি রিভিউ নেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। মূহুর্তেই বাংলাদেশ ২১ ওভারে ১০৪ রানে ৬ উইকেটের পতনে পিছিয়ে পড়ে। রিশাদ ৮ বলে শূন্য রানে ফিরলে বিপদ আরো বাড়ে।
১১৫ রানে ৭ উইকেট পতনের পরের গল্পটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তানজিম সাকিবের ১০৬ বলে ৯২ রানের রেকর্ড জুটি। তানজিম সাকিব ৬২ বলে ৪৫ রান করেন ২ ছক্কা ৪টি চারের সাহায্য। ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০৭ রানে অষ্টম উইকেটের পতন। তারপর আর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ টিকেননি। তবে ৯২ বলে ৬২ রান করেন ২ ছক্কা ৪টি চারের সাহায্যে। তানজিম আর মাহমুদুল্লাহর লড়াইয়েই দুইশ পার হয় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২৮ রানের জয়ের টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তাসকিন আহামেদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছে পেসার শরিফুল ইসলাম।
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে পিছিয়ে থেকে আজকে সিরিজ বাঁচাতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার মারকুইনো মিন্ডলে প্রথম ওভারেই বল করার সুযোগ পান। প্রথম বলেই তানজিদ হাসানের ব্যাটের কানায় লেগে চার আসে। প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে শেষ করেন তিনি।বাংলাদেশের শুরুটাও তানজিদ হাসানের ব্যাটে হাসোজ্জল ছিলো।
মিন্ডলের দ্বিতীয় এ দলীয় তৃতীয় ওভারে ২ ছক্কা ও এক চারে মোট ১৮ রান সংগ্রহ করে তানজিদ হাসান।
সিলসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে গুডাকেশ মোতির হাতে ধরা পরেন ৫ বলে ২ রান করা সৌম্য সরকার। ৩৪ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
রান না পেয়ে ধৈর্য হারানো লিটন কুমার দাস বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ঠিক মতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল ব্যাটের মাথায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড় পয়েন্টে এভিন লুইসের হাতে ধরা পরেন। লিটন ১৯ বলে ৪ রান করেন।
সিলসের করা দশম ওভারের পঞ্চম বলটি খেলতে গিয়ে মনস্থির করতে না পারা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পের বেলস পরে গেলে হতাশ হয় মাঠে থাকা গুটিকয়েক বাংলাদেশি। বাংলাদেশের কাপ্তান ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
গ্রিভসের বলে সহজ ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ব্যাকওয়ার্ড় পয়েন্টে রোস্টন চেজের হাতে ধরা পরেন তানজিদ হাসান। তরুণ ওপেনারের ৩৩ বলে ৪৬ রানে সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে। আর বাংলাদেশও চাপে পড়ে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে।
আফিফ এবং মাহমুদউল্লাহ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কান্ডজ্ঞানহীন শট খেলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গুডাকেশ মোতির বলে শেরফার্ড রাদারফোর্ডের হাতে ধরা পড়েন। শেরফার্ড় রাদারফোর্ড কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে সহজ করে তালুবন্দি করেন আফিফের ক্যাচটি। আফিফ করেন ২৯ বলে ২৪ রান।
প্রথম ম্যাচের সফল ব্যাটার জাকের আলীকে মোতির বলে আম্পায়ার লেগবিফোরের সিদ্ধান্ত দিলে তিনি রিভিউ নেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। মূহুর্তেই বাংলাদেশ ২১ ওভারে ১০৪ রানে ৬ উইকেটের পতনে পিছিয়ে পড়ে। রিশাদ ৮ বলে শূন্য রানে ফিরলে বিপদ আরো বাড়ে।
১১৫ রানে ৭ উইকেট পতনের পরের গল্পটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তানজিম সাকিবের ১০৬ বলে ৯২ রানের রেকর্ড জুটি। তানজিম সাকিব ৬২ বলে ৪৫ রান করেন ২ ছক্কা ৪টি চারের সাহায্য। ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০৭ রানে অষ্টম উইকেটের পতন। তারপর আর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ টিকেননি। তবে ৯২ বলে ৬২ রান করেন ২ ছক্কা ৪টি চারের সাহায্যে। তানজিম আর মাহমুদুল্লাহর লড়াইয়েই দুইশ পার হয় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ।