গোল করেছেন রেয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা — ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এমবাপ্পে এবং বেলিংহাম। আর তাতেই ৩-২ গোলের ব্যবধানে ইতালির ক্লাব আতালান্তার বিপক্ষে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে অফে খেলার স্বপ্ন ধরে রাখলো এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ক্লাব রেয়াল।
রাতে অনেকটা নির্ভার হয়েই মাঠে নেমেছিল ইতালির ক্লাব আতালান্তা। কারন নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস লিগে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে ছিলো তাদের অবস্থান। তার বিপরীতে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার শংকা নিয়ে মাঠে নেমেছিল রেয়াল মাদ্রিদ।
আতালান্তার ছোট স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতা মাত্র পঁচিশ হাজার দর্শকের। কানায় কানায় পরিপূর্ণ গ্যালারিতে তিলধারণের ঠাঁই ছিলো না। ছোট শহর বের্গামোর অধিকাংশ বাসিন্দাই যেন দর্শক হয়ে এসেছিলেন নিজ ক্লাবকে সমর্থন করতে।
জয়ের বিকল্প ছিলোনা রেয়ালের। শুরু থেকেই কৌশলে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা চালানো রেয়াল এগিয়ে যায় ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায়। গোল মুখের সামনে ব্রাহিম দিয়াজের ছোট পাস থেকে আতালান্তার ডিফেন্ডার হিয়েনকে ডজ দিয়ে আড়াআড়ি শট করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোল কিপারের নাগালের বাইরে দিয়ে জাল স্পর্শ করে তার নিখুঁত শট। এক গেলে এগিয়ে যায় রেয়াল।
এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫০ গোলের অভিজাত ক্লাবে নবম খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান এমবাপ্পে। ফ্রান্সের দুই ক্লাব —মোনাকো, পিএসজি — আর তার বর্তমান ক্লাব স্পেনের রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোলগুলো করেন এমবাপ্পে। তার চেয়ে কম বয়সে লিওনেল মেসিই পেরেছিল ৫০ গোল করতে।
তবে বেশিক্ষণ স্হায়ী হয়নি তার সেই সুখ। উরুর চোটে আক্রান্ত হয়ে ম্যাচের ৩৬ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়েন ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার এমবাপ্পে।
প্রথমার্ধের বাকী সময় টুকু রেয়ালের যথেষ্ট পরীক্ষা নিয়েছে আতালান্তা। বিরতিতে যাবার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে যোগ করা সময়ে অরেলিয়ে চুয়ামেনি বক্সের ভিতরে মারাত্মক টেকল করেন আতালান্তার মারিও পাসালিসকে। রেফারি সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। রেয়ালের খেলোয়াড়েরা গোল হয়ে রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করলেও কাজ হয়নি। পেনাল্টি থেকে চালর্স ডি কেটেলায়ের গোল করলে ১-১ গোলে সমতায় যায় আতলান্তা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে বেশি সময় নেয়নি মাদ্রিদের রাজারা। চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৫৬ মিনিটে একক প্রচেস্টায় গোল করেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় রেয়াল মাদ্রিদ।
ভিনির গোলের ৩ মিনিট পর গোল করে জুড বেলিংহাম। তবে এই গোলেও আবদান আছে ভিনিসিয়ুসের। তার এসিস্ট থেকেই আসে গোল। তখন ম্যাচের পুরো আধিপত্য নিয়ে নেয় ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকা রেয়াল।
তবে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে স্ট্রাইকার আদেমোলা লুকমানের অসাধারণ গোলে ম্যাচে ব্যবধান কমায় আতালান্তা। তখনও ৩-২ গোলে এগিয়ে রেয়াল। গতি ফিরে পায় খেলা। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে সমান তালে খেলছিলো দুইদল।
ম্যাচ শেষের পূর্বক্ষনে অতিরিক্ত সময়ে মার্তেও রেতেগির শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে না গেলে রেয়ালের জয় পাওয়া হতোনা। বলা চলে ভাগ্যের ছোঁয়ায় ইতালি থেকে জিতে এসেছে কার্লো আনচেলওির শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষে নিজের খেলোয়াড়দের আরো মনোযোগী হবার কড়া মন্ত্র দিয়েছেন রেয়াল কোচ। আনচেলওি স্বীকার করেছেন খেলায় আরো উন্নতি করতে না পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে থাকা কঠিন হবে তাদের জন্য।
সিরি-আ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আতালান্তা এই ম্যাচে হারার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে নেমে গেছে। তাদের ১১ পয়েন্ট। আর রেয়াল মাদ্রিদ উঠে এসেছে ১৮তম অবস্থানে। তাদের ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট।
সবার ওপরে ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলা লিভারপুল।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
গোল করেছেন রেয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা — ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এমবাপ্পে এবং বেলিংহাম। আর তাতেই ৩-২ গোলের ব্যবধানে ইতালির ক্লাব আতালান্তার বিপক্ষে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে অফে খেলার স্বপ্ন ধরে রাখলো এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ক্লাব রেয়াল।
রাতে অনেকটা নির্ভার হয়েই মাঠে নেমেছিল ইতালির ক্লাব আতালান্তা। কারন নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস লিগে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে ছিলো তাদের অবস্থান। তার বিপরীতে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার শংকা নিয়ে মাঠে নেমেছিল রেয়াল মাদ্রিদ।
আতালান্তার ছোট স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতা মাত্র পঁচিশ হাজার দর্শকের। কানায় কানায় পরিপূর্ণ গ্যালারিতে তিলধারণের ঠাঁই ছিলো না। ছোট শহর বের্গামোর অধিকাংশ বাসিন্দাই যেন দর্শক হয়ে এসেছিলেন নিজ ক্লাবকে সমর্থন করতে।
জয়ের বিকল্প ছিলোনা রেয়ালের। শুরু থেকেই কৌশলে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা চালানো রেয়াল এগিয়ে যায় ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায়। গোল মুখের সামনে ব্রাহিম দিয়াজের ছোট পাস থেকে আতালান্তার ডিফেন্ডার হিয়েনকে ডজ দিয়ে আড়াআড়ি শট করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোল কিপারের নাগালের বাইরে দিয়ে জাল স্পর্শ করে তার নিখুঁত শট। এক গেলে এগিয়ে যায় রেয়াল।
এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫০ গোলের অভিজাত ক্লাবে নবম খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান এমবাপ্পে। ফ্রান্সের দুই ক্লাব —মোনাকো, পিএসজি — আর তার বর্তমান ক্লাব স্পেনের রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোলগুলো করেন এমবাপ্পে। তার চেয়ে কম বয়সে লিওনেল মেসিই পেরেছিল ৫০ গোল করতে।
তবে বেশিক্ষণ স্হায়ী হয়নি তার সেই সুখ। উরুর চোটে আক্রান্ত হয়ে ম্যাচের ৩৬ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়েন ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার এমবাপ্পে।
প্রথমার্ধের বাকী সময় টুকু রেয়ালের যথেষ্ট পরীক্ষা নিয়েছে আতালান্তা। বিরতিতে যাবার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে যোগ করা সময়ে অরেলিয়ে চুয়ামেনি বক্সের ভিতরে মারাত্মক টেকল করেন আতালান্তার মারিও পাসালিসকে। রেফারি সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। রেয়ালের খেলোয়াড়েরা গোল হয়ে রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করলেও কাজ হয়নি। পেনাল্টি থেকে চালর্স ডি কেটেলায়ের গোল করলে ১-১ গোলে সমতায় যায় আতলান্তা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে বেশি সময় নেয়নি মাদ্রিদের রাজারা। চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৫৬ মিনিটে একক প্রচেস্টায় গোল করেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় রেয়াল মাদ্রিদ।
ভিনির গোলের ৩ মিনিট পর গোল করে জুড বেলিংহাম। তবে এই গোলেও আবদান আছে ভিনিসিয়ুসের। তার এসিস্ট থেকেই আসে গোল। তখন ম্যাচের পুরো আধিপত্য নিয়ে নেয় ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকা রেয়াল।
তবে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে স্ট্রাইকার আদেমোলা লুকমানের অসাধারণ গোলে ম্যাচে ব্যবধান কমায় আতালান্তা। তখনও ৩-২ গোলে এগিয়ে রেয়াল। গতি ফিরে পায় খেলা। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে সমান তালে খেলছিলো দুইদল।
ম্যাচ শেষের পূর্বক্ষনে অতিরিক্ত সময়ে মার্তেও রেতেগির শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে না গেলে রেয়ালের জয় পাওয়া হতোনা। বলা চলে ভাগ্যের ছোঁয়ায় ইতালি থেকে জিতে এসেছে কার্লো আনচেলওির শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষে নিজের খেলোয়াড়দের আরো মনোযোগী হবার কড়া মন্ত্র দিয়েছেন রেয়াল কোচ। আনচেলওি স্বীকার করেছেন খেলায় আরো উন্নতি করতে না পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে থাকা কঠিন হবে তাদের জন্য।
সিরি-আ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আতালান্তা এই ম্যাচে হারার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে নেমে গেছে। তাদের ১১ পয়েন্ট। আর রেয়াল মাদ্রিদ উঠে এসেছে ১৮তম অবস্থানে। তাদের ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট।
সবার ওপরে ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলা লিভারপুল।