লড়াইটা হয়েছে জমজমাট, সমানে সমান। দুই দুইবার পিছিয়ে পরে সমতায় ফিরে ডর্টমুন্ড। শেষে ৩-২ গোলে হেরেছে জার্মান ক্লাবটি।বার্সেলোনা এই জয়ে গ্রুপ পর্ব পেরোনোর পথে নিশ্চিত হয়েছে।
কি অসাধারণ খেলা! সিগনাল ইদুর্না পার্ক মানে ফুটবলের পূর্ণতা। কানায় কানায় দর্শক, হলুদ দেয়াল। যাদেরকে তকমা দেয়া হয়েছে হলুদ আর্মি বলে।যেই মাঠে ১২তম খেলোয়াড়ের মতো ভূমিকা রাখে হলুদ রংয়ে রাঙানো দর্শক। খেলার পুরো সময় নিজ খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগায়।
খেলার শুরুতেই ডর্টমুন্ডকে চেপে ধরার ছক কষে মাঠে নামে বার্সেলোনা। ৪-২-৩-১ ফরমেশন মানেই শুরুতেই মাঝমাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রমণ শানানো। শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় দুই দুইবার গোল মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় তাদের। ডার্টমুন্ডও পাল্টা আক্রমণে ভয় জাগিয়েছে বার্সার রক্ষণে। কিন্তু গোল পায়নি।
ম্যাচের ১৪ মিনিটের সময় রাফিনিয়া সহজ সুযোগ গোল পোস্টের বাইরে মেরে নষ্ট করেন। লামিনে ইয়ামালের নিখুঁত পাসটি সামনে পেয়ে দ্রুত গতিতে শট করতে গিয়ে গোল পোস্টের বাইরে পাঠিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া।
আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পুরো মাঠ ছিলো সরগরম। এই বার্সা সুযোগ নষ্ট করে, পরক্ষনেই আবার ডর্টমুন্ড আক্রমণে যায়। প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে না পেরে বিরতিতে যায়।
বিরতির পর ৫০ মিনিটের সময় বার্সার জাল কাঁপিয়ে দেয় বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু রেফারি জানায় অফসাইডে ছিলেন মালেন। গোল কাটা পরলে হতাশ হয় ডর্টমুন্ডের দর্শকেরা।
এবার ৫৩ মিনিটে তাদেরকে হতাশায় ডুবায় রাফিনিয়া। দানি অলমোর লম্বা পাস ধরে কয়েকজনকে কাটিয়ে আড়াআড়ি গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান। বার্সেলোনা এগিয়ে যায়।
তবে বেশি সময় এই লিড ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। বক্সের ভিতর সেরহো গুইরাসিকে ফেলে দেয় বার্সার পাউ কুবারসি। রেফারি বেশি সময় নেননি পেনাল্টি দিতে। সেই পেনাল্টি থেকে গুইরাসিই গোল করেন। সমতায় ফিরে ডর্টমুন্ড।
এরপর ৭৫ মিনিটে দারুন গোছানো আক্রমণে ডর্টমুন্ডের বক্সের ভিতর ডুকে পরে বার্সা। তবে ফার্মিন লোপেজের শট ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল রক্ষা করলেও ফিরতি বলে গোল করেন বদলি নামা ফেরান তোরেস। ২-১ এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
কিন্তু ৭৮ মিনিটের সময় বার্সা গোলরক্ষকের হাস্যকর ভুলে সেই গুইরাসিই গোল করেন। ২-২ সমতায় ফিরে স্বস্তি ফিরে পায় ডর্টমুন্ড দর্শকেরা।
কিন্তু এবার ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডার গার্সিয়ার ভুল পাসে বল চলে যায় বার্সার তোরেসের কাছে। কয়েকজনকে কাটিয়ে করেন নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল। এগিয়ে যায় বার্সা।
বাকী সময় জুড়ে সমর্থকদের কোরাসের সাথে সাথে আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোল করতে পারেনি ডর্টমুন্ড। শেষ অব্দি ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে ৬ ম্যাচের ৫ টিতে জয় পেয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৫। রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
লিভারপুল ৬ খেলার ৬ টি জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
লড়াইটা হয়েছে জমজমাট, সমানে সমান। দুই দুইবার পিছিয়ে পরে সমতায় ফিরে ডর্টমুন্ড। শেষে ৩-২ গোলে হেরেছে জার্মান ক্লাবটি।বার্সেলোনা এই জয়ে গ্রুপ পর্ব পেরোনোর পথে নিশ্চিত হয়েছে।
কি অসাধারণ খেলা! সিগনাল ইদুর্না পার্ক মানে ফুটবলের পূর্ণতা। কানায় কানায় দর্শক, হলুদ দেয়াল। যাদেরকে তকমা দেয়া হয়েছে হলুদ আর্মি বলে।যেই মাঠে ১২তম খেলোয়াড়ের মতো ভূমিকা রাখে হলুদ রংয়ে রাঙানো দর্শক। খেলার পুরো সময় নিজ খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগায়।
খেলার শুরুতেই ডর্টমুন্ডকে চেপে ধরার ছক কষে মাঠে নামে বার্সেলোনা। ৪-২-৩-১ ফরমেশন মানেই শুরুতেই মাঝমাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রমণ শানানো। শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় দুই দুইবার গোল মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় তাদের। ডার্টমুন্ডও পাল্টা আক্রমণে ভয় জাগিয়েছে বার্সার রক্ষণে। কিন্তু গোল পায়নি।
ম্যাচের ১৪ মিনিটের সময় রাফিনিয়া সহজ সুযোগ গোল পোস্টের বাইরে মেরে নষ্ট করেন। লামিনে ইয়ামালের নিখুঁত পাসটি সামনে পেয়ে দ্রুত গতিতে শট করতে গিয়ে গোল পোস্টের বাইরে পাঠিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া।
আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পুরো মাঠ ছিলো সরগরম। এই বার্সা সুযোগ নষ্ট করে, পরক্ষনেই আবার ডর্টমুন্ড আক্রমণে যায়। প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে না পেরে বিরতিতে যায়।
বিরতির পর ৫০ মিনিটের সময় বার্সার জাল কাঁপিয়ে দেয় বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু রেফারি জানায় অফসাইডে ছিলেন মালেন। গোল কাটা পরলে হতাশ হয় ডর্টমুন্ডের দর্শকেরা।
এবার ৫৩ মিনিটে তাদেরকে হতাশায় ডুবায় রাফিনিয়া। দানি অলমোর লম্বা পাস ধরে কয়েকজনকে কাটিয়ে আড়াআড়ি গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান। বার্সেলোনা এগিয়ে যায়।
তবে বেশি সময় এই লিড ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। বক্সের ভিতর সেরহো গুইরাসিকে ফেলে দেয় বার্সার পাউ কুবারসি। রেফারি বেশি সময় নেননি পেনাল্টি দিতে। সেই পেনাল্টি থেকে গুইরাসিই গোল করেন। সমতায় ফিরে ডর্টমুন্ড।
এরপর ৭৫ মিনিটে দারুন গোছানো আক্রমণে ডর্টমুন্ডের বক্সের ভিতর ডুকে পরে বার্সা। তবে ফার্মিন লোপেজের শট ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল রক্ষা করলেও ফিরতি বলে গোল করেন বদলি নামা ফেরান তোরেস। ২-১ এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
কিন্তু ৭৮ মিনিটের সময় বার্সা গোলরক্ষকের হাস্যকর ভুলে সেই গুইরাসিই গোল করেন। ২-২ সমতায় ফিরে স্বস্তি ফিরে পায় ডর্টমুন্ড দর্শকেরা।
কিন্তু এবার ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডার গার্সিয়ার ভুল পাসে বল চলে যায় বার্সার তোরেসের কাছে। কয়েকজনকে কাটিয়ে করেন নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল। এগিয়ে যায় বার্সা।
বাকী সময় জুড়ে সমর্থকদের কোরাসের সাথে সাথে আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোল করতে পারেনি ডর্টমুন্ড। শেষ অব্দি ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে ৬ ম্যাচের ৫ টিতে জয় পেয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৫। রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
লিভারপুল ৬ খেলার ৬ টি জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।