কে বলবে এই লিটনের অফফর্ম নিয়ে আজ গোটা দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে সমালোচনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে। আর তার কয়েক ঘন্টা পরেই তিনি উপহার দিলেন বিধ্বংসী এক ইনিংস।
কেউ ভাবতেই পারবেনা শেষ ৭ ওয়ানডে ম্যাচের কোনোটিতেই ছুঁতে পারেননি রানের দুই ঘরের সংখ্যা। এমনকি বিপিএলে প্রথম চার ম্যাচে হতাশাজনক রানের কারনে পরের ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন দল থেকে।
সেই লিটনই আজ চুরমার করে দিলেন বিপিএলের অনেক অনেক রেকর্ড। তাকে দলে না নেয়ার জবাব এতো কড়া ভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচকদের দিবেন তা হয়তো কেউই কল্পনা করেনি। হয়তোবা হতাশায় নিমজ্জিত করলেন পুরো নির্বাচক প্যানেলকে।
বাদ পড়ার দিনে করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টুয়েন্টি সেঞ্চুরি। আর তাও ৫৫ বলে ১২৫ রানের মারমুখী ইনিংস। এই ১২৫ রান করতে লিটন ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৯ টি এবং চারের মার ১০ টি। আগের ম্যাচেই ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। আর আজ তো মহাকাব্যিক ইনিংস।
তানজিদ হাসান তামিম কে নিয়ে ১৯.৩ ওভারে ২৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি যে কোন জুটিতেই বিপিএলের রেকর্ড। আর স্বীকৃত বিশ্বের টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ঢাকা ক্যাপিটালের ২৫৪ রানও বিপিএলে কোনও দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে বাংলাদেশের দুই ব্যাসটসম্যান একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। তবে লিটনের এই সেঞ্চুরি চরম হৈচৈ ফেলেছে ক্রিকেট পাড়ায়। কারন তা যে দল থেকে বাদ পড়ার দিনে।
সৌভাগ্যও আজ সাথে ছিলো লিটনের। ব্যক্তিগত ৫ রানে ক্যাচের মতো কিছু একটা হয়েও বেঁচে গেছেন উইকেটের পিছনে। ১০৪ রানে ও পেয়েছেন জীবন। আজ তিনি জীবন পেয়ে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেছেন, আগে যা খুব একটা দেখা যায়নি। যেই ব্যাট তাকে দল থেকে ছুঁড়ে ফেলতে সহায়তা করেছে সেই ব্যাটই আজ তাকে হাসালো, সন্মানিত করালো।
উপভোগ্যকর ছিলো তানজিদ হাসান তামিমের ৬৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটিও। তবে তাকে নিয়ে আলোচনা নেই। নেই কারো কোনও উচ্ছ্বাসও। কারন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিয়মিত দলের সদস্য হয়েই ছোট তামিম খেলতে নেমেছিলেন আজকের ম্যাচটি।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
কে বলবে এই লিটনের অফফর্ম নিয়ে আজ গোটা দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে সমালোচনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে। আর তার কয়েক ঘন্টা পরেই তিনি উপহার দিলেন বিধ্বংসী এক ইনিংস।
কেউ ভাবতেই পারবেনা শেষ ৭ ওয়ানডে ম্যাচের কোনোটিতেই ছুঁতে পারেননি রানের দুই ঘরের সংখ্যা। এমনকি বিপিএলে প্রথম চার ম্যাচে হতাশাজনক রানের কারনে পরের ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন দল থেকে।
সেই লিটনই আজ চুরমার করে দিলেন বিপিএলের অনেক অনেক রেকর্ড। তাকে দলে না নেয়ার জবাব এতো কড়া ভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচকদের দিবেন তা হয়তো কেউই কল্পনা করেনি। হয়তোবা হতাশায় নিমজ্জিত করলেন পুরো নির্বাচক প্যানেলকে।
বাদ পড়ার দিনে করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টুয়েন্টি সেঞ্চুরি। আর তাও ৫৫ বলে ১২৫ রানের মারমুখী ইনিংস। এই ১২৫ রান করতে লিটন ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৯ টি এবং চারের মার ১০ টি। আগের ম্যাচেই ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। আর আজ তো মহাকাব্যিক ইনিংস।
তানজিদ হাসান তামিম কে নিয়ে ১৯.৩ ওভারে ২৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি যে কোন জুটিতেই বিপিএলের রেকর্ড। আর স্বীকৃত বিশ্বের টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ঢাকা ক্যাপিটালের ২৫৪ রানও বিপিএলে কোনও দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে বাংলাদেশের দুই ব্যাসটসম্যান একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। তবে লিটনের এই সেঞ্চুরি চরম হৈচৈ ফেলেছে ক্রিকেট পাড়ায়। কারন তা যে দল থেকে বাদ পড়ার দিনে।
সৌভাগ্যও আজ সাথে ছিলো লিটনের। ব্যক্তিগত ৫ রানে ক্যাচের মতো কিছু একটা হয়েও বেঁচে গেছেন উইকেটের পিছনে। ১০৪ রানে ও পেয়েছেন জীবন। আজ তিনি জীবন পেয়ে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেছেন, আগে যা খুব একটা দেখা যায়নি। যেই ব্যাট তাকে দল থেকে ছুঁড়ে ফেলতে সহায়তা করেছে সেই ব্যাটই আজ তাকে হাসালো, সন্মানিত করালো।
উপভোগ্যকর ছিলো তানজিদ হাসান তামিমের ৬৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটিও। তবে তাকে নিয়ে আলোচনা নেই। নেই কারো কোনও উচ্ছ্বাসও। কারন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিয়মিত দলের সদস্য হয়েই ছোট তামিম খেলতে নেমেছিলেন আজকের ম্যাচটি।