টি-টুয়েন্টি তে ২০৪ রান তাড়া করা এখন স্বাভাবিক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও এখন তা হচ্ছে। একদিকে ছোট বাউন্ডারি তার ওপর ব্যাটিং বান্ধব। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেদিকেই এগিয়ে যাবার কথা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ৭ থেকে ১১ ওভারের ব্যাটিং নিয়ে।
তখন ব্যাটিং করছিলেন স্কটল্যান্ডের সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার হেনরি জর্জ মানজি এবং আমেরিকান অ্যারন জোন্স। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দ্বিতীয় বলেই আউট হন পল স্টার্লিং, শূন্য রানে। আরেক ওপেনার মারকুটে রনি তালুকদার ৯ বলে ৭ রান করে আউট। জাকির হাসান আউট হন ১৯ বলে ২৫ রান করে। তখন ৫.২ ওভারে তিন ব্যাটার আউট হন ৪২ রানে।
এরপর চারে নামা জর্জ মানজি এবং পাঁচে নামা জোন্সের ৫ ওভারের ব্যাটিং নিয়েই যত কৌতূহল। যা ৭ থেকে ১১ ওভারের মধ্যে। মারকুটে ২ ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজে ছিলেন। আগের ম্যাচ গুলোতে যারা ক্যামিও ইনিংস উপহার দিয়েছেন বার কয়েক। কিন্তু সেই দুজনই একদম ধীরস্থির ব্যাটিং উপহার দিয়ে জন্ম দিয়েছেন সমালোচনার।
মোকাবেলা করা ৩০ বলের ১৩টিতেই কোনও রান নেই।এই ৫ ওভারের মধ্যে চার এসেছে মাত্র একটি, তাও আবার অনিয়মিত বোলার শামীম হোসেনের বলে।আরো অবাক করার বিষয় ২ রান আসেনি একটিও। এই গুরুত্বপূর্ণ ৫ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ২০ টি।
মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ১০.৩ ওভারে লেগ বিফোর আউট হবার আগে তিনি করেছেন ১৮ বলে মাত্র ১৫ রান যা আধুনিক টি-টুয়েন্টির মারকুটে যুগে বড়ই বেমানান।
আরেক ব্যাটার জর্জ মানজি অবশ্য পরে রানের গতি বাড়িয়েছেন। আউট হবার আগে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন, যাতে ছিলো ৪ টি ছক্কা এবং চারটি চারের মার। কিন্তু সেই নিদিষ্ট ওভার গুলোতে মানজিও কোন রহস্যেজনক কারন ১৫ বলে মাত্র ৭ রান করেন। আর পরের ৩৯ রান করেন মাত্র ১৪ বলে। সেখানেই রহস্যের দানাবাঁধা শুরু হয় সবার মনে।তাহলে আগে এমন হলো কেনো?
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান করা সিলেট স্ট্রাইকার্স হেরেছে ৩০ রানে।
সিলেটের ব্যাটসম্যান জাকের আলীকে মধ্যের এই ৫ ওভারের ধীরস্থির ব্যাটিং করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি গোপন রাখেননি যে তিনিও অবাক হয়েছেন। সিলেটের স্থানীয় এই ক্রিকেটার খোলামেলা ভাবেই বলেন, ‘মানজি ও জোন্সের কি হয়েছিল তখন জানি না। একটু ধীরস্থির ব্যাটিং করেছে দুজন।’
‘আমরা নিজেরাও সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হয়তো ৩ উইকেট পরে যাবার পর এমনটা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু যদি আর ১০-১৫ রান বেশি আসতো তখন আমরা ম্যাচে থাকতে পারতাম,’ বলেন জাকের আলী।
জাকের যখন ক্রিজে আসেন তখন ৯.৩ ওভারে রান লাগে ১৪১। ওভার প্রতি ১৫ রানের ওপরে যা অনেকটাই অসম্ভবের মতো। ২৩ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পরও সিলেট ৩০ রানে হারে। যাতে করে বারবার মনে হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই ব্যাটার জোন্স এবং জর্জ মানজির সেই ধীর ব্যাটিংয়ের কথা।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
টি-টুয়েন্টি তে ২০৪ রান তাড়া করা এখন স্বাভাবিক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও এখন তা হচ্ছে। একদিকে ছোট বাউন্ডারি তার ওপর ব্যাটিং বান্ধব। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেদিকেই এগিয়ে যাবার কথা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ৭ থেকে ১১ ওভারের ব্যাটিং নিয়ে।
তখন ব্যাটিং করছিলেন স্কটল্যান্ডের সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার হেনরি জর্জ মানজি এবং আমেরিকান অ্যারন জোন্স। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দ্বিতীয় বলেই আউট হন পল স্টার্লিং, শূন্য রানে। আরেক ওপেনার মারকুটে রনি তালুকদার ৯ বলে ৭ রান করে আউট। জাকির হাসান আউট হন ১৯ বলে ২৫ রান করে। তখন ৫.২ ওভারে তিন ব্যাটার আউট হন ৪২ রানে।
এরপর চারে নামা জর্জ মানজি এবং পাঁচে নামা জোন্সের ৫ ওভারের ব্যাটিং নিয়েই যত কৌতূহল। যা ৭ থেকে ১১ ওভারের মধ্যে। মারকুটে ২ ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজে ছিলেন। আগের ম্যাচ গুলোতে যারা ক্যামিও ইনিংস উপহার দিয়েছেন বার কয়েক। কিন্তু সেই দুজনই একদম ধীরস্থির ব্যাটিং উপহার দিয়ে জন্ম দিয়েছেন সমালোচনার।
মোকাবেলা করা ৩০ বলের ১৩টিতেই কোনও রান নেই।এই ৫ ওভারের মধ্যে চার এসেছে মাত্র একটি, তাও আবার অনিয়মিত বোলার শামীম হোসেনের বলে।আরো অবাক করার বিষয় ২ রান আসেনি একটিও। এই গুরুত্বপূর্ণ ৫ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ২০ টি।
মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ১০.৩ ওভারে লেগ বিফোর আউট হবার আগে তিনি করেছেন ১৮ বলে মাত্র ১৫ রান যা আধুনিক টি-টুয়েন্টির মারকুটে যুগে বড়ই বেমানান।
আরেক ব্যাটার জর্জ মানজি অবশ্য পরে রানের গতি বাড়িয়েছেন। আউট হবার আগে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন, যাতে ছিলো ৪ টি ছক্কা এবং চারটি চারের মার। কিন্তু সেই নিদিষ্ট ওভার গুলোতে মানজিও কোন রহস্যেজনক কারন ১৫ বলে মাত্র ৭ রান করেন। আর পরের ৩৯ রান করেন মাত্র ১৪ বলে। সেখানেই রহস্যের দানাবাঁধা শুরু হয় সবার মনে।তাহলে আগে এমন হলো কেনো?
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান করা সিলেট স্ট্রাইকার্স হেরেছে ৩০ রানে।
সিলেটের ব্যাটসম্যান জাকের আলীকে মধ্যের এই ৫ ওভারের ধীরস্থির ব্যাটিং করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি গোপন রাখেননি যে তিনিও অবাক হয়েছেন। সিলেটের স্থানীয় এই ক্রিকেটার খোলামেলা ভাবেই বলেন, ‘মানজি ও জোন্সের কি হয়েছিল তখন জানি না। একটু ধীরস্থির ব্যাটিং করেছে দুজন।’
‘আমরা নিজেরাও সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হয়তো ৩ উইকেট পরে যাবার পর এমনটা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু যদি আর ১০-১৫ রান বেশি আসতো তখন আমরা ম্যাচে থাকতে পারতাম,’ বলেন জাকের আলী।
জাকের যখন ক্রিজে আসেন তখন ৯.৩ ওভারে রান লাগে ১৪১। ওভার প্রতি ১৫ রানের ওপরে যা অনেকটাই অসম্ভবের মতো। ২৩ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পরও সিলেট ৩০ রানে হারে। যাতে করে বারবার মনে হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই ব্যাটার জোন্স এবং জর্জ মানজির সেই ধীর ব্যাটিংয়ের কথা।