চ্যাম্পিয়নস লিগে রেয়াল মাদ্রিদ যতবার শিরোপা জিতেছে অন্য যে কোনও দুই দলের মিলিত শিরোপা জয়ও ততবার নয়। তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা বলা হয় তাদের। কিন্তু এবারের নতুন পদ্ধতির চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদেরকে শুরুতে প্রমান করতে পারেনি তারা।
নতুন আঙ্গিকের ৩৬ দলের এই ইউরোপের ক্লাব সেরার লড়াইয়ে ২২ নম্বর অবস্থানে ছিলো রেয়াল। গতরাতের ম্যাচে হোঁচট খেলেই পরবর্তী রাউন্ডে যাবার প্লে-অফ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা ছিলো। তবে বুধবার রাতের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ জয়ে ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তুলে পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে দলটি। বেঁচে আছে প্লে-অফে খেলার আশা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে শুরুতে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেন রেয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে গোল পেতে খুব বেশী অপেক্ষ করতে হয়নি তাদের।
ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় গোল করেন রদ্রিগো। সেই গোলেই ১-০ তে এগিয়ে যায় রেয়াল। সেই রদ্রিগোই আবার ৩৪ মিনিটে গোল করেন। তাতে ২-০ লিড পায় মাদ্রিদ।
রদ্রির দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেন ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করেন ফরাসি তারকা এমবাপ্পে। সালজবুর্গের গোল কিপার জেনিস ব্লাচউচের পা থেকে ক্ষিপ্ত গতিতে বল কেড়ে নিয়ে গোল করেন এমবাপ্পে। পুরো সালজবুর্গ দল ডিফেন্সে শক্ত অবস্থান গড়েও বাঁচতে পারেনি বড় পরাজয়ের হাত থেকে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৫৫ মিনিটে যোগ দেন গোল উৎসবে। লুকা মদরিচের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ভিনি। তাতে ৪-০ তে এগিয়ে যায় রেয়াল। খেলার ৭৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আবার গোল করলে ৫-০ গোলের নিরাপদ অবস্থানে চলে যায় রেয়াল । ব্রাজিলের তারকা রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দু’জনই করেন ২টি করে গোল।
শেষের দিকে সালজবুর্গ একটি গোল ফেরত দিলেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
সরাসরি শেষ ষোলোয় জায়গা পাওয়ার আশা আগেই ফিকে হয়েছে রেয়ালের। তবে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত সামান্য আশা বাঁচিয়ে রাখতে গতরাতের ম্যাচে শুধু জয় নয়, বড় ব্যবধানও দরকার ছিলো। সেই লক্ষ্য ভালোভাবেই পূরণ করলো ১৫ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
দারুণ এই জয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে উঠেছে রেয়াল। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে জার্মানির দুই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
খুব কঠিন ও অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে মাঠে নামবে এমবাপে-ভিনিসিউস-বেলিংহামদের রেয়াল। তাদের প্রতিপক্ষ ব্রেস্ত। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ফরাসি ক্লাবটি বড় কোনো নাম নয়। তবে এবারের আসরে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে তারা।
৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে সরাসরি পা রেখেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা বার্সেলোনাও নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব।আর্সেনাল রয়েছে তিন নম্বর অবস্থানে।
ঘরের মাঠে বুধবার রাতে দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। আর তাতেই ৭ ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ১৬। তিনে উঠে আসা দলটি শীর্ষ আটে থাকার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
টানা দুই জয়ের পর হারের স্বাদ পাওয়া দিনোমো নেমে গেছে ২৬ নম্বরে। সেরা ২৪-এ থাকার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল তাদের জন্য।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
চ্যাম্পিয়নস লিগে রেয়াল মাদ্রিদ যতবার শিরোপা জিতেছে অন্য যে কোনও দুই দলের মিলিত শিরোপা জয়ও ততবার নয়। তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা বলা হয় তাদের। কিন্তু এবারের নতুন পদ্ধতির চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদেরকে শুরুতে প্রমান করতে পারেনি তারা।
নতুন আঙ্গিকের ৩৬ দলের এই ইউরোপের ক্লাব সেরার লড়াইয়ে ২২ নম্বর অবস্থানে ছিলো রেয়াল। গতরাতের ম্যাচে হোঁচট খেলেই পরবর্তী রাউন্ডে যাবার প্লে-অফ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা ছিলো। তবে বুধবার রাতের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ জয়ে ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তুলে পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে দলটি। বেঁচে আছে প্লে-অফে খেলার আশা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে শুরুতে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেন রেয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে গোল পেতে খুব বেশী অপেক্ষ করতে হয়নি তাদের।
ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় গোল করেন রদ্রিগো। সেই গোলেই ১-০ তে এগিয়ে যায় রেয়াল। সেই রদ্রিগোই আবার ৩৪ মিনিটে গোল করেন। তাতে ২-০ লিড পায় মাদ্রিদ।
রদ্রির দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেন ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করেন ফরাসি তারকা এমবাপ্পে। সালজবুর্গের গোল কিপার জেনিস ব্লাচউচের পা থেকে ক্ষিপ্ত গতিতে বল কেড়ে নিয়ে গোল করেন এমবাপ্পে। পুরো সালজবুর্গ দল ডিফেন্সে শক্ত অবস্থান গড়েও বাঁচতে পারেনি বড় পরাজয়ের হাত থেকে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৫৫ মিনিটে যোগ দেন গোল উৎসবে। লুকা মদরিচের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ভিনি। তাতে ৪-০ তে এগিয়ে যায় রেয়াল। খেলার ৭৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আবার গোল করলে ৫-০ গোলের নিরাপদ অবস্থানে চলে যায় রেয়াল । ব্রাজিলের তারকা রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দু’জনই করেন ২টি করে গোল।
শেষের দিকে সালজবুর্গ একটি গোল ফেরত দিলেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
সরাসরি শেষ ষোলোয় জায়গা পাওয়ার আশা আগেই ফিকে হয়েছে রেয়ালের। তবে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত সামান্য আশা বাঁচিয়ে রাখতে গতরাতের ম্যাচে শুধু জয় নয়, বড় ব্যবধানও দরকার ছিলো। সেই লক্ষ্য ভালোভাবেই পূরণ করলো ১৫ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
দারুণ এই জয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে উঠেছে রেয়াল। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে জার্মানির দুই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
খুব কঠিন ও অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে মাঠে নামবে এমবাপে-ভিনিসিউস-বেলিংহামদের রেয়াল। তাদের প্রতিপক্ষ ব্রেস্ত। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ফরাসি ক্লাবটি বড় কোনো নাম নয়। তবে এবারের আসরে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে তারা।
৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে সরাসরি পা রেখেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা বার্সেলোনাও নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব।আর্সেনাল রয়েছে তিন নম্বর অবস্থানে।
ঘরের মাঠে বুধবার রাতে দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। আর তাতেই ৭ ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ১৬। তিনে উঠে আসা দলটি শীর্ষ আটে থাকার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
টানা দুই জয়ের পর হারের স্বাদ পাওয়া দিনোমো নেমে গেছে ২৬ নম্বরে। সেরা ২৪-এ থাকার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল তাদের জন্য।