চেলসি কোচ এনজো মারেসকা এক সময় ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সহকারী ছিলেন। সে হিসেবে তারা গুরু-শিষ্য। গতকাল রাতের ম্যাচ শেষে দু’জন, জয় পরাজয় ভুলে দীর্ঘসময় জুড়ে দুজনকে জড়িয়ে ধরে রাখলেন।ফলাফলের দিকে নজর ছিলোনা খুব একটা। তবে শিষ্যের কাছ থেকে এমন একটা জয় খুব দরকার ছিলো গুয়াদিওয়ালার। কারন দিন কয়েক আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির কাছে ৪-২ গোলের হার ম্যান সিটির মনোবল একেবারেই তলানিতে নামিয়ে দিয়েছিলো।শনিবার রাতের ৩-১ গোলের জয় সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিবে।
দুদিন আগে চেলসি কোচ এনজো মারেসকার কাছে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা ছিলেঃ ম্যানচেষ্টার সিটির বাজে সময় চলছে এখনই সময় কিনা সিটির মুখোমুখি হবার?
মারেসকার জবাবঃ ‘সিটি আর পেপ গুয়াদিওয়ালার মুখোমুখি হবার সেরা সময় কোনোটাই নয়। যেকোন সময় তারা ভয়ংকর হবার ক্ষমতা রাখে।’
গতকালকের ম্যাচে সিটির জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেলো উজবেকিস্তানে সেন্টার ব্যাক আবদুকোদির খুসানভের। ফরাসি ক্লাব লাঁস থেকে তাকে কিনেছেন পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যাচের শুরুর একাদশেই তাকে রাখা হয়েছিল। তবে প্রথম ম্যাচেই তার হাস্যকর ভুলে প্রথম গোলটি হজম করেছে ম্যানচেষ্টার সিটি। সেই খুসানভের ভুলে আরেকটি গোল হজম করতে করতেও কোনো রকমে বেঁচে গেছে সিটি। নিজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে দলকে রক্ষা করেছেন সেই যাত্রায়।
শেষ অব্দি ম্যাচটি ম্যানচেষ্টার সিটি জিতেছে ৩-১ গোলে। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আর করতে হয়নি তাকে
নয়তো বিরাট কেলেংকারি হয়ে যেতো খুসানভ আর পেপ গুয়ার্দিওলার।
ঘরের মাঠ ইত্তেহাদে খেলতে নেমে ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে ম্যানচেষ্টার সিটি। খুসানভ বল ক্লিয়ার করে গোল কিপার এদারসনকে বাড়াতে গিয়ে চেলসির নিকোলাস জনসনের পায়ে তুলে দেন। জনসন হালকা করে ননী মাদুয়েকে বাড়ালে তিনি নিখুঁত গোল করে চেলসিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
খুসানভকে ভুলের আক্ষেপ বেশিক্ষণ করতে হয়নি। ম্যাচের বিরতিতে যাবার আগে ৪২ মিনিটের সময় ইওস্কো গাভারদিওলের গোলে সমতায় ফিরে ম্যানচেষ্টার সিটি।
বিরতি থেকে ফিরে আরো চড়াও হয় সিটি এবং গোলও পায় তারা।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় এদারসন মোরায়েসের কাছ থেকে বল পেয়ে আর্লিং হ্যালান্ড চেলসির গোল কিপার রর্বাট সানচেজের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে, ২-১ এগিয়ে যায় সিটি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সেই হ্যালান্ডের অ্যাসিস্ট থেকে বল পেয়ে ফিল ফোডেন মাঝ মাঠ থেকে চিতার মতো দ্রুত বেগে দৌড়ে একাই গোল করেন।যা ছিলো চোখে লেগে থাকার মতো।৩-১ এগিয়ে যায় ম্যানচেষ্টারের রাজারা।
পরে আর কোন গোল হয়নি। চেলসি ৩-১ গোলের হার মেনে মাঠ ছাড়ে।
এ ম্যাচে দুজন অভিষিক্ত নিয়ে মাঠে নামে সিটি। খুসানভের মতো,
মিসরিয় ফরোয়ার্ড ওমর মারমউশের অভিষেক হয়েছে। তিনি খেলেছেন অসাধারণ। একটি গোলও করেছিলেন কিন্তু অফসাইডে কাটা পড়েছে সে গোল।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে ম্যানচেষ্টার সিটি। আর চেলসি ২৩ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে চলে গেছে। লিভারপুল ২২ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
চেলসি কোচ এনজো মারেসকা এক সময় ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সহকারী ছিলেন। সে হিসেবে তারা গুরু-শিষ্য। গতকাল রাতের ম্যাচ শেষে দু’জন, জয় পরাজয় ভুলে দীর্ঘসময় জুড়ে দুজনকে জড়িয়ে ধরে রাখলেন।ফলাফলের দিকে নজর ছিলোনা খুব একটা। তবে শিষ্যের কাছ থেকে এমন একটা জয় খুব দরকার ছিলো গুয়াদিওয়ালার। কারন দিন কয়েক আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির কাছে ৪-২ গোলের হার ম্যান সিটির মনোবল একেবারেই তলানিতে নামিয়ে দিয়েছিলো।শনিবার রাতের ৩-১ গোলের জয় সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিবে।
দুদিন আগে চেলসি কোচ এনজো মারেসকার কাছে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা ছিলেঃ ম্যানচেষ্টার সিটির বাজে সময় চলছে এখনই সময় কিনা সিটির মুখোমুখি হবার?
মারেসকার জবাবঃ ‘সিটি আর পেপ গুয়াদিওয়ালার মুখোমুখি হবার সেরা সময় কোনোটাই নয়। যেকোন সময় তারা ভয়ংকর হবার ক্ষমতা রাখে।’
গতকালকের ম্যাচে সিটির জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেলো উজবেকিস্তানে সেন্টার ব্যাক আবদুকোদির খুসানভের। ফরাসি ক্লাব লাঁস থেকে তাকে কিনেছেন পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যাচের শুরুর একাদশেই তাকে রাখা হয়েছিল। তবে প্রথম ম্যাচেই তার হাস্যকর ভুলে প্রথম গোলটি হজম করেছে ম্যানচেষ্টার সিটি। সেই খুসানভের ভুলে আরেকটি গোল হজম করতে করতেও কোনো রকমে বেঁচে গেছে সিটি। নিজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে দলকে রক্ষা করেছেন সেই যাত্রায়।
শেষ অব্দি ম্যাচটি ম্যানচেষ্টার সিটি জিতেছে ৩-১ গোলে। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আর করতে হয়নি তাকে
নয়তো বিরাট কেলেংকারি হয়ে যেতো খুসানভ আর পেপ গুয়ার্দিওলার।
ঘরের মাঠ ইত্তেহাদে খেলতে নেমে ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে ম্যানচেষ্টার সিটি। খুসানভ বল ক্লিয়ার করে গোল কিপার এদারসনকে বাড়াতে গিয়ে চেলসির নিকোলাস জনসনের পায়ে তুলে দেন। জনসন হালকা করে ননী মাদুয়েকে বাড়ালে তিনি নিখুঁত গোল করে চেলসিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
খুসানভকে ভুলের আক্ষেপ বেশিক্ষণ করতে হয়নি। ম্যাচের বিরতিতে যাবার আগে ৪২ মিনিটের সময় ইওস্কো গাভারদিওলের গোলে সমতায় ফিরে ম্যানচেষ্টার সিটি।
বিরতি থেকে ফিরে আরো চড়াও হয় সিটি এবং গোলও পায় তারা।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় এদারসন মোরায়েসের কাছ থেকে বল পেয়ে আর্লিং হ্যালান্ড চেলসির গোল কিপার রর্বাট সানচেজের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে, ২-১ এগিয়ে যায় সিটি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সেই হ্যালান্ডের অ্যাসিস্ট থেকে বল পেয়ে ফিল ফোডেন মাঝ মাঠ থেকে চিতার মতো দ্রুত বেগে দৌড়ে একাই গোল করেন।যা ছিলো চোখে লেগে থাকার মতো।৩-১ এগিয়ে যায় ম্যানচেষ্টারের রাজারা।
পরে আর কোন গোল হয়নি। চেলসি ৩-১ গোলের হার মেনে মাঠ ছাড়ে।
এ ম্যাচে দুজন অভিষিক্ত নিয়ে মাঠে নামে সিটি। খুসানভের মতো,
মিসরিয় ফরোয়ার্ড ওমর মারমউশের অভিষেক হয়েছে। তিনি খেলেছেন অসাধারণ। একটি গোলও করেছিলেন কিন্তু অফসাইডে কাটা পড়েছে সে গোল।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে ম্যানচেষ্টার সিটি। আর চেলসি ২৩ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে চলে গেছে। লিভারপুল ২২ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে।