জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন (ফাইল ছবি)
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ-ভারত প্রথম ম্যাচটি হবে আগামী ২৫ মার্চ। মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামেই হবে ম্যাচটি।মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ম্যাচটির ভেন্যু চূড়ান্ত হয়।
বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় । ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা হামজা চৌধুরীকে শুরু থেকেই পাওয়া যাবে অনুশীলনে।
দেশে কয়েক দিনের অনুশীলন শেষে সৌদি আরবে যাবে বাংলাদেশ দল। হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে সেখানে সপ্তাহ দেড়েক চলবে প্রস্তুতি। তারপর ঢাকায় ফিরে ভারত যাবে দল।
শিলংয়ের এই স্টেডিয়ামে ফিফা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখনও হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আয়োজনের জন্য এএফসি অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এএফসি স্টেডিয়ামটি পর্যবেক্ষণ করে অনুমতি দেয়ায় তাতে প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ১৯৮০ সালেই কেবল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
এবারের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ পড়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের গ্রুপে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
হামজাকে সংবর্ধনা দিতে চায় বাফুফে
বাংলাদেশের ফুটবল এক রোমাঞ্চকর ক্ষণের অপেক্ষায়। ইংলিশ লীগে খেলা প্রবাসী হামজা চৌধুরীর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অভিষেক হওয়া সময়ের ব্যাপার। সম্প্রতি লেস্টার সিটি থেকে চ্যাম্পিয়ন শিপ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে গিয়েও জাদু দেখিয়েছেন এই ফুটবলার।
২৮ ফেব্রুয়ারি হবে বাংলাদেশের ক্যাম্প। এর আগেই হয়তো স্কোয়াডে যোগ দেবেন প্রবাসী হামজা চৌধুরী। তাকে সংবর্ধনা দিতে চায় বাফুফে, কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে কখন তিনি দেশে আসেন এবং সেই সময়টা পাওয়া যায় কিনা তার ওপর।
হামজাকে বরণ নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা জানান সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, ‘হামজা চৌধুরী কেবলই শেফিল্ড ইউনাইটেডে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তার নতুন ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছি। তার সম্ভাব্য আসার দিনের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত কিছু হয়নি। ন্যূনতম উইন্ডো পেলে আমরা অবশ্যই তার জন্য সংবর্ধনার ব্যবস্থা করবো। আমাদের এমনটাই ইচ্ছা আছে।’
তবে হামজা শেষ সময়ে এলে সংবর্ধনা থেকে পিছিয়ে আসতে হবে বললেন তিনি, ‘কিন্তু এসবই নির্ভর করছে তিনি শেষ পর্যন্ত কবে আসছেন, তার ওপর। আমরা কোচের সঙ্গে আলাপ করেই করবো এসব, কারণ অনুশীলনের সঙ্গে তো আপস করা যাবে না। অনুশীলন ও টিম বিল্ডিংই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ফাহাদ করিম আরও বললেন, ‘জাতীয় টিম কমিটির চেয়ারম্যান কোচ ও মার্কেটিংয়ের পক্ষ থেকে আমরা কথা বলে জানবো কোনো তারিখে আসছেন। তবে সব কিছুর ওপরে কোচের পরামর্শ ও রিকমেন্ডেশনকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কারণ টিমের প্রস্তুতি আমাদের কাছে মুখ্য। আর উনি সরাসরি বাংলাদেশে আসবেন নাকি ভেন্যুতে যাবেন, এ ব্যাপার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রাইমারি আলাপ হয়েছিল, আমাদের বলা হয়েছিল তিনি চান ব্যক্তিগতভাবে আগে বাংলাদেশে আসতে। এখান থেকে টিমের সঙ্গে যেতে চান। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তার ক্লাব ও উনাদের অ্যাভেলিবিলিটি বা অপশন আছে।’
সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেয়ার আগে হামজাকে ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছা বাফুফের, এমনটাই বললেন এই সহ-সভাপতি, ‘কিন্তু আমরা সুযোগ পেলে অবশ্যই তাকে সুন্দর সংবর্ধনা দেবো। আমরা মনে করি তার প্রচুর ভক্ত আছে বাংলাদেশ। কোনোভাবে যদি তাকে আমরা ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি, সেদিকে নজর দেবো।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন (ফাইল ছবি)
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ-ভারত প্রথম ম্যাচটি হবে আগামী ২৫ মার্চ। মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামেই হবে ম্যাচটি।মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ম্যাচটির ভেন্যু চূড়ান্ত হয়।
বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় । ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা হামজা চৌধুরীকে শুরু থেকেই পাওয়া যাবে অনুশীলনে।
দেশে কয়েক দিনের অনুশীলন শেষে সৌদি আরবে যাবে বাংলাদেশ দল। হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে সেখানে সপ্তাহ দেড়েক চলবে প্রস্তুতি। তারপর ঢাকায় ফিরে ভারত যাবে দল।
শিলংয়ের এই স্টেডিয়ামে ফিফা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখনও হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আয়োজনের জন্য এএফসি অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এএফসি স্টেডিয়ামটি পর্যবেক্ষণ করে অনুমতি দেয়ায় তাতে প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ১৯৮০ সালেই কেবল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
এবারের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ পড়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের গ্রুপে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
হামজাকে সংবর্ধনা দিতে চায় বাফুফে
বাংলাদেশের ফুটবল এক রোমাঞ্চকর ক্ষণের অপেক্ষায়। ইংলিশ লীগে খেলা প্রবাসী হামজা চৌধুরীর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অভিষেক হওয়া সময়ের ব্যাপার। সম্প্রতি লেস্টার সিটি থেকে চ্যাম্পিয়ন শিপ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে গিয়েও জাদু দেখিয়েছেন এই ফুটবলার।
২৮ ফেব্রুয়ারি হবে বাংলাদেশের ক্যাম্প। এর আগেই হয়তো স্কোয়াডে যোগ দেবেন প্রবাসী হামজা চৌধুরী। তাকে সংবর্ধনা দিতে চায় বাফুফে, কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে কখন তিনি দেশে আসেন এবং সেই সময়টা পাওয়া যায় কিনা তার ওপর।
হামজাকে বরণ নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা জানান সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, ‘হামজা চৌধুরী কেবলই শেফিল্ড ইউনাইটেডে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তার নতুন ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছি। তার সম্ভাব্য আসার দিনের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত কিছু হয়নি। ন্যূনতম উইন্ডো পেলে আমরা অবশ্যই তার জন্য সংবর্ধনার ব্যবস্থা করবো। আমাদের এমনটাই ইচ্ছা আছে।’
তবে হামজা শেষ সময়ে এলে সংবর্ধনা থেকে পিছিয়ে আসতে হবে বললেন তিনি, ‘কিন্তু এসবই নির্ভর করছে তিনি শেষ পর্যন্ত কবে আসছেন, তার ওপর। আমরা কোচের সঙ্গে আলাপ করেই করবো এসব, কারণ অনুশীলনের সঙ্গে তো আপস করা যাবে না। অনুশীলন ও টিম বিল্ডিংই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ফাহাদ করিম আরও বললেন, ‘জাতীয় টিম কমিটির চেয়ারম্যান কোচ ও মার্কেটিংয়ের পক্ষ থেকে আমরা কথা বলে জানবো কোনো তারিখে আসছেন। তবে সব কিছুর ওপরে কোচের পরামর্শ ও রিকমেন্ডেশনকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কারণ টিমের প্রস্তুতি আমাদের কাছে মুখ্য। আর উনি সরাসরি বাংলাদেশে আসবেন নাকি ভেন্যুতে যাবেন, এ ব্যাপার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রাইমারি আলাপ হয়েছিল, আমাদের বলা হয়েছিল তিনি চান ব্যক্তিগতভাবে আগে বাংলাদেশে আসতে। এখান থেকে টিমের সঙ্গে যেতে চান। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তার ক্লাব ও উনাদের অ্যাভেলিবিলিটি বা অপশন আছে।’
সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেয়ার আগে হামজাকে ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছা বাফুফের, এমনটাই বললেন এই সহ-সভাপতি, ‘কিন্তু আমরা সুযোগ পেলে অবশ্যই তাকে সুন্দর সংবর্ধনা দেবো। আমরা মনে করি তার প্রচুর ভক্ত আছে বাংলাদেশ। কোনোভাবে যদি তাকে আমরা ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি, সেদিকে নজর দেবো।’