বরিশালের সাফল্যের রহস্যর কথা জানালেন কোচ মিজানুর রহমান
বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল এবারও দাপটের সঙ্গে খেলে ইতোমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ধারাবাহিক এমন সাফল্যের রহস্য জানিয়েছেন দলটির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। বুধবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলটির কোচ জানান টিম বন্ডিংয়ের কারণেই বরিশালের এমন সাফল্য।
গ্রুপ পর্বে দুই একটি ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি গিয়ে হারলেও বাকি ম্যাচগুলোতে দাপট দেখিয়েছে বরিশাল। তামিম ইকবালরা সেই দাপট অব্যাহত রেখেছে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও। চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। আরও একটি শিরোপার কাছে দাঁড়িয়ে টিম বন্ডিংয়ের কথাই জানালেন মিজানুর, ‘আমাদের যে দলটা গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ওই দলটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। ফলাফল পাওয়ার কারণ হলো বন্ডিং। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন খেলতে আসে দলের প্রতি একটা ফিলিংস কাজ করে। এই দরদের থেকেই ফল বের হয়। বেশিরভাগ ক্রিকেটার গত আসরে যারা খেলেছে, এবারও তারাই আছে। এটা একটা কারণ ফাইনালে ওঠার।’
বরিশালের কোচ আরও যোগ করে বলেন, ‘আমরা যখন দল বানিয়েছি, সবাই বলেছে আমরা চ্যাম্পিয়ন দল। মিডিয়া বলেছে, ক্রিকেটাররাও বলেছে, আপনাদের তো খেলার দরকার নেই। এভাবে মজা নিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আমরা দল করেছি। আমাদের টিম কম্বিনেশন দেখলেও তাই মনে হয়। চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কিনা সেটা ৭ তারিখে বোঝা যাবে। তবে আমরা ফাইনালে উঠেছি। আমাদের কম্বিনেশন, টিম বন্ডিং কাজ করেছে। আমরা প্রথম দিন থেকেই চেয়েছি যে ফাইনাল খেলবো। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়েছি এবং যেতে পেরেছি।’
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হওয়া চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সর বিজয়ীর বিপক্ষে ৭ ফেব্রুয়ারির শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বরিশাল। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না বরিশাল, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে যে কেউই আসুক, আমাদের খেলতে হবে। আমি যদি বলি, একে চাই, ওকে চাই তাহলে অন্য একটা দলকে ছোট করা হবে। যে-ই আসুক, তাদেরকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। দুই দলের প্রতিই শুভকামনা রইল। যারাই আসুক, তাদের সঙ্গে আমরা খেলবো।’
পুরো আসরে সব ম্যাচ খেললে রানে ছিলেন না তাওহীদ হৃদয়। তবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রানে ফিরেছেন এই তরুণ। তাওহীদের ফর্ম নিয়ে বরিশালের কোচ জানান, ‘হৃদয়ের প্রতি সবসময় আমাদের বিশ্বাস ছিল। আমরা যখন তাকে নিয়েছি... সে এখন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারের একজন। আমরা সেভাবেই তাকে নিয়েছি। শুরু থেকেই তার একটা রানের ক্ষুধা ছিল, সে রান করতে চায় সবসময়। আমরা তাকে সবসময় ব্যাক করেছি। সর্বশেষ ম্যাচে সে রান করেছে। এছাড়া সে যেন ডিমোরালাইজ না হয় বা কোনো কিছু না হয়, সেটা আমরা আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করেছি যে, যেকোনো সময় তুমি রান করবা।’
রানে ফেরার টোটকা হৃদয় নিজ উদ্যোগেই পেয়েছেন উল্লেখ করে কোচ বলেছেন, ‘নিজের উদ্যোগেই কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় রান করা যাবে, সে নিজে বের করেছে। আমরা তাকে অনুশীলনে বা অন্যভাবে মানসিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।’
কোচ হিসেব বেশ সফল মিজানুর। গত আসরে বরিশাল তার কোচিংয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জাতীয় লীগের (টি-২০) চ্যাম্পিয়ন না হলেও ঢাকা মেট্রো ফাইনাল খেলেছিল। সেই দলের কোচ ছিলেন তিনি। এর বাইরে জাতীয় লীগ লংসার ভার্সনে বেশ কিছু দলের সফল কোচও তিনি। তারপরও তাকে আন্ডাররেট করা হয়। যদিও বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের সবাইকেই কম বেশি আন্ডাররেট করা হয়। এ প্রসঙ্গে মিজানুর বলেন, ‘কারা রেটিং করে, কীভাবে করে সেটা তো আসলে যারা রেট করে তারা বুঝবে। আমার কাজ হলো কোচিং করানো, ভালো কিছু করা। আমি চেষ্টা করি আমার তরফ থেকে। যারা বিচার করবে, আরেকটা জায়গা থেকে। তারা তাদের দৃষ্টিতে... ওইটা তো আমার হাতে নেই। আমার হাতে যেটা, আমি চেষ্টা করি একটা দলকে কীভাবে সমন্বয় করা যায়। এই বছর আমার ভালো হচ্ছে। জাতীয় লীগে চার দিনের সংস্করণ ও টি-২০তে আমার দল ফাইনাল খেলেছে। গত বছর বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবছরও আমার দল ফাইনালে উঠেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
বরিশালের সাফল্যের রহস্যর কথা জানালেন কোচ মিজানুর রহমান
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল এবারও দাপটের সঙ্গে খেলে ইতোমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ধারাবাহিক এমন সাফল্যের রহস্য জানিয়েছেন দলটির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। বুধবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলটির কোচ জানান টিম বন্ডিংয়ের কারণেই বরিশালের এমন সাফল্য।
গ্রুপ পর্বে দুই একটি ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি গিয়ে হারলেও বাকি ম্যাচগুলোতে দাপট দেখিয়েছে বরিশাল। তামিম ইকবালরা সেই দাপট অব্যাহত রেখেছে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও। চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। আরও একটি শিরোপার কাছে দাঁড়িয়ে টিম বন্ডিংয়ের কথাই জানালেন মিজানুর, ‘আমাদের যে দলটা গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ওই দলটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। ফলাফল পাওয়ার কারণ হলো বন্ডিং। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন খেলতে আসে দলের প্রতি একটা ফিলিংস কাজ করে। এই দরদের থেকেই ফল বের হয়। বেশিরভাগ ক্রিকেটার গত আসরে যারা খেলেছে, এবারও তারাই আছে। এটা একটা কারণ ফাইনালে ওঠার।’
বরিশালের কোচ আরও যোগ করে বলেন, ‘আমরা যখন দল বানিয়েছি, সবাই বলেছে আমরা চ্যাম্পিয়ন দল। মিডিয়া বলেছে, ক্রিকেটাররাও বলেছে, আপনাদের তো খেলার দরকার নেই। এভাবে মজা নিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আমরা দল করেছি। আমাদের টিম কম্বিনেশন দেখলেও তাই মনে হয়। চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কিনা সেটা ৭ তারিখে বোঝা যাবে। তবে আমরা ফাইনালে উঠেছি। আমাদের কম্বিনেশন, টিম বন্ডিং কাজ করেছে। আমরা প্রথম দিন থেকেই চেয়েছি যে ফাইনাল খেলবো। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়েছি এবং যেতে পেরেছি।’
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হওয়া চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সর বিজয়ীর বিপক্ষে ৭ ফেব্রুয়ারির শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বরিশাল। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না বরিশাল, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে যে কেউই আসুক, আমাদের খেলতে হবে। আমি যদি বলি, একে চাই, ওকে চাই তাহলে অন্য একটা দলকে ছোট করা হবে। যে-ই আসুক, তাদেরকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। দুই দলের প্রতিই শুভকামনা রইল। যারাই আসুক, তাদের সঙ্গে আমরা খেলবো।’
পুরো আসরে সব ম্যাচ খেললে রানে ছিলেন না তাওহীদ হৃদয়। তবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রানে ফিরেছেন এই তরুণ। তাওহীদের ফর্ম নিয়ে বরিশালের কোচ জানান, ‘হৃদয়ের প্রতি সবসময় আমাদের বিশ্বাস ছিল। আমরা যখন তাকে নিয়েছি... সে এখন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারের একজন। আমরা সেভাবেই তাকে নিয়েছি। শুরু থেকেই তার একটা রানের ক্ষুধা ছিল, সে রান করতে চায় সবসময়। আমরা তাকে সবসময় ব্যাক করেছি। সর্বশেষ ম্যাচে সে রান করেছে। এছাড়া সে যেন ডিমোরালাইজ না হয় বা কোনো কিছু না হয়, সেটা আমরা আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করেছি যে, যেকোনো সময় তুমি রান করবা।’
রানে ফেরার টোটকা হৃদয় নিজ উদ্যোগেই পেয়েছেন উল্লেখ করে কোচ বলেছেন, ‘নিজের উদ্যোগেই কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় রান করা যাবে, সে নিজে বের করেছে। আমরা তাকে অনুশীলনে বা অন্যভাবে মানসিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।’
কোচ হিসেব বেশ সফল মিজানুর। গত আসরে বরিশাল তার কোচিংয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জাতীয় লীগের (টি-২০) চ্যাম্পিয়ন না হলেও ঢাকা মেট্রো ফাইনাল খেলেছিল। সেই দলের কোচ ছিলেন তিনি। এর বাইরে জাতীয় লীগ লংসার ভার্সনে বেশ কিছু দলের সফল কোচও তিনি। তারপরও তাকে আন্ডাররেট করা হয়। যদিও বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের সবাইকেই কম বেশি আন্ডাররেট করা হয়। এ প্রসঙ্গে মিজানুর বলেন, ‘কারা রেটিং করে, কীভাবে করে সেটা তো আসলে যারা রেট করে তারা বুঝবে। আমার কাজ হলো কোচিং করানো, ভালো কিছু করা। আমি চেষ্টা করি আমার তরফ থেকে। যারা বিচার করবে, আরেকটা জায়গা থেকে। তারা তাদের দৃষ্টিতে... ওইটা তো আমার হাতে নেই। আমার হাতে যেটা, আমি চেষ্টা করি একটা দলকে কীভাবে সমন্বয় করা যায়। এই বছর আমার ভালো হচ্ছে। জাতীয় লীগে চার দিনের সংস্করণ ও টি-২০তে আমার দল ফাইনাল খেলেছে। গত বছর বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবছরও আমার দল ফাইনালে উঠেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’