বিপিএলে চ্যাম্পিয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে ফরচুন বরিশাল। গত আসরের মতো এবারো হয়েছে তারা চ্যাম্পিয়ন। আজ মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা চিটাগং কিংসকে হারিয়েছে ৩ উইকেটে।
প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং কিংস করেছিলো ১৯৪। ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেট এবং ৩ বল হাতে রেখে ১৯৫ রানের লক্ষ্যে পৌছে যায়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলের ফাইনালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় চিটাগং কিংস। বিনা উইকেটে ১২.৩ বলে ১২০ রান করে তাদের উদ্বোধনী জুটি। শুরুটা চ্যাম্পিয়নদের মতোই হয়েছিলো চিটাগং কিংসের। দলের দেশী ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন ৪৯ বলে ৭৮ রান করতে মারেন ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার। গোরহাম ক্লার্ক ২৩ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে ৪৪ রান। আর পাকিস্তানি খাজা নাফে করেন ৪৪ বলে ৬৬ রান, যার মধ্যে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা ছিলো।
মাঠ ভরা দর্শক আর ব্যাট ভরা রানে ফাইনাল হয়েছে চোখ ধাঁধানো।দর্শক দীর্ঘদিন মনে রাখবে বিশেষ করে বরিশালের সমর্থকদের উদযাপন ছিলো শতরঞ্জির মতো। বিভিন্ন সাজে তারা নিজ দলকে সাপোর্ট করতে মাঠে এসেছেন। সদরঘাট দিয়ে লঞ্চে চড়ে বিপুল পরিমাণ দর্শক সকাল থেকেই ছিলো মিরপুর স্টেডিয়াম মুখী। রাত জেগে প্রিয় দলকে সাপোর্ট করতে তারা ঢাকায় এসেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে।
বরিশালের ব্যাটিংও ছিলো সমানে সমান। তবে মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলেছিলে তারা। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল খান এবং তৌহিদ হৃদয়।
বিনা উইকেটে ৮ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে। দলীয় ৭৬ রানে দলীয় ক্যাপটেন তামিম ইকবাল আউট হন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। তামিম ৫৪ রান করতে খেলেন ২৯ বল। ৯টি চার এবং ১টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
তামিম আউট হবার পর কিছু সময়ের জন্য খেলায় ফিরে এসেছিলো চিটাগং কিংস। শরিফুল ইসলামের বলে বরিশালের ইংলিশ মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান এলবিডব্লুর শিকার হন। তাতে ৮.৪ বলে ৭৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খেলায় ছন্দ পতন হয় বরিশালের। স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো বরিশাল শিবির। বিপরীতে জেগে ওঠে চিটাগং কিংস।
কাইল মায়ার্সকে সাথে নিয়ে হৃদয় ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু আরাফাত সানির অফ স্টাম্পের বাইরের একটি নীচু বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডীপ মিড উইকেটে নাঈম ইসলামের হাতে ধরা পরেন। ব্যক্তিগত ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন তৌহিদ হৃদয়। দলীয় রান তখন ৯৬ তিন উইকেট হারিয়ে।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম উইকেটে এসে কাইল মায়ার্সের সাথে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে সহায়তা করেন।এর মধ্যে মায়ারস দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালের দর্শকদের আবার জাগিয়ে তুলেন।কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। নাঈম ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন মুশফিক। অন্য প্রান্তে মায়ারস ঠিকই দ্রুত রান তুলে সবকিছু সামাল দেন। তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে দিয়েছেন অভয় এবং সাহস। বার বার তাদেরকে সলা পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে মাঠে।
মায়ার্সের ইনিংসটি ছিলো চোখে লেগে থাকার মতো। তবে নাঈম ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হঠাৎই আউট হন। তার আগে তিনি ২৮ বলে ৪৬ রান করেন, যার মধ্যে ৩টি বিশাল ছক্কার মার ছিলো। বল স্টেডিয়ামে আছড়ে পরেছে।
অন্য প্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। আবারো কিছু সময় শংকায় পড়ে বরিশাল। কিন্তু দেশি ব্যাটার রিশাদ হোসেন ছোট ঝড় তুলে বরিশালের জয়ের জাহাজ ঘাটে নোঙর করান। তিনি ৬ বল মোকাবেলা করে ১৮ রান করেন। তাতে ছিলো ২টি ছক্কার মার, যা ছিলো সময়োপযোগী।
স্কোরবোর্ড
চিটাগং কিংস: (খাজা নাফে ৬৬, পারভেজ হোসেন ইমন ৭৮, গারহাম ক্লার্ক ৪৪, মোহাম্মদ আলী ২১/১
ইবাদত হোসেন ৩৫/১)
ফরচুন বরিশাল: (তামিম ইকবাল ৫৪, তৌহিদ হৃদয় ৩২, কাইল মায়ার্স ৪৬, রিশাদ হোসেন ১৮, শরিফুল ইসলাম ৩৪/৪, নাঈম ইসলাম ১৮/২)
ফলাফল ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিপিএলে চ্যাম্পিয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে ফরচুন বরিশাল। গত আসরের মতো এবারো হয়েছে তারা চ্যাম্পিয়ন। আজ মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা চিটাগং কিংসকে হারিয়েছে ৩ উইকেটে।
প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং কিংস করেছিলো ১৯৪। ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেট এবং ৩ বল হাতে রেখে ১৯৫ রানের লক্ষ্যে পৌছে যায়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলের ফাইনালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় চিটাগং কিংস। বিনা উইকেটে ১২.৩ বলে ১২০ রান করে তাদের উদ্বোধনী জুটি। শুরুটা চ্যাম্পিয়নদের মতোই হয়েছিলো চিটাগং কিংসের। দলের দেশী ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন ৪৯ বলে ৭৮ রান করতে মারেন ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার। গোরহাম ক্লার্ক ২৩ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে ৪৪ রান। আর পাকিস্তানি খাজা নাফে করেন ৪৪ বলে ৬৬ রান, যার মধ্যে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা ছিলো।
মাঠ ভরা দর্শক আর ব্যাট ভরা রানে ফাইনাল হয়েছে চোখ ধাঁধানো।দর্শক দীর্ঘদিন মনে রাখবে বিশেষ করে বরিশালের সমর্থকদের উদযাপন ছিলো শতরঞ্জির মতো। বিভিন্ন সাজে তারা নিজ দলকে সাপোর্ট করতে মাঠে এসেছেন। সদরঘাট দিয়ে লঞ্চে চড়ে বিপুল পরিমাণ দর্শক সকাল থেকেই ছিলো মিরপুর স্টেডিয়াম মুখী। রাত জেগে প্রিয় দলকে সাপোর্ট করতে তারা ঢাকায় এসেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে।
বরিশালের ব্যাটিংও ছিলো সমানে সমান। তবে মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলেছিলে তারা। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল খান এবং তৌহিদ হৃদয়।
বিনা উইকেটে ৮ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে। দলীয় ৭৬ রানে দলীয় ক্যাপটেন তামিম ইকবাল আউট হন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। তামিম ৫৪ রান করতে খেলেন ২৯ বল। ৯টি চার এবং ১টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
তামিম আউট হবার পর কিছু সময়ের জন্য খেলায় ফিরে এসেছিলো চিটাগং কিংস। শরিফুল ইসলামের বলে বরিশালের ইংলিশ মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান এলবিডব্লুর শিকার হন। তাতে ৮.৪ বলে ৭৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খেলায় ছন্দ পতন হয় বরিশালের। স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো বরিশাল শিবির। বিপরীতে জেগে ওঠে চিটাগং কিংস।
কাইল মায়ার্সকে সাথে নিয়ে হৃদয় ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু আরাফাত সানির অফ স্টাম্পের বাইরের একটি নীচু বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডীপ মিড উইকেটে নাঈম ইসলামের হাতে ধরা পরেন। ব্যক্তিগত ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন তৌহিদ হৃদয়। দলীয় রান তখন ৯৬ তিন উইকেট হারিয়ে।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম উইকেটে এসে কাইল মায়ার্সের সাথে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে সহায়তা করেন।এর মধ্যে মায়ারস দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালের দর্শকদের আবার জাগিয়ে তুলেন।কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। নাঈম ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন মুশফিক। অন্য প্রান্তে মায়ারস ঠিকই দ্রুত রান তুলে সবকিছু সামাল দেন। তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে দিয়েছেন অভয় এবং সাহস। বার বার তাদেরকে সলা পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে মাঠে।
মায়ার্সের ইনিংসটি ছিলো চোখে লেগে থাকার মতো। তবে নাঈম ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হঠাৎই আউট হন। তার আগে তিনি ২৮ বলে ৪৬ রান করেন, যার মধ্যে ৩টি বিশাল ছক্কার মার ছিলো। বল স্টেডিয়ামে আছড়ে পরেছে।
অন্য প্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। আবারো কিছু সময় শংকায় পড়ে বরিশাল। কিন্তু দেশি ব্যাটার রিশাদ হোসেন ছোট ঝড় তুলে বরিশালের জয়ের জাহাজ ঘাটে নোঙর করান। তিনি ৬ বল মোকাবেলা করে ১৮ রান করেন। তাতে ছিলো ২টি ছক্কার মার, যা ছিলো সময়োপযোগী।
স্কোরবোর্ড
চিটাগং কিংস: (খাজা নাফে ৬৬, পারভেজ হোসেন ইমন ৭৮, গারহাম ক্লার্ক ৪৪, মোহাম্মদ আলী ২১/১
ইবাদত হোসেন ৩৫/১)
ফরচুন বরিশাল: (তামিম ইকবাল ৫৪, তৌহিদ হৃদয় ৩২, কাইল মায়ার্স ৪৬, রিশাদ হোসেন ১৮, শরিফুল ইসলাম ৩৪/৪, নাঈম ইসলাম ১৮/২)
ফলাফল ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী