বিপিএল ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টায়। কিন্তু ক্রিকেটভক্তরা ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ফাইনাল দেখার জন্য এতটাই উৎসুক ছিলেন যে, ম্যাচ শুরুর ৪/৫ ঘণ্টা আগে থেকেই গ্যালারিতে বসে ক্রিকেটারদের নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন, মাঠে অনুশীলনরত প্রিয় তারকাদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। এরমধ্যে ভক্তদের আকর্ষণের অন্যতম ছিলেন জেমি নিশাম।
নিশামকে ফাইনালের আগে সুদূর নিউজিল্যান্ড থেকে উড়িয়ে এনেছিল বরিশাল। খেলা শুরুর আগের অনুশীলনে যখন দুই একবার কিউই এই অলরাউন্ডারকে দেখা গিয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ভক্তরা। অনেকেরই আশা ছিল, নিশামের ব্যাট ও বোলিং দেখবেন তারা।
কিন্তু নিশামকে একাদশেই রাখেনি বরিশাল। যা দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তবে কেন কিউই অলরাউন্ডারকে দলে নেয়নি বরিশাল, ম্যাচের পর তা ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম বলেন, ‘নিশামের ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার ছিলাম। আমি একদম নিশ্চিত ছিলাম, তাকে খেলাবো না। সেটা আমি আমাদের মালিককেও বলে দিয়েছি। আমি নিশামকে আগের দিন (বৃহস্পতিবার) বলে দিয়েছি তুমি খেলছো না। আমি কম্বিনেশন ভাঙতে চাইনি।’
মূলত নিশামকে ব্যাকআপ হিসেবে এনেছিল বরিশাল। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ যদি ইনজুরিতে পড়েন, তাহলে সেখানে নিশামকে খেলানোর পরিকল্পনা ছিল বরিশালের।
ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে তামিম বলেন, ‘বিদেশিদের মধ্যে আমাদের একজন মাত্র পেসার আছেন। যদি কোনো ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডার ব্যথা পেয়ে যায়, তাকে রিপ্লেস করার কেউ ছিল না। আমরা আসলে সেই চিন্তা করে নিশামকে এনেছি। একাদশে রাখবোই এমন ভেবে নয়। আমি জানি ও বিশ্বাস করি, নিশাম খেলার জন্য যোগ্য ছিল। এই বিপিএলের যেকোনো দলে খেলার সামর্থ্য আছে তার। তবে আমি তারপরও তাকে খেলাতে চাইনি।’
এতদিনের টিম কম্বিনেশন ভাঙবেন না বলেই এমন সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘ভিনদেশিদের প্রায় সবাই গড়পড়তা ৬/৭ টা বা তারও বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। দলের সাথে মিশে গেছে। উইকেট কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ দলগুলো সম্পর্কেও তাদের সবার ধারণা পরিষ্কার। আমরা যে চিটাগং কিংসের সঙ্গে ফাইনাল খেললাম, তাদের সাথেও রবিন লিগ ও কোয়ালিফায়ার মিলে তিনবার খেলা হয়েছে। যে ৪ বিদেশি ওই ৩ ম্যাচ খেলেছে, তাদের চিটাগং সম্পর্কে ধারণা অনেক বেশি পরিষ্কার। ওই দলের সঙ্গে করণীয় কাজ কী, তাও ভালো জানা। তাই আমি ওই ৪ জনের কাউকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবিনি। আমি মনের দিক থেকে খুব ক্লিয়ার ছিলাম ওই ফরেন কম্বিনেশন আমি ভাঙবো না।’
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিপিএল ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টায়। কিন্তু ক্রিকেটভক্তরা ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ফাইনাল দেখার জন্য এতটাই উৎসুক ছিলেন যে, ম্যাচ শুরুর ৪/৫ ঘণ্টা আগে থেকেই গ্যালারিতে বসে ক্রিকেটারদের নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন, মাঠে অনুশীলনরত প্রিয় তারকাদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। এরমধ্যে ভক্তদের আকর্ষণের অন্যতম ছিলেন জেমি নিশাম।
নিশামকে ফাইনালের আগে সুদূর নিউজিল্যান্ড থেকে উড়িয়ে এনেছিল বরিশাল। খেলা শুরুর আগের অনুশীলনে যখন দুই একবার কিউই এই অলরাউন্ডারকে দেখা গিয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ভক্তরা। অনেকেরই আশা ছিল, নিশামের ব্যাট ও বোলিং দেখবেন তারা।
কিন্তু নিশামকে একাদশেই রাখেনি বরিশাল। যা দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তবে কেন কিউই অলরাউন্ডারকে দলে নেয়নি বরিশাল, ম্যাচের পর তা ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম বলেন, ‘নিশামের ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার ছিলাম। আমি একদম নিশ্চিত ছিলাম, তাকে খেলাবো না। সেটা আমি আমাদের মালিককেও বলে দিয়েছি। আমি নিশামকে আগের দিন (বৃহস্পতিবার) বলে দিয়েছি তুমি খেলছো না। আমি কম্বিনেশন ভাঙতে চাইনি।’
মূলত নিশামকে ব্যাকআপ হিসেবে এনেছিল বরিশাল। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ যদি ইনজুরিতে পড়েন, তাহলে সেখানে নিশামকে খেলানোর পরিকল্পনা ছিল বরিশালের।
ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে তামিম বলেন, ‘বিদেশিদের মধ্যে আমাদের একজন মাত্র পেসার আছেন। যদি কোনো ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডার ব্যথা পেয়ে যায়, তাকে রিপ্লেস করার কেউ ছিল না। আমরা আসলে সেই চিন্তা করে নিশামকে এনেছি। একাদশে রাখবোই এমন ভেবে নয়। আমি জানি ও বিশ্বাস করি, নিশাম খেলার জন্য যোগ্য ছিল। এই বিপিএলের যেকোনো দলে খেলার সামর্থ্য আছে তার। তবে আমি তারপরও তাকে খেলাতে চাইনি।’
এতদিনের টিম কম্বিনেশন ভাঙবেন না বলেই এমন সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘ভিনদেশিদের প্রায় সবাই গড়পড়তা ৬/৭ টা বা তারও বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। দলের সাথে মিশে গেছে। উইকেট কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ দলগুলো সম্পর্কেও তাদের সবার ধারণা পরিষ্কার। আমরা যে চিটাগং কিংসের সঙ্গে ফাইনাল খেললাম, তাদের সাথেও রবিন লিগ ও কোয়ালিফায়ার মিলে তিনবার খেলা হয়েছে। যে ৪ বিদেশি ওই ৩ ম্যাচ খেলেছে, তাদের চিটাগং সম্পর্কে ধারণা অনেক বেশি পরিষ্কার। ওই দলের সঙ্গে করণীয় কাজ কী, তাও ভালো জানা। তাই আমি ওই ৪ জনের কাউকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবিনি। আমি মনের দিক থেকে খুব ক্লিয়ার ছিলাম ওই ফরেন কম্বিনেশন আমি ভাঙবো না।’