এক ম্যাচে গোল হয়েছে ৭টি, আরেকটিতে ১টি। তবে মোট গোল যতই হোক, দুই ম্যাচেই জয়ের ব্যবধান এক গোলেরই। আজ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বল্প ব্যবধানের এই জয় দুটি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের।
ক্লদিও এচেভেরি ও মরিসিও কারিজ্জোরা যে আর্জেন্টাইন ফুটবলে নতুন দিনের গান গাইছেন, সেটা তাঁদের পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার। কারাকাসে আজ যেমন চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে ৫২ মিনিটের মধ্যে ৩–০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার খুদেরা। ৬৯ মিনিটে স্কোরলাইন হয় ৪–১। এরপর অবশ্য কিছুটা নাটকীয়তাও দেখা গেছে। ৮৬ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল উরুগুয়ে, কিন্তু ফেরা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪–৩ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
ব্রাজিল অনূর্ধ্ব–২০ দল সে তুলনায় ছুটছে একটু ঢিমেতালে। যেন একের নামতা পড়ছে! চূড়ান্ত পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ১–০ গোলে জয়ের পর আজ কারাকাসে দ্বিতীয় ম্যাচেও ফল একই। কলম্বিয়াকে হারিয়েছে ১–০ গোলে। পেদ্রো হেনরিকের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ডিফেন্ডার লাগো দা সিলভা। ৮৭ মিনিটে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের রাইটব্যাক ইগর সেরোতে। এর আগে উরুগুয়ের বিপক্ষেও ১০ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিল ব্রাজিল।
গ্রুপপর্ব ও চূড়ান্তপর্ব মিলিয়ে ৬ ম্যাচের ২টিতে হারা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত করেছে মাত্র ৭ গোল। বিপরীতে গ্রুপপর্বে চার ম্যাচে ৮, আর চূড়ান্ত পর্বে ২ ম্যাচে ৬ গোল মিলিয়ে ৬ ম্যাচে মোট ১৪ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে গোল করার দৌড়ে আর্জেন্টিনা যদি হয় ইশপের গল্পের ‘খরগোশ’, ব্রাজিল তাহলে ‘কচ্ছপ’। অবশ্য গল্পে শেষ পর্যন্ত কচ্ছপের জয় হলেও মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত শুধু আর্জেন্টিনাই।
যুবাদের এই মহাদেশীয় অনুর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে ফাইনাল কিংবা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নেই। ছয় দল নিয়ে গঠিত চূড়ান্ত পর্বে লিগভিত্তিক খেলা শেষে যে দল শীর্ষে থাকবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম দুটি গোল করেন ক্লদিও এচেভেরি, যিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলে ‘নতুন মেসি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। গত বছর জানুয়ারিতেই এই ১৯ বছর বয়সীর সঙ্গে চুক্তি সেরে রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচে আর্জেন্টিনার অন্য দুটি গোল সেন্টার ফরোয়ার্ড মরিসিও কারিজ্জোর।
এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বের পারফরম্যান্স দিয়ে চিলিতে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে আছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ৬ দলের চূড়ান্ত পর্বে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে সমান জয় ও সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল। শীর্ষ চারটি দল বিশ্বকাপ টিকিট পাবে। ব্রাজিল দল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর আর্জেন্টিনা দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচটি জিতলেই ছোটদের বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে।
পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানের জন্যও সুযোগ থাকছে। বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে চিলি এরই মধ্যে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। চিলি পঞ্চম স্থানে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করলে পরের দলটি সুযোগ পেয়ে যাবে।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
এক ম্যাচে গোল হয়েছে ৭টি, আরেকটিতে ১টি। তবে মোট গোল যতই হোক, দুই ম্যাচেই জয়ের ব্যবধান এক গোলেরই। আজ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বল্প ব্যবধানের এই জয় দুটি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের।
ক্লদিও এচেভেরি ও মরিসিও কারিজ্জোরা যে আর্জেন্টাইন ফুটবলে নতুন দিনের গান গাইছেন, সেটা তাঁদের পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার। কারাকাসে আজ যেমন চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে ৫২ মিনিটের মধ্যে ৩–০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার খুদেরা। ৬৯ মিনিটে স্কোরলাইন হয় ৪–১। এরপর অবশ্য কিছুটা নাটকীয়তাও দেখা গেছে। ৮৬ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল উরুগুয়ে, কিন্তু ফেরা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪–৩ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
ব্রাজিল অনূর্ধ্ব–২০ দল সে তুলনায় ছুটছে একটু ঢিমেতালে। যেন একের নামতা পড়ছে! চূড়ান্ত পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ১–০ গোলে জয়ের পর আজ কারাকাসে দ্বিতীয় ম্যাচেও ফল একই। কলম্বিয়াকে হারিয়েছে ১–০ গোলে। পেদ্রো হেনরিকের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ডিফেন্ডার লাগো দা সিলভা। ৮৭ মিনিটে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের রাইটব্যাক ইগর সেরোতে। এর আগে উরুগুয়ের বিপক্ষেও ১০ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিল ব্রাজিল।
গ্রুপপর্ব ও চূড়ান্তপর্ব মিলিয়ে ৬ ম্যাচের ২টিতে হারা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত করেছে মাত্র ৭ গোল। বিপরীতে গ্রুপপর্বে চার ম্যাচে ৮, আর চূড়ান্ত পর্বে ২ ম্যাচে ৬ গোল মিলিয়ে ৬ ম্যাচে মোট ১৪ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে গোল করার দৌড়ে আর্জেন্টিনা যদি হয় ইশপের গল্পের ‘খরগোশ’, ব্রাজিল তাহলে ‘কচ্ছপ’। অবশ্য গল্পে শেষ পর্যন্ত কচ্ছপের জয় হলেও মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত শুধু আর্জেন্টিনাই।
যুবাদের এই মহাদেশীয় অনুর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে ফাইনাল কিংবা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নেই। ছয় দল নিয়ে গঠিত চূড়ান্ত পর্বে লিগভিত্তিক খেলা শেষে যে দল শীর্ষে থাকবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম দুটি গোল করেন ক্লদিও এচেভেরি, যিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলে ‘নতুন মেসি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। গত বছর জানুয়ারিতেই এই ১৯ বছর বয়সীর সঙ্গে চুক্তি সেরে রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচে আর্জেন্টিনার অন্য দুটি গোল সেন্টার ফরোয়ার্ড মরিসিও কারিজ্জোর।
এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বের পারফরম্যান্স দিয়ে চিলিতে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে আছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ৬ দলের চূড়ান্ত পর্বে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে সমান জয় ও সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল। শীর্ষ চারটি দল বিশ্বকাপ টিকিট পাবে। ব্রাজিল দল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর আর্জেন্টিনা দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচটি জিতলেই ছোটদের বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে।
পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানের জন্যও সুযোগ থাকছে। বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে চিলি এরই মধ্যে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। চিলি পঞ্চম স্থানে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করলে পরের দলটি সুযোগ পেয়ে যাবে।