ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছেড়েছিলেন আগেই, এবার ওয়ানডে দিয়ে শেষ হলো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানান।
> "সকল প্রশংসা কেবল সর্বশক্তিমান আল্লাহর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।"
সতীর্থ ও কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান ভক্তদের, যারা সবসময় তার পাশে ছিলেন। বিদায় বেলায় বাবা-মা ও স্ত্রীর পরিবারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ছেলেবেলা থেকেই ‘কোচ ও মেন্টর’ হয়ে পাশে থাকার জন্য বড় ভাই এমদাদ উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাহমুদউল্লাহ।
তার বিদায়ী বার্তায় স্ত্রী-সন্তানদের কথাও ছিল—
> "...সবশেষে, ধন্যবাদ আমার স্ত্রী ও সন্তানদের, যে কোনো পরিস্থিতিতে সবসময় যারা আমার সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে ছিল। আমি জানি, রাইদ (মাহমুদউল্লাহর ছেলে) আমাকে লাল-সবুজের জার্সিতে মিস করবে।"
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি, টানা চার ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি চোটের কারণে, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৪ রান করে আউট হন। এরপর থেকেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সম্প্রতি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে রাখা হয়নি। জানা গেছে, নিজেই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন চুক্তিতে না রাখতে। এরপরই তার ভবিষ্যৎ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল এবার।
তবে বিদায়টা তার মনের মতো হয়নি, সেটি স্পষ্ট তার শেষ কথায়—
> "সবকিছুর সমাপ্তি সবসময় নিখুঁত হয় না। তবে হ্যাঁ বলতে হয় এবং সামনে এগিয়ে যেতে হয়। শান্তি... আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।"
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে ইতিহাস গড়েন। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
কিন্তু ২০২৩ সালের ইংল্যান্ড সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন। বিশ্বকাপের আগে ফিরে এলেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তিনি সফল ছিলেন, সাত ইনিংসে ৩২৮ রান করেন ৫৪.৬৬ গড়ে।
২৩৯ ওয়ানডে খেলে ৫ হাজার ৬৮৯ রান নিয়ে শেষ হলো তার ক্যারিয়ার, যেখানে আছে চারটি সেঞ্চুরি ও ৩২টি ফিফটি। বল হাতে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।
৫০ টেস্ট খেলে ২০২১ সালে টেস্ট থেকে বিদায় নেন তিনি। গত অক্টোবরে ভারত সফর দিয়ে ইতি টানেন ১৪১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের। এবার ওয়ানডের বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হলো তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধ্যায়।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছেড়েছিলেন আগেই, এবার ওয়ানডে দিয়ে শেষ হলো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানান।
> "সকল প্রশংসা কেবল সর্বশক্তিমান আল্লাহর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।"
সতীর্থ ও কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান ভক্তদের, যারা সবসময় তার পাশে ছিলেন। বিদায় বেলায় বাবা-মা ও স্ত্রীর পরিবারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ছেলেবেলা থেকেই ‘কোচ ও মেন্টর’ হয়ে পাশে থাকার জন্য বড় ভাই এমদাদ উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাহমুদউল্লাহ।
তার বিদায়ী বার্তায় স্ত্রী-সন্তানদের কথাও ছিল—
> "...সবশেষে, ধন্যবাদ আমার স্ত্রী ও সন্তানদের, যে কোনো পরিস্থিতিতে সবসময় যারা আমার সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে ছিল। আমি জানি, রাইদ (মাহমুদউল্লাহর ছেলে) আমাকে লাল-সবুজের জার্সিতে মিস করবে।"
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি, টানা চার ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি চোটের কারণে, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৪ রান করে আউট হন। এরপর থেকেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সম্প্রতি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে রাখা হয়নি। জানা গেছে, নিজেই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন চুক্তিতে না রাখতে। এরপরই তার ভবিষ্যৎ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল এবার।
তবে বিদায়টা তার মনের মতো হয়নি, সেটি স্পষ্ট তার শেষ কথায়—
> "সবকিছুর সমাপ্তি সবসময় নিখুঁত হয় না। তবে হ্যাঁ বলতে হয় এবং সামনে এগিয়ে যেতে হয়। শান্তি... আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।"
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে ইতিহাস গড়েন। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
কিন্তু ২০২৩ সালের ইংল্যান্ড সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন। বিশ্বকাপের আগে ফিরে এলেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তিনি সফল ছিলেন, সাত ইনিংসে ৩২৮ রান করেন ৫৪.৬৬ গড়ে।
২৩৯ ওয়ানডে খেলে ৫ হাজার ৬৮৯ রান নিয়ে শেষ হলো তার ক্যারিয়ার, যেখানে আছে চারটি সেঞ্চুরি ও ৩২টি ফিফটি। বল হাতে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।
৫০ টেস্ট খেলে ২০২১ সালে টেস্ট থেকে বিদায় নেন তিনি। গত অক্টোবরে ভারত সফর দিয়ে ইতি টানেন ১৪১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের। এবার ওয়ানডের বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হলো তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধ্যায়।