রেয়ালের জয়োল্লাস
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে প্রতিবেশী রেয়াল মাদ্রিদের কাছে আরও এক বার হারল আতলেতিকো মাদ্রিদ। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে রেয়ালকে নির্ধারিত সময়ে ১-০ হারালেও টাইব্রেকারে ২-৪ ব্যবধানে হেরে গেল আতলেতিকো। তবে টাইব্রেকারে জুলিয়ান আলভারেসের শর্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবে রেয়াল। শেষ আটে গিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং অ্যাস্টন ভিলাও।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মাদ্রিদের দুই ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল। সপ্তাহে প্রথম পর্বে ২-১ জিতেছিল রেয়াল। বুধবার আতলেতিকো ১-০ জেতায় দুই পর্ব মিলিয়ে ফল হয় ২-২। আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ‘অ্যাওয়ে গোল রুল’ থাকলেও এখন তা নেই। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল না হওয়ায় পেনাল্টি শুটআউট হয়। তাতেই শেষ হাসি হাসে রেয়াল।
প্রথম মিনিটেই গোল করে আতলেতিকোকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কোনর গ্যালাঘার। বাকি সময়ে রেয়ালকে চাপে রেখেছিল আতলেতিকো। রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কার্তোয়া অন্তত চার বার দলের পতন আটকান। খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল রেয়াল। বক্সের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। তবে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিয়ুসের শর্ট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সেটি গোল করে টাইব্রেকারের দরকারই পড়তো না।
টাইব্রেকারে রেয়ালের হয়ে গোল করেন এমবাপ্পে, জুড বেলিংহ্যাম, ফেদেরিকো ভালভার্দে এবং আন্তোনিয়া রুডিগার। লুকাস ভাজকুয়েজের শর্ট আটকান আতলেতিকো গোলরক্ষক। তবে আলভারেজের শর্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শর্ট নেয়ার সময় পিছলে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। তার বাঁ পা আগে বলের সঙ্গে লাগে। মাটিতে পড়তে পড়তেই ডান পায়ের শর্টে গোল করেন।
প্রথমে রেফারি বুঝতে পারেননি। রেয়াল গোলরক্ষক কার্তোয়া আবেদন করেন। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) জানান, বলে দু’বার আলভারেজের পা লেগেছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সেই গোল বাতিল করা হয়। এর পর আতলেতিকোর মার্কোস লোরেন্তে শর্ট মিস করলে রেয়াল এগিয়ে যায়। পঞ্চম শর্টে রুডিগার রেয়ালের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের পর কার্তোয়া বলেন, ‘আমি বুঝেছিলাম বলে দু’বার পা লেগেছে। ভাগ্য খারাপ থাকার জন্যই ছিটকে গেল আতলেতিকো।’ রেয়ালের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি এবং আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে, দু’জনেই দাবি করেছেন বলে দু’বার পা লাগার ঘটনা দেখেননি। তবে সিমিওনে বলেছেন, ‘কিছু দেখতে পেয়েছে বলেই ভার গোল বাতিল করেছে।’
রেকর্ড ১৫ বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন রেয়াল এনিয়ে গত ১২ মৌসুমে পাঁচবার আতলেতিকোর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মুখোমুখি হলো। প্রতিবারই রেয়ালই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে, এর মধ্যে দুটি আবার পেনাল্টিতে।
শেষ আটে কার্লো আনচেলত্তির প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মত ইংলিশ জায়ান্টদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রেয়াল।
গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডে পিএসভি এইনডোভেনকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালের শেষ আটের টিকেট পাওয়া সময়ের ব্যপার ছিল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। এই ড্রয়ে মিকেল আর্তেতার দল দুই লেগ মিলিয়ে ৯-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ আটে উঠেছে।
শেষ আটে অগ্রসর হওয়া প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয় ক্লাবটি হলো এ্যাস্টন ভিলা। বার্মিংহামে কাল ক্লাব ব্রাগকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেয়েছেন ভিলা। বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেছেন মার্কো আসেনসিও। জানুয়ারিতে পিএসজি থেকে ধারে খেলতে আসার পর আট ম্যাচে এনিয়ে সাত গোল করলেন স্প্যানিশ এই তারকা। দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের মধ্যে ভিলা তিন গোল করেছে।
১৯৮২ সালের ইউরোপীয়ান কাপ বিজয়ীরা কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হবে।
এর আগে গত মৌসুমের ফাইনালিস্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ২-১ ব্যবধানে ফরাসি ক্লাব লিলিকে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে।
আগামী মাসে কোয়ার্টার ফাইনালে ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। গত বছর ডিসেম্বরে লীগ পর্বে বার্সেলোনার কাছে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল ডর্টমুন্ড। আরেক ম্যাচে ভিলা ৩-১ হারিয়েছে ক্লাব ব্রুজকে।
রেয়ালের জয়োল্লাস
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে প্রতিবেশী রেয়াল মাদ্রিদের কাছে আরও এক বার হারল আতলেতিকো মাদ্রিদ। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে রেয়ালকে নির্ধারিত সময়ে ১-০ হারালেও টাইব্রেকারে ২-৪ ব্যবধানে হেরে গেল আতলেতিকো। তবে টাইব্রেকারে জুলিয়ান আলভারেসের শর্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবে রেয়াল। শেষ আটে গিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং অ্যাস্টন ভিলাও।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মাদ্রিদের দুই ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল। সপ্তাহে প্রথম পর্বে ২-১ জিতেছিল রেয়াল। বুধবার আতলেতিকো ১-০ জেতায় দুই পর্ব মিলিয়ে ফল হয় ২-২। আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ‘অ্যাওয়ে গোল রুল’ থাকলেও এখন তা নেই। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল না হওয়ায় পেনাল্টি শুটআউট হয়। তাতেই শেষ হাসি হাসে রেয়াল।
প্রথম মিনিটেই গোল করে আতলেতিকোকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কোনর গ্যালাঘার। বাকি সময়ে রেয়ালকে চাপে রেখেছিল আতলেতিকো। রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কার্তোয়া অন্তত চার বার দলের পতন আটকান। খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল রেয়াল। বক্সের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। তবে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিয়ুসের শর্ট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সেটি গোল করে টাইব্রেকারের দরকারই পড়তো না।
টাইব্রেকারে রেয়ালের হয়ে গোল করেন এমবাপ্পে, জুড বেলিংহ্যাম, ফেদেরিকো ভালভার্দে এবং আন্তোনিয়া রুডিগার। লুকাস ভাজকুয়েজের শর্ট আটকান আতলেতিকো গোলরক্ষক। তবে আলভারেজের শর্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শর্ট নেয়ার সময় পিছলে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। তার বাঁ পা আগে বলের সঙ্গে লাগে। মাটিতে পড়তে পড়তেই ডান পায়ের শর্টে গোল করেন।
প্রথমে রেফারি বুঝতে পারেননি। রেয়াল গোলরক্ষক কার্তোয়া আবেদন করেন। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) জানান, বলে দু’বার আলভারেজের পা লেগেছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সেই গোল বাতিল করা হয়। এর পর আতলেতিকোর মার্কোস লোরেন্তে শর্ট মিস করলে রেয়াল এগিয়ে যায়। পঞ্চম শর্টে রুডিগার রেয়ালের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের পর কার্তোয়া বলেন, ‘আমি বুঝেছিলাম বলে দু’বার পা লেগেছে। ভাগ্য খারাপ থাকার জন্যই ছিটকে গেল আতলেতিকো।’ রেয়ালের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি এবং আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে, দু’জনেই দাবি করেছেন বলে দু’বার পা লাগার ঘটনা দেখেননি। তবে সিমিওনে বলেছেন, ‘কিছু দেখতে পেয়েছে বলেই ভার গোল বাতিল করেছে।’
রেকর্ড ১৫ বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন রেয়াল এনিয়ে গত ১২ মৌসুমে পাঁচবার আতলেতিকোর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মুখোমুখি হলো। প্রতিবারই রেয়ালই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে, এর মধ্যে দুটি আবার পেনাল্টিতে।
শেষ আটে কার্লো আনচেলত্তির প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মত ইংলিশ জায়ান্টদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রেয়াল।
গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডে পিএসভি এইনডোভেনকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালের শেষ আটের টিকেট পাওয়া সময়ের ব্যপার ছিল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। এই ড্রয়ে মিকেল আর্তেতার দল দুই লেগ মিলিয়ে ৯-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ আটে উঠেছে।
শেষ আটে অগ্রসর হওয়া প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয় ক্লাবটি হলো এ্যাস্টন ভিলা। বার্মিংহামে কাল ক্লাব ব্রাগকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেয়েছেন ভিলা। বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেছেন মার্কো আসেনসিও। জানুয়ারিতে পিএসজি থেকে ধারে খেলতে আসার পর আট ম্যাচে এনিয়ে সাত গোল করলেন স্প্যানিশ এই তারকা। দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের মধ্যে ভিলা তিন গোল করেছে।
১৯৮২ সালের ইউরোপীয়ান কাপ বিজয়ীরা কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হবে।
এর আগে গত মৌসুমের ফাইনালিস্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ২-১ ব্যবধানে ফরাসি ক্লাব লিলিকে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে।
আগামী মাসে কোয়ার্টার ফাইনালে ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। গত বছর ডিসেম্বরে লীগ পর্বে বার্সেলোনার কাছে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল ডর্টমুন্ড। আরেক ম্যাচে ভিলা ৩-১ হারিয়েছে ক্লাব ব্রুজকে।