দেশে পা রেখেই ভারতকে হারানোর আশাবাদ হামজা চৌধুরীর
নিজ গ্রামে বক্তব্য রাখছেন হামজা চৌধুরী
বাংলাদেশি ফুটবল সর্মথকদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। সোমবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে হামজা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
সিলেট থেকে নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিঁড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই ভিড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড় হামজা চৌধুরীর। বাফুফে কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর উৎসুকদের ফাঁক গলে যখন সামনে আসলেন, চোখের সামনে শত শত ক্যামেরা, মোবাইল ফোন আর মানুষের ভিড়। সবাই হামজার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান।
কিন্তু হামজা শোনাবেন কি, চারপাশের শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। কে কী বলছে বোঝা ভার। মিনিট তিনেক ধরে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা চালালেন হামজার আশপাশে থাকা কয়েকজন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওই কোলাহলের মধ্যেই প্রশ্ন নিলেন হামজা, যার কিছু বোঝা গেল, কিছু বোঝাই গেল না।
আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ কেন্দ্র তার বাংলাদেশে আসা। তা নিয়েই সিলেটি ভাষায় বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন খরমু।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তুলতে যাওয়া হামজা যুক্তরাজ্য থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বেলা পৌনে ১২টার দিকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ফুটবলারকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন বিপুলসংখ্যক ফুটবলপ্রেমী ও ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা। ছিল অনেক গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের উপস্থিতি।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর হামজাকে নিয়ে আসা হয় গণমাধ্যমের সামনে। ‘হামজা, হামজা’ স্লোগান এবং ভিড়ের সামনে তাকে বেশ হাসিখুশিই দেখা গেছে। তবে কোলাহলের কারণে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করতে সময় লেগেছে। দেশে ফেরা এবং মানুষের ভিড় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে হামজা বলেন, ‘অ্যামাজিং, অ্যামাজিং’। সঙ্গে ইংরেজিতে যোগ করেন, ‘অনেক দিন পর ফিরলাম। আমি রোমাঞ্চিত’।
আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে প্রথমে হট্টগোলের কারণে বুঝতেই পারেননি হামজা। নিজেই পাল্টা জিজ্ঞেস করেন ‘আমি বুঝছি না, বুঝছি না’। এরপর আবার বুঝিয়ে বললে হামজা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমার বড় স্বপ্ন আছে। কোচের সঙ্গে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করিয়া প্রোগ্রেস করতে পারমু।’
এরপর আরও প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিলেন হামজা। তবে বাফুফে কর্মকর্তারা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান। সিলেট বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হবিগঞ্জের দিকে রওনা দেন হামজা।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের
বাড়িতে হামজা
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে দেশে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তার আগমনকে ঘিরে নিজ গ্রাম হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নিজ এলাকার কৃতি সন্তানকে দিয়েছে রাজকীয় সংবর্ধনা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানে সিলেটে পৌঁছানোর পর তাকে সংবর্ধনা দিয়ে ছাদখোলা মাইক্রবাসে করে নিয়ে আসা বেলা সাড়ে ৩টায় পৈত্রিক নিবাস বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন মা, স্ত্রী ও সন্তান। বিকেল সাড়ে ৩টায় সময়ে আসেন পৈত্রিক বাড়িতে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা প্রদান করেন। সংবর্ধনা সভায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে শেষ করেন।
স্থানীয়রা জানান, দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলতে এসেছেন হামজা চৌধুরী। তার আগমন উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি স্নানঘাট সেজেছিল বর্ণিল সাজে। পুরো গ্রাম জুড়ে চলছিল উৎসবের আমেজ। নারী-পুরুষ শিশু সবাই তাকে বরণ করে নিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তাদের দাবি বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় স্টার ফুটবলার হামজা তাদের গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এখন দেশ-বিদেশে তার জন্মভূমি স্নানঘাট একনামে জানে এবং চিনে।
হামজার বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী জানান, হামজা দেশের জন্য খেলতে আসছে। আমি আশা করি ভারতের সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেশে পা রেখেই ভারতকে হারানোর আশাবাদ হামজা চৌধুরীর
নিজ গ্রামে বক্তব্য রাখছেন হামজা চৌধুরী
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশি ফুটবল সর্মথকদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। সোমবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে হামজা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
সিলেট থেকে নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিঁড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই ভিড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড় হামজা চৌধুরীর। বাফুফে কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর উৎসুকদের ফাঁক গলে যখন সামনে আসলেন, চোখের সামনে শত শত ক্যামেরা, মোবাইল ফোন আর মানুষের ভিড়। সবাই হামজার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান।
কিন্তু হামজা শোনাবেন কি, চারপাশের শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। কে কী বলছে বোঝা ভার। মিনিট তিনেক ধরে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা চালালেন হামজার আশপাশে থাকা কয়েকজন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওই কোলাহলের মধ্যেই প্রশ্ন নিলেন হামজা, যার কিছু বোঝা গেল, কিছু বোঝাই গেল না।
আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ কেন্দ্র তার বাংলাদেশে আসা। তা নিয়েই সিলেটি ভাষায় বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন খরমু।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তুলতে যাওয়া হামজা যুক্তরাজ্য থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বেলা পৌনে ১২টার দিকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ফুটবলারকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন বিপুলসংখ্যক ফুটবলপ্রেমী ও ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা। ছিল অনেক গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের উপস্থিতি।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর হামজাকে নিয়ে আসা হয় গণমাধ্যমের সামনে। ‘হামজা, হামজা’ স্লোগান এবং ভিড়ের সামনে তাকে বেশ হাসিখুশিই দেখা গেছে। তবে কোলাহলের কারণে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করতে সময় লেগেছে। দেশে ফেরা এবং মানুষের ভিড় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে হামজা বলেন, ‘অ্যামাজিং, অ্যামাজিং’। সঙ্গে ইংরেজিতে যোগ করেন, ‘অনেক দিন পর ফিরলাম। আমি রোমাঞ্চিত’।
আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে প্রথমে হট্টগোলের কারণে বুঝতেই পারেননি হামজা। নিজেই পাল্টা জিজ্ঞেস করেন ‘আমি বুঝছি না, বুঝছি না’। এরপর আবার বুঝিয়ে বললে হামজা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমার বড় স্বপ্ন আছে। কোচের সঙ্গে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করিয়া প্রোগ্রেস করতে পারমু।’
এরপর আরও প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিলেন হামজা। তবে বাফুফে কর্মকর্তারা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান। সিলেট বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হবিগঞ্জের দিকে রওনা দেন হামজা।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের
বাড়িতে হামজা
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে দেশে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তার আগমনকে ঘিরে নিজ গ্রাম হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নিজ এলাকার কৃতি সন্তানকে দিয়েছে রাজকীয় সংবর্ধনা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানে সিলেটে পৌঁছানোর পর তাকে সংবর্ধনা দিয়ে ছাদখোলা মাইক্রবাসে করে নিয়ে আসা বেলা সাড়ে ৩টায় পৈত্রিক নিবাস বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন মা, স্ত্রী ও সন্তান। বিকেল সাড়ে ৩টায় সময়ে আসেন পৈত্রিক বাড়িতে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা প্রদান করেন। সংবর্ধনা সভায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে শেষ করেন।
স্থানীয়রা জানান, দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলতে এসেছেন হামজা চৌধুরী। তার আগমন উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি স্নানঘাট সেজেছিল বর্ণিল সাজে। পুরো গ্রাম জুড়ে চলছিল উৎসবের আমেজ। নারী-পুরুষ শিশু সবাই তাকে বরণ করে নিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তাদের দাবি বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় স্টার ফুটবলার হামজা তাদের গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এখন দেশ-বিদেশে তার জন্মভূমি স্নানঘাট একনামে জানে এবং চিনে।
হামজার বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী জানান, হামজা দেশের জন্য খেলতে আসছে। আমি আশা করি ভারতের সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।