এনামুল হক বিজয়
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওপেনার ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) চার ম্যাচ পর হারলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মঙ্গলবার লীগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ৬৫ রানে হেরেছে মোহামেডান।
বিকেএসপির এই ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নজির গড়েছেন বর্তমান সময়ে দেশের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০ ওভারে ১০৭ রান দেন তিনি।
তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের দিন
১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের আর কোনও বোলার একশ’র বেশি রান খরচ করেননি। চলতি লীগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৯ রান দিয়েছিলেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের মুক্তার আলি।
মঙ্গলবার ম্যাচে শুরু থেকেই খরুচে ছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে ৩টি চার মারেন ওপেনার সাদিকুর । পরের ওভারে ছক্কা মারেন এনামুল। ওই ওভার থেকে আসে ১৬ রান।
সপ্তদশ ওভারে মিরাজের বল ছক্কায় উড়িয়ে ৫৪ বলে ফিফটি করেন এনামুল। এরপর অনেকটাই খোলসে ঢুকে পড়েন তিনি। পরের ৪৬ রান করতে আরও ৬৮ বল লেগে যায় ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার।
একপর্যায়ে ১০০ বলে ৯২ রানে ছিলেন এনামুল। সেখান থেকে সেঞ্চুরি ছুঁতে আরও ২২ বল খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১১৪ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর অবশ্য রানের গতি বাড়ান এনামুল । পরের ২১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করেন গাজী গ্রুপ অধিনায়ক।
প্রথম ৮ ওভারে ৬২ রান খরচ করা তাসকিনকে ৪৬তম ওভারে আবার আক্রমণে আনেন তামিম ইকবাল। তাকে দুই চারের পর ছক্কা মারেন তোফায়েল। স্ট্রাইক পেয়ে শেষ বলে চার-ছক্কা মারেন এনামুল।
তাসকিনের শেষ ওভারেও একটি করে চার-ছক্কা মারেন তোফায়েল। চতুর্থ বলে তাকে আউট করতে পারেন তাসকিন। কিন্তু শেষ দুই বলে ৮ রান নিয়ে রেকর্ডে তার নাম তুলে দেন সাকলাইন। শেষ দুই ওভারে তাসকিনের খরচ ৪৫ রান।
শেষ দিকে তা-ব চালিয়ে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ২৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তোফায়েল।
চতুর্থ উইকেটে এনামুল ও তোফায়েল মিলে গড়ে তোলেন মাত্র ৪৩ বলে ৯৮ রানের জুটি।
প্রথম ৩০ ওভারে ১৫৬ করা গাজী গ্রুপ পরের ২০ ওভারে করে ১৮০ রান। এনামুলের সঙ্গে তোফায়েলের ঝড়ো ফিফটি ও সাদিকুরের ৬০ রানের সৌজন্যে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান করে গাজী গ্রুপ। তাসকিন ছাড়া ১০ ওভারে ৭৭ রান দেন সাইফ উদ্দিন। মিরাজের ১০ ওভারে হয় ৬৬ রান।
জবাবে ৬৩ বলে ৭২ রানের সূচনা করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রানে আউট হন তামিম।
তিন নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ রানে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন রনি ও তাওহিদ হৃদয়। রনি ৪টি করে চার-ছক্কায় ৯০ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৫২ বলে ৩৬ রানে আউট হন।
দলীয় ১৭০ রানের মধ্যে রনি-হৃদয়ের বিদায়ের পর আর কোনও বড় জুটি গড়তে না পারার খেসারত দিতে হয় মোহামেডানকে। ৪৮.১ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে তারা। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৬ বলে ৪৯ রানে হারের ব্যবধান কমায় মোহামেডান।
সাকলাইন নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এ ম্যাচ শেষে ৬ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকলো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে মোহামেডান।
এনামুল হক বিজয়
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওপেনার ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) চার ম্যাচ পর হারলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মঙ্গলবার লীগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ৬৫ রানে হেরেছে মোহামেডান।
বিকেএসপির এই ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নজির গড়েছেন বর্তমান সময়ে দেশের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০ ওভারে ১০৭ রান দেন তিনি।
তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের দিন
১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের আর কোনও বোলার একশ’র বেশি রান খরচ করেননি। চলতি লীগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৯ রান দিয়েছিলেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের মুক্তার আলি।
মঙ্গলবার ম্যাচে শুরু থেকেই খরুচে ছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে ৩টি চার মারেন ওপেনার সাদিকুর । পরের ওভারে ছক্কা মারেন এনামুল। ওই ওভার থেকে আসে ১৬ রান।
সপ্তদশ ওভারে মিরাজের বল ছক্কায় উড়িয়ে ৫৪ বলে ফিফটি করেন এনামুল। এরপর অনেকটাই খোলসে ঢুকে পড়েন তিনি। পরের ৪৬ রান করতে আরও ৬৮ বল লেগে যায় ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার।
একপর্যায়ে ১০০ বলে ৯২ রানে ছিলেন এনামুল। সেখান থেকে সেঞ্চুরি ছুঁতে আরও ২২ বল খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১১৪ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর অবশ্য রানের গতি বাড়ান এনামুল । পরের ২১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করেন গাজী গ্রুপ অধিনায়ক।
প্রথম ৮ ওভারে ৬২ রান খরচ করা তাসকিনকে ৪৬তম ওভারে আবার আক্রমণে আনেন তামিম ইকবাল। তাকে দুই চারের পর ছক্কা মারেন তোফায়েল। স্ট্রাইক পেয়ে শেষ বলে চার-ছক্কা মারেন এনামুল।
তাসকিনের শেষ ওভারেও একটি করে চার-ছক্কা মারেন তোফায়েল। চতুর্থ বলে তাকে আউট করতে পারেন তাসকিন। কিন্তু শেষ দুই বলে ৮ রান নিয়ে রেকর্ডে তার নাম তুলে দেন সাকলাইন। শেষ দুই ওভারে তাসকিনের খরচ ৪৫ রান।
শেষ দিকে তা-ব চালিয়ে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ২৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তোফায়েল।
চতুর্থ উইকেটে এনামুল ও তোফায়েল মিলে গড়ে তোলেন মাত্র ৪৩ বলে ৯৮ রানের জুটি।
প্রথম ৩০ ওভারে ১৫৬ করা গাজী গ্রুপ পরের ২০ ওভারে করে ১৮০ রান। এনামুলের সঙ্গে তোফায়েলের ঝড়ো ফিফটি ও সাদিকুরের ৬০ রানের সৌজন্যে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান করে গাজী গ্রুপ। তাসকিন ছাড়া ১০ ওভারে ৭৭ রান দেন সাইফ উদ্দিন। মিরাজের ১০ ওভারে হয় ৬৬ রান।
জবাবে ৬৩ বলে ৭২ রানের সূচনা করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রানে আউট হন তামিম।
তিন নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ রানে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন রনি ও তাওহিদ হৃদয়। রনি ৪টি করে চার-ছক্কায় ৯০ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৫২ বলে ৩৬ রানে আউট হন।
দলীয় ১৭০ রানের মধ্যে রনি-হৃদয়ের বিদায়ের পর আর কোনও বড় জুটি গড়তে না পারার খেসারত দিতে হয় মোহামেডানকে। ৪৮.১ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে তারা। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৬ বলে ৪৯ রানে হারের ব্যবধান কমায় মোহামেডান।
সাকলাইন নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এ ম্যাচ শেষে ৬ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকলো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে মোহামেডান।