মেসিদের গোল উদযাপন
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা উরুগুয়ের মাঠে অন্তত ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। বাছাইপর্বের শুরুতে বুয়েন্স আয়ার্সে এই উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। যে কারণে গতকাল মন্টিভিডিওতে শুরু থেকেই আর্জেন্টাইনদের বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের হতবাক করে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আর্জেন্টিনা।
লিওনেল মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার এই জয় দলকে বিশ্বকাপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। লক্ষ্য আর এক পয়েন্ট। তা হলেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে আর্জেন্টিনা।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার থিয়াগো আলমাডার করা একমাত্র গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। ৬৮ মিনিটে গোল করেন ২৩ বছরের তরুণ ফুটবলার। এ ম্যাচে মেসি ছিলেন না। আলমাডারা তার অভাব বুঝতে দেননি। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও গোটা ম্যাচে বেশি আক্রমণ করেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ফুটবলে গোলটাই আসল। যেটা করেন আলমাডা।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস গঞ্জালেস। মেসির জায়গায় তাকে খেলানোর কথা ছিল। তবে ম্যাচে শুরু থেকে নামানো হয়নি তাকে। বিপক্ষ ফুটবলারের মুখের কাছে পা তোলার জন্য লাল কার্ড দেখতে হয় গঞ্জালেসকে।
এই জয়ের ফলে আগামী মঙ্গলবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারাতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার।
১০ দলের দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচ পর ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডর ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্যারাগুয়ে। টেবিলের শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বাকি দলগুলোর মধ্যে চারটি দলের পক্ষে আর ২৯ পয়েন্টে পৌঁছোনো সম্ভব হবে না। ফলে আর্জেন্টিনা এক পয়েন্ট পেয়ে গেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের বিশ্বকাপে ওঠা।
দিনের আরেক ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো ইকুয়েডর। দলের হয়ে দুই গোলই করেছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া।
মেসি-মার্তিনেজকে ছাড়াই
জিতে উচ্ছ্বসিত স্কালোনি
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী কোচ স্কালোনি বলেন, দলের শক্তির গভীরতায় তিনি তৃপ্ত। ‘কীভাবে আমি সন্তুষ্ট না হতে পারি? জয়ের জন্য নয়, যেভাবে তারা নিজেদের সবটুকু দিয়েছে তার জন্য। এটা এমন মাঠ, যেখানে খেলতে এসে প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলাতে হয়, যখন গোলের সুযোগ আসে, সেটা কাজে লাগাতে হয়। যখন রক্ষণ সামলানোর প্রয়োজন পড়ে তখন সেটা করতে হয়- এটা কঠিন’
‘জাতীয় দল একটা দল। এখানে যখন কেউ অনুপস্থিত থাকে তখন আরেকজন এগিয়ে আসে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিল না, তখনও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছি। পারফরম্যান্স হয়তো ভিন্ন হয় তবে দল নামের উর্ধ্বে।’
ম্যাচের শুরুতে উরুগুয়ের প্রবল চাপে রক্ষণ ছেড়ে সেভাবে বের হতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। আলমাদা, সিমেওনেদেরও অনেক নিচে নেমে এসে রক্ষণে সাহায্য করতে হচ্ছিল। কেন এতেটা চাপে পড়তে হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে কীভাবে আর্জেন্টিনা দাপটের সঙ্গে খেলতে পারল, ব্যাখ্যা করলেন স্কালোনি।
‘উরুগুয়ে প্রথম ২০ বা ২৫ মিনিট খুব ভালো খেলেছে। সে সময় আমরা রক্ষণ সামলেছি, প্রতি আক্রমণ করেছি, যেটা ছিল পরিস্থিতির দাবি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি আধিপত্য করেছি এবং তখন খেলাটা ভিন্ন ছিল। ফুটবল এমন সব মুহূর্তের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেয়। আপনাকে জানতে হবে কীভাবে রক্ষণ সামলাতে হয়।’
‘ডান দিকে ওরা মাথিয়াস অলিভেরা, রোনাল্দ আরাউহো, জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তাকে রেখেছিল। পরে আরাকায়েস্তার জায়গায় নিকোলাস দে লা ক্রুস এলো।
এরা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে জুলিয়ানো খেলল ওলিভেরার কাছাকাছি, নাহুয়েল মোলিনা খেলল আরাউহোর কাছাকাছি এরপর দলের খেলার উন্নতি হলো।’
মেসিদের গোল উদযাপন
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা উরুগুয়ের মাঠে অন্তত ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। বাছাইপর্বের শুরুতে বুয়েন্স আয়ার্সে এই উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। যে কারণে গতকাল মন্টিভিডিওতে শুরু থেকেই আর্জেন্টাইনদের বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের হতবাক করে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আর্জেন্টিনা।
লিওনেল মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার এই জয় দলকে বিশ্বকাপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। লক্ষ্য আর এক পয়েন্ট। তা হলেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে আর্জেন্টিনা।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার থিয়াগো আলমাডার করা একমাত্র গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। ৬৮ মিনিটে গোল করেন ২৩ বছরের তরুণ ফুটবলার। এ ম্যাচে মেসি ছিলেন না। আলমাডারা তার অভাব বুঝতে দেননি। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও গোটা ম্যাচে বেশি আক্রমণ করেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ফুটবলে গোলটাই আসল। যেটা করেন আলমাডা।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস গঞ্জালেস। মেসির জায়গায় তাকে খেলানোর কথা ছিল। তবে ম্যাচে শুরু থেকে নামানো হয়নি তাকে। বিপক্ষ ফুটবলারের মুখের কাছে পা তোলার জন্য লাল কার্ড দেখতে হয় গঞ্জালেসকে।
এই জয়ের ফলে আগামী মঙ্গলবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারাতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার।
১০ দলের দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচ পর ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডর ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্যারাগুয়ে। টেবিলের শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বাকি দলগুলোর মধ্যে চারটি দলের পক্ষে আর ২৯ পয়েন্টে পৌঁছোনো সম্ভব হবে না। ফলে আর্জেন্টিনা এক পয়েন্ট পেয়ে গেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের বিশ্বকাপে ওঠা।
দিনের আরেক ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো ইকুয়েডর। দলের হয়ে দুই গোলই করেছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া।
মেসি-মার্তিনেজকে ছাড়াই
জিতে উচ্ছ্বসিত স্কালোনি
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী কোচ স্কালোনি বলেন, দলের শক্তির গভীরতায় তিনি তৃপ্ত। ‘কীভাবে আমি সন্তুষ্ট না হতে পারি? জয়ের জন্য নয়, যেভাবে তারা নিজেদের সবটুকু দিয়েছে তার জন্য। এটা এমন মাঠ, যেখানে খেলতে এসে প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলাতে হয়, যখন গোলের সুযোগ আসে, সেটা কাজে লাগাতে হয়। যখন রক্ষণ সামলানোর প্রয়োজন পড়ে তখন সেটা করতে হয়- এটা কঠিন’
‘জাতীয় দল একটা দল। এখানে যখন কেউ অনুপস্থিত থাকে তখন আরেকজন এগিয়ে আসে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিল না, তখনও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছি। পারফরম্যান্স হয়তো ভিন্ন হয় তবে দল নামের উর্ধ্বে।’
ম্যাচের শুরুতে উরুগুয়ের প্রবল চাপে রক্ষণ ছেড়ে সেভাবে বের হতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। আলমাদা, সিমেওনেদেরও অনেক নিচে নেমে এসে রক্ষণে সাহায্য করতে হচ্ছিল। কেন এতেটা চাপে পড়তে হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে কীভাবে আর্জেন্টিনা দাপটের সঙ্গে খেলতে পারল, ব্যাখ্যা করলেন স্কালোনি।
‘উরুগুয়ে প্রথম ২০ বা ২৫ মিনিট খুব ভালো খেলেছে। সে সময় আমরা রক্ষণ সামলেছি, প্রতি আক্রমণ করেছি, যেটা ছিল পরিস্থিতির দাবি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি আধিপত্য করেছি এবং তখন খেলাটা ভিন্ন ছিল। ফুটবল এমন সব মুহূর্তের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেয়। আপনাকে জানতে হবে কীভাবে রক্ষণ সামলাতে হয়।’
‘ডান দিকে ওরা মাথিয়াস অলিভেরা, রোনাল্দ আরাউহো, জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তাকে রেখেছিল। পরে আরাকায়েস্তার জায়গায় নিকোলাস দে লা ক্রুস এলো।
এরা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে জুলিয়ানো খেলল ওলিভেরার কাছাকাছি, নাহুয়েল মোলিনা খেলল আরাউহোর কাছাকাছি এরপর দলের খেলার উন্নতি হলো।’