শিলংয়ে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ হবে ঘাসের মাঠে আগামী ২৫ মার্চ। সে অনুযায়ী ঘাসের মাঠে অনুশীলনও করছে স্বাগতিক ভারত। কিন্তু সেই মাঠ পেতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের টার্ফে আগের দিন অর্থ খরচ করেই অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। রোববার ও সেখানে করতে চাইলে শুরুতে নেহেহু গ্রাউন্ডে যেতে বলা হয়। এ নিয়ে ম্যানেজার আমের খান সকাল থেকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধির সঙ্গে শিলংয়ে আলোচনা করেছেন।
পরে তিনি জানান, ‘আমাদের টার্ফে অনুশীলন করার কথা। হঠাৎ তারা বলছে এখানে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। সেই প্রথম দিনের মাঠে যেতে। এ নিয়ে দেনদরবার চলছে।’ পরে অনুশীলনের মাঠ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যনেজার বলেন, ‘এখানে না আসলে বুঝবেন না মাঠ নিয়ে ভোগান্তি কেমন হয়েছে। একবার বলে ৬টা, আবার বলে ৪টা। আমরা লাঞ্চ করবো কখন, আর অনুশীলন করবোই বা কখন। হোটেল থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বের সেই মাঠে কেনই বা যাবো আমরা। টার্ফ ব্যবহার করতে টাকা দিতে হয়েছে। তারপরও সমস্যা যেতে সময় লাগছে। অবশেষে শেষ মুহূর্তে এসে টার্ফের মাঠ দিয়েছে ওরা। তবে আমাদের ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করা হয়নি।’ শিলংয়েল আবহাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে জানান আমের, ‘এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের খেলতে হবে, সেই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। সৌদি আরবের তায়েফে যে ঠান্ডা ছিল, এখানেও প্রায় একই। তাই কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিয়েছি বলা যায়।’
ফিফা-এএফসির ম্যাচে এই যুগে এসে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন? ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন, ‘দেখুন বাংলাদেশ দল মাইনাস ফোর দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এর মানে হলো অফিসিয়াল ম্যাচের দুই দিন আগে আপনারা এসেছেন। এই সময়ে যেখানে ফেডারেশনের সরাসরি কিছু করার সুযোগ নেই। যা করতে হবে তা আপনাদের নিজেদের। আমার মনে হয় আগে থেকে এখানে এসে দল কী কী সুবিধাদি পাবে তা দেখে গেলে ভালো হতো। কেননা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি অন্যরকম উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে। তাহলে এখন মাঠ বা অন্য কিছু নিয়ে ঝামেলা কমই হতো।’
তবে এমন ‘মাইন্ডগেম’ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন অন্য কথা, ‘আমরা যে আগে থেকে শিলং গিয়ে সবকিছু দেখে আসবো সেই সুযোগ তো মনে হয় ছিল না। এমনিতে ভিসা সমস্যা ছিল। আর এখন আধুনিক যুগে ফুটবলে নিয়মানুযায়ী একটি দলের অনুশীলন ভেন্যু নিয়ে একেক সময় একেক কথা তো কাম্য নয়।’
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে টার্ফে অনুশীলন করার কথা জামালদের। তবে যেভাবে বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, তাতে প্রস্তুতি কতটা আঁটসাঁট হবে তা নিয়ে কিছুটা তো সংশয় থেকেই যায়
এবারের ম্যাচটি ভিন্ন:তপু
ভারতের আক্রমণভাগকে রুখে দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। রোববার অনুশীলন শেষে সেই দায়িত্বের কথা নিজেই জানান তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি।
তবে এই ম্যাচ ভিন্ন। কারণ অনেক হাইপ উঠেছে এই ম্যাচ ঘিরে। দেশের ফুটবল সমর্থকরা সবাই তাকিয়ে আছে এই ম্যাচের দিকে। বড় দায়িত্ব থাকবে আমার উপর। গোল হজম না করাই থাকবে লক্ষ্য। তার সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করতে হবে। লক্ষ্য থাকবে আমার সঙ্গে যে তিনজন থাকবে, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটা ভালো ফাইট দেয়া এবং গোল হজম না করা।’ প্রতিপক্ষ ভারত নিয়ে তপুর কথা, ‘ভারত সবসময়ই ভালো হয়। আইএসএলে ফুটবলাররা খেলে থাকে। বদলি খেলোয়াড়রাও খুবই ভালো।
তবে সুনিল ছেত্রীর অবসর নেয়ার পর থেকে ভারত আর ম্যাচ জেতেনি। আমরা বুঝতেই পারছি ভারতীয় দলে সুনিল ছেত্রীর গুরুত্ব কতটা। সে আসার পর আবার ভারত ম্যাচ জিতেছে। আমাদের সুনিলকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতেই হবে।’ হামজাকে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল তপু বর্মন, ‘হামজা আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই বেশ ভালোভাবেই মিশেছে। সবার সঙ্গেই খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি সবসময় তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। কীভাবে ভালো করতে হবে।’ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আশাবাদি ফরোয়ার্ড মো. ইব্রাহিমও। তার কথা, ‘দলের সবার অবস্থা ভালো। অনেকদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেছি। সেরা একাদশে থাকতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। বদলি হিসেবে নামলেও ভালো খেলার চেষ্টা থাকবে। আসলে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা থাকবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এতদূর আসা। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
শিলংয়ে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ হবে ঘাসের মাঠে আগামী ২৫ মার্চ। সে অনুযায়ী ঘাসের মাঠে অনুশীলনও করছে স্বাগতিক ভারত। কিন্তু সেই মাঠ পেতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের টার্ফে আগের দিন অর্থ খরচ করেই অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। রোববার ও সেখানে করতে চাইলে শুরুতে নেহেহু গ্রাউন্ডে যেতে বলা হয়। এ নিয়ে ম্যানেজার আমের খান সকাল থেকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধির সঙ্গে শিলংয়ে আলোচনা করেছেন।
পরে তিনি জানান, ‘আমাদের টার্ফে অনুশীলন করার কথা। হঠাৎ তারা বলছে এখানে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। সেই প্রথম দিনের মাঠে যেতে। এ নিয়ে দেনদরবার চলছে।’ পরে অনুশীলনের মাঠ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যনেজার বলেন, ‘এখানে না আসলে বুঝবেন না মাঠ নিয়ে ভোগান্তি কেমন হয়েছে। একবার বলে ৬টা, আবার বলে ৪টা। আমরা লাঞ্চ করবো কখন, আর অনুশীলন করবোই বা কখন। হোটেল থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বের সেই মাঠে কেনই বা যাবো আমরা। টার্ফ ব্যবহার করতে টাকা দিতে হয়েছে। তারপরও সমস্যা যেতে সময় লাগছে। অবশেষে শেষ মুহূর্তে এসে টার্ফের মাঠ দিয়েছে ওরা। তবে আমাদের ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করা হয়নি।’ শিলংয়েল আবহাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে জানান আমের, ‘এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের খেলতে হবে, সেই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। সৌদি আরবের তায়েফে যে ঠান্ডা ছিল, এখানেও প্রায় একই। তাই কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিয়েছি বলা যায়।’
ফিফা-এএফসির ম্যাচে এই যুগে এসে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন? ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন, ‘দেখুন বাংলাদেশ দল মাইনাস ফোর দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এর মানে হলো অফিসিয়াল ম্যাচের দুই দিন আগে আপনারা এসেছেন। এই সময়ে যেখানে ফেডারেশনের সরাসরি কিছু করার সুযোগ নেই। যা করতে হবে তা আপনাদের নিজেদের। আমার মনে হয় আগে থেকে এখানে এসে দল কী কী সুবিধাদি পাবে তা দেখে গেলে ভালো হতো। কেননা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি অন্যরকম উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে। তাহলে এখন মাঠ বা অন্য কিছু নিয়ে ঝামেলা কমই হতো।’
তবে এমন ‘মাইন্ডগেম’ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন অন্য কথা, ‘আমরা যে আগে থেকে শিলং গিয়ে সবকিছু দেখে আসবো সেই সুযোগ তো মনে হয় ছিল না। এমনিতে ভিসা সমস্যা ছিল। আর এখন আধুনিক যুগে ফুটবলে নিয়মানুযায়ী একটি দলের অনুশীলন ভেন্যু নিয়ে একেক সময় একেক কথা তো কাম্য নয়।’
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে টার্ফে অনুশীলন করার কথা জামালদের। তবে যেভাবে বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, তাতে প্রস্তুতি কতটা আঁটসাঁট হবে তা নিয়ে কিছুটা তো সংশয় থেকেই যায়
এবারের ম্যাচটি ভিন্ন:তপু
ভারতের আক্রমণভাগকে রুখে দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। রোববার অনুশীলন শেষে সেই দায়িত্বের কথা নিজেই জানান তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি।
তবে এই ম্যাচ ভিন্ন। কারণ অনেক হাইপ উঠেছে এই ম্যাচ ঘিরে। দেশের ফুটবল সমর্থকরা সবাই তাকিয়ে আছে এই ম্যাচের দিকে। বড় দায়িত্ব থাকবে আমার উপর। গোল হজম না করাই থাকবে লক্ষ্য। তার সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করতে হবে। লক্ষ্য থাকবে আমার সঙ্গে যে তিনজন থাকবে, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটা ভালো ফাইট দেয়া এবং গোল হজম না করা।’ প্রতিপক্ষ ভারত নিয়ে তপুর কথা, ‘ভারত সবসময়ই ভালো হয়। আইএসএলে ফুটবলাররা খেলে থাকে। বদলি খেলোয়াড়রাও খুবই ভালো।
তবে সুনিল ছেত্রীর অবসর নেয়ার পর থেকে ভারত আর ম্যাচ জেতেনি। আমরা বুঝতেই পারছি ভারতীয় দলে সুনিল ছেত্রীর গুরুত্ব কতটা। সে আসার পর আবার ভারত ম্যাচ জিতেছে। আমাদের সুনিলকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতেই হবে।’ হামজাকে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল তপু বর্মন, ‘হামজা আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই বেশ ভালোভাবেই মিশেছে। সবার সঙ্গেই খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি সবসময় তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। কীভাবে ভালো করতে হবে।’ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আশাবাদি ফরোয়ার্ড মো. ইব্রাহিমও। তার কথা, ‘দলের সবার অবস্থা ভালো। অনেকদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেছি। সেরা একাদশে থাকতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। বদলি হিসেবে নামলেও ভালো খেলার চেষ্টা থাকবে। আসলে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা থাকবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এতদূর আসা। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’