এবারের আইপিএলের প্রথম ইশান কিষান
উপলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪৪ রানে হারায় রাজস্থান রয়্যালসকে।
রোববার দিনের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল রাজস্থান। নিজেদের মাঠে হায়দরাবাদ প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্তকে আফসোসে পরিণত করে। অভিষেক শর্মা অল্প সময় থাকলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। ট্র্যাভিস হেডও ছিলেন দুর্নিবার। তার ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরিতে ইশান কিষানের রাজকীয় অভিষেকে হায়দরাবাদ ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে।
আসরের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে ইশানের ব্যাট থেকে। আইপিএলে এটি তার প্রথম শতক। প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে তিনে নেমে ১০৬ রান করেন তিনি। ২৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া ব্যাটার তিন অঙ্কে পৌঁছান ৪৫ বলে। শেষমেশ ৪৭ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ৬ ছক্কা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হেড ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে থামেন ৬৭ রানে। ৩১ বলে তিনি মারেন ৯ চার ও ৩ ছক্কা।
এই দুইজন সঙ্গ পান বাকিদের আছ থেকেও। অভিষেক ১১ বলে ২৪, নিতিশ ১৫ বলে ৩০ ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাসেন ১৪ বলে ৩৪ রান করেন। ফলে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই তালে এগোয় হায়দরাবাদ। তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি পায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে হেড ও ইশান ৩৯ বলে ৮৫, তৃতীয় উইকেটে ইশান ও নিতিশ ২৯ বলে ৭২ এবং চতুর্থ উইকেটে ইশান ও ক্লাসেন ২৫ বলে ৫৬ রান আনেন।
হায়দরাবাদের দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ৬.৪ ওভারে। তাদের পুঁজি দুইশ ছাড়িয়ে যায় ১৪.১ ওভারে। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, স্কোরবোর্ডে তিনশ’ রান জমা করে ফেলবে তারা। তবে ইনিংসের শেষ ৫ বলে ২ উইকেট পড়ায় ৭ রানের বেশি হয়নি।
রাজস্থানের পক্ষে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে। ২ উইকেট নিতে শ্রীলঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা দেন ৫২ রান। সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় ইংলিশ পেসার জফ্রা আর্চারের ওপর দিয়ে। তিনি ৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি।
লক্ষ্যে নেমে ৪.১ ওভারে ৫০ রানের বিপরীতে তিন উইকেট হারায় রাজস্থান। ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরলেও তাদের আগ্রাসী শুরু লড়াইয়ে বড় অবদান রাখে। সাঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেলের ১১১ রানের জুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে দলটি। অবশ্য তিন বলের মধ্যে দুজনই আউট হন। স্যামসন ৩৭ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৬ রান করেন। জুরেল ৭০ রান করেন ৩৫ বলে ৫ চার ও ৬ ছয়ে।
এরপর শিমরন হেটমায়ার ও শুভম দুবের ক্যামিও ইনিংসে হারের ব্যবধানে পঞ্চাশের নিচে আনে রাজস্থান। দুইজনে ৮০ রানের জুটি গড়েন, বিচ্ছিন্ন হন ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে। হেটমায়ার ২৩ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রানে থামেন।
দুবে ১১ বলে সমান বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। জোফরা আর্চার শেষ বল খেলে এক রান নেন। রাজস্থান ৬ উইকেটে ২৪২ রানে থামে।
হায়দরাবাদের পক্ষে সিমারজিৎ সিং ও হার্শাল প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন।
এবারের আইপিএলের প্রথম ইশান কিষান
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
উপলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪৪ রানে হারায় রাজস্থান রয়্যালসকে।
রোববার দিনের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল রাজস্থান। নিজেদের মাঠে হায়দরাবাদ প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্তকে আফসোসে পরিণত করে। অভিষেক শর্মা অল্প সময় থাকলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। ট্র্যাভিস হেডও ছিলেন দুর্নিবার। তার ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরিতে ইশান কিষানের রাজকীয় অভিষেকে হায়দরাবাদ ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে।
আসরের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে ইশানের ব্যাট থেকে। আইপিএলে এটি তার প্রথম শতক। প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে তিনে নেমে ১০৬ রান করেন তিনি। ২৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া ব্যাটার তিন অঙ্কে পৌঁছান ৪৫ বলে। শেষমেশ ৪৭ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ৬ ছক্কা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হেড ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে থামেন ৬৭ রানে। ৩১ বলে তিনি মারেন ৯ চার ও ৩ ছক্কা।
এই দুইজন সঙ্গ পান বাকিদের আছ থেকেও। অভিষেক ১১ বলে ২৪, নিতিশ ১৫ বলে ৩০ ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাসেন ১৪ বলে ৩৪ রান করেন। ফলে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই তালে এগোয় হায়দরাবাদ। তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি পায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে হেড ও ইশান ৩৯ বলে ৮৫, তৃতীয় উইকেটে ইশান ও নিতিশ ২৯ বলে ৭২ এবং চতুর্থ উইকেটে ইশান ও ক্লাসেন ২৫ বলে ৫৬ রান আনেন।
হায়দরাবাদের দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ৬.৪ ওভারে। তাদের পুঁজি দুইশ ছাড়িয়ে যায় ১৪.১ ওভারে। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, স্কোরবোর্ডে তিনশ’ রান জমা করে ফেলবে তারা। তবে ইনিংসের শেষ ৫ বলে ২ উইকেট পড়ায় ৭ রানের বেশি হয়নি।
রাজস্থানের পক্ষে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে। ২ উইকেট নিতে শ্রীলঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা দেন ৫২ রান। সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় ইংলিশ পেসার জফ্রা আর্চারের ওপর দিয়ে। তিনি ৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি।
লক্ষ্যে নেমে ৪.১ ওভারে ৫০ রানের বিপরীতে তিন উইকেট হারায় রাজস্থান। ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরলেও তাদের আগ্রাসী শুরু লড়াইয়ে বড় অবদান রাখে। সাঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেলের ১১১ রানের জুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে দলটি। অবশ্য তিন বলের মধ্যে দুজনই আউট হন। স্যামসন ৩৭ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৬ রান করেন। জুরেল ৭০ রান করেন ৩৫ বলে ৫ চার ও ৬ ছয়ে।
এরপর শিমরন হেটমায়ার ও শুভম দুবের ক্যামিও ইনিংসে হারের ব্যবধানে পঞ্চাশের নিচে আনে রাজস্থান। দুইজনে ৮০ রানের জুটি গড়েন, বিচ্ছিন্ন হন ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে। হেটমায়ার ২৩ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রানে থামেন।
দুবে ১১ বলে সমান বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। জোফরা আর্চার শেষ বল খেলে এক রান নেন। রাজস্থান ৬ উইকেটে ২৪২ রানে থামে।
হায়দরাবাদের পক্ষে সিমারজিৎ সিং ও হার্শাল প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন।