নিউজিল্যান্ডের উইকেট উদযাপন
আগের ম্যাচের রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে টিকে থাকার আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। তবে পরের ম্যাচেই আবার ফিরেছে পুরনো রূপে। নিউজিল্যান্ডের পেসারদের তোপে এবার লড়াইটাও করতে পারেনি সফরকারীরা। তাদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে কিউইরা।
দুই দিন আগে দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় দাপটের সঙ্গে জেতা দলটির ব্যাটিং এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। তাদেরকে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড ৩-১য়ে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে রোববার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের জয় ১১৫ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম একশর বেশি রানে জিতল তারা। আগের রেকর্ডটি ছিল ৯৫ রানের জয়, ২০১৬ সালে ওয়েলিংটনে।
সব মিলিয়ে, রানের হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। একই মাঠে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১৯ রানের জয় তাদের সেরা।
ফিন অ্যালেন, টিম সাইফার্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ২০ বলে ৫০ রান করেন অ্যালেন। ২২ বলে ৪৪ রান করতে ৪ ছক্কা ও ৩ চার মারেন সাইফার্ট।
শেষ দিকে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ২৬ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্রেসওয়েল।
রান তাড়ায় ৯ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ৪৩। সেখান থেকে কোনোমতে ১০৫ রান করতে পারে তারা।
পাকিস্তানকে অল্পতে গুটিয়ে দেয়ার পথে ২০ রানে ৪ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। ২৫ রানে তিন শিকার ধরেন জ্যাকারি ফোকস। একটি করে প্রাপ্তি উইল ও’রেরাক, জেমস নিশাম ও ইশ সোধির।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সাইফার্ট। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে প্রথম ওভারে দুই চার মেরে তোলেন ঝড়। চতুর্থ ওভারে আবরার আহমেদকে টানা দুই ছক্কা ও এক চার মারেন তিনি।
নিজের প্রথম ওভারেই সাইফার্টের তা-ব থামিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। এই যুগলবন্দিতে অ্যালেনের অবদান ছিল কেবল ৬ রান।
এরপর আবরারকে দুই চার ও এক ছক্কায় ডানা মেলে দেন প্রথম ৬ বলে ৮ রান করা অ্যালেন। আরেক প্রান্তে দ্রুত রান বাড়ান মার্ক চ্যাপম্যানও। আগের ম্যাচে ৯৪ রান করা ব্যাটসম্যানকে এবার ২৪ রানে বোল্ড করে দেন রউফ। শাদাব খানকে টানা দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে ১৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন অ্যালেন। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে কিউইরা। পরের ওভারে অ্যালেনকে বিদায় করেন আব্বাস আফ্রিদি।
জেমস নিশাম ও মিচেল হেকে টিকতে দেননি আবরার। আফ্রিদিকে ছক্কা ও চার মেরে জোড়া ধাক্কার চাপ সরিয়ে দেন ব্রেসওয়েল। আব্বাসের ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকান ড্যারিল মিচেল ও ব্রেসওয়েল।
২৩ বলে ২৯ রান করে মিচেল বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন ব্রেসওয়েল। শেষ ওভারে আফ্রিদিকে দুটি চার মারেন তিনি।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে দেশটির হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া হাসান নাওয়াজকে এবার ১ রানে বিদায় করেন ডাফি। একই ওভারে এই পেসারের শিকার সালমান আলি আগাও।
শাদাব খান, খুশদিল শাহকে টিকতে দেননি ফোকস। ইরফান খানের ২৪ ও আব্দুল সামাদের ৪৪ রানে কোনোমতে একশ পার করে পাকিস্তান। এই দুইজন ছাড়া দলটির আর কেউ স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্ক। দুই দলের শেষ টি-টোয়েন্টি আগামী বুধবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ২২০/৬ (সাইফার্ট ৪৪, অ্যালেন ৫০, চ্যাপম্যান ২৪, মিচেল ২৯, ব্রেসওয়েল ৪৬*; আবরার ২/৪১, রউফ ৩/২৭)।
পাকিস্তান ১৬.২ ওভারে ১০৫ (হারিস ২, নাওয়াজ ১, সালমান ১, ইরফান ২৪, শাদাব ১, খুশদিল ৬, সামাদ ৪৪, আব্বাস ১, আফ্রিদি ৬, রউফ ৬, আবরার ১*; ডাফি ৪/২০, ফোকস ৩/২৫)।
ম্যাচসেরা: ফিন অ্যালেন।
নিউজিল্যান্ডের উইকেট উদযাপন
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
আগের ম্যাচের রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে টিকে থাকার আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। তবে পরের ম্যাচেই আবার ফিরেছে পুরনো রূপে। নিউজিল্যান্ডের পেসারদের তোপে এবার লড়াইটাও করতে পারেনি সফরকারীরা। তাদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে কিউইরা।
দুই দিন আগে দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় দাপটের সঙ্গে জেতা দলটির ব্যাটিং এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। তাদেরকে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড ৩-১য়ে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে রোববার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের জয় ১১৫ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম একশর বেশি রানে জিতল তারা। আগের রেকর্ডটি ছিল ৯৫ রানের জয়, ২০১৬ সালে ওয়েলিংটনে।
সব মিলিয়ে, রানের হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। একই মাঠে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১৯ রানের জয় তাদের সেরা।
ফিন অ্যালেন, টিম সাইফার্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ২০ বলে ৫০ রান করেন অ্যালেন। ২২ বলে ৪৪ রান করতে ৪ ছক্কা ও ৩ চার মারেন সাইফার্ট।
শেষ দিকে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ২৬ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্রেসওয়েল।
রান তাড়ায় ৯ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ৪৩। সেখান থেকে কোনোমতে ১০৫ রান করতে পারে তারা।
পাকিস্তানকে অল্পতে গুটিয়ে দেয়ার পথে ২০ রানে ৪ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। ২৫ রানে তিন শিকার ধরেন জ্যাকারি ফোকস। একটি করে প্রাপ্তি উইল ও’রেরাক, জেমস নিশাম ও ইশ সোধির।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সাইফার্ট। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে প্রথম ওভারে দুই চার মেরে তোলেন ঝড়। চতুর্থ ওভারে আবরার আহমেদকে টানা দুই ছক্কা ও এক চার মারেন তিনি।
নিজের প্রথম ওভারেই সাইফার্টের তা-ব থামিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। এই যুগলবন্দিতে অ্যালেনের অবদান ছিল কেবল ৬ রান।
এরপর আবরারকে দুই চার ও এক ছক্কায় ডানা মেলে দেন প্রথম ৬ বলে ৮ রান করা অ্যালেন। আরেক প্রান্তে দ্রুত রান বাড়ান মার্ক চ্যাপম্যানও। আগের ম্যাচে ৯৪ রান করা ব্যাটসম্যানকে এবার ২৪ রানে বোল্ড করে দেন রউফ। শাদাব খানকে টানা দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে ১৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন অ্যালেন। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে কিউইরা। পরের ওভারে অ্যালেনকে বিদায় করেন আব্বাস আফ্রিদি।
জেমস নিশাম ও মিচেল হেকে টিকতে দেননি আবরার। আফ্রিদিকে ছক্কা ও চার মেরে জোড়া ধাক্কার চাপ সরিয়ে দেন ব্রেসওয়েল। আব্বাসের ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকান ড্যারিল মিচেল ও ব্রেসওয়েল।
২৩ বলে ২৯ রান করে মিচেল বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন ব্রেসওয়েল। শেষ ওভারে আফ্রিদিকে দুটি চার মারেন তিনি।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে দেশটির হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া হাসান নাওয়াজকে এবার ১ রানে বিদায় করেন ডাফি। একই ওভারে এই পেসারের শিকার সালমান আলি আগাও।
শাদাব খান, খুশদিল শাহকে টিকতে দেননি ফোকস। ইরফান খানের ২৪ ও আব্দুল সামাদের ৪৪ রানে কোনোমতে একশ পার করে পাকিস্তান। এই দুইজন ছাড়া দলটির আর কেউ স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্ক। দুই দলের শেষ টি-টোয়েন্টি আগামী বুধবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ২২০/৬ (সাইফার্ট ৪৪, অ্যালেন ৫০, চ্যাপম্যান ২৪, মিচেল ২৯, ব্রেসওয়েল ৪৬*; আবরার ২/৪১, রউফ ৩/২৭)।
পাকিস্তান ১৬.২ ওভারে ১০৫ (হারিস ২, নাওয়াজ ১, সালমান ১, ইরফান ২৪, শাদাব ১, খুশদিল ৬, সামাদ ৪৪, আব্বাস ১, আফ্রিদি ৬, রউফ ৬, আবরার ১*; ডাফি ৪/২০, ফোকস ৩/২৫)।
ম্যাচসেরা: ফিন অ্যালেন।