জিম্বাবুয়ের ওয়ার্মআপ
সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের খুব একটা সাফল্য নেই। গত ২০২১ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জেতার পর থেকে ১০টি টেস্ট খেললেও জিততে পারেনি। ৮টি হার ও ২টি ড্র। জয়খরা কাটানোর মিশনে এখন তারা বাংলাদেশে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে প্রথম ট্রেনিং সেশন করেছে আফ্রিকান দলটি। তরুণ একটি দল নিয়ে বাংলাদেশ বধের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে জিম্বাবুয়ানরা।
বর্তমান স্কোয়াডের ১০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (২৩ টেস্ট), শন উইলিয়ামস (১৭) ও ব্লেসিং মুজারাবানির (১০)। প্রতিশ্রুতিশীল ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিতে পারেন বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল ও এনগারাভার মতো খেলোয়াড়রা।
দলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় উইলিয়ামস। পিঠের ইনজুরিতে গত ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিককে ৩৮ বছর বয়সী তারকা বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা তরুণ দল। আশা করি, তারা আরেকটু বেশি নির্ভীক ও চতুর হবে। টেস্ট ক্রিকেট বিকশিত হচ্ছে। খেলোয়াড়রা দ্রুত রান করছে, নতুন কিছুর চেষ্টা করছে। ট্যাকটিক্যালি এখন টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু হচ্ছে। এই তরুণরা কী করতে পারে সেটা দেখতে পারা হবে রোমাঞ্চকর।’
সিরিজ ভালোভাবে শুরু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ভাগ্য পাল্টাতে আশাবাদী তিনি। শেষবার তারা বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০১১ সালে। আর সর্বশেষ বাংলাদেশকে তারা টেস্টে হারিয়েছিল ২০১৮ সালে। সিলেটেই ১৫১ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। রোববার সেখানেই শুরু হচ্ছে সিরিজ।
উইলিয়ামস বললেন, ‘আমি মনে করি এটা নির্ভর করছে প্রথম ইনিংস কেমন হবে তার ওপর। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সবসময় জেতার জন্য খেলি। দুই টেস্টের আগের প্রস্তুতি হবে গুরুত্বপূর্ণ।’
সফরকারী দলে সিলেটের পেসবান্ধব উইকেটে ভালো করার মতো বোলার আছে বলেও জানান উইলিয়ামস, ‘পিচ কিছুটা ভিন্ন লাগছে এবার। আগেরবার লো-স্লো এবং স্পিন সহায়ক মনে হয়েছিল। এবার ঘাস বেশি, পেস সহায়ক। পরিসংখ্যান বলছে এখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সময়ে পিচ পেস সহায়ক থাকে। ফলে এবারও তাই থাকবে। আমাদের কিছু স্কিড বোলার আছে, ভালো দক্ষ বোলার আছে, ব্লেসিং (মুজারাবানি), ভিক্টর (নিয়াউচি) ও (ট্রেভর) গুয়ান্দু আছে। আশা করি ভালো লড়াই হবে।’
জিম্বাবুয়ে তেমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে আসেনি বলেও দাবি এই অলরাউন্ডারের, ‘আমাদের দলে ৪ জন (অভিজ্ঞ) আছে মাত্র, যারা উপমহাদেশে টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তবে আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে, বাংলাদেশও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমার মনে হয় এখানে মানসিক ব্যাপার এবং মানিয়ে নেওয়ার বিষয়গুলো বেশি জরুরি হবে।’
প্রধান কোচ জাস্টিন স্যামন্স বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা সত্যিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে এবং সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে।’
জিম্বাবুয়ের ওয়ার্মআপ
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের খুব একটা সাফল্য নেই। গত ২০২১ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জেতার পর থেকে ১০টি টেস্ট খেললেও জিততে পারেনি। ৮টি হার ও ২টি ড্র। জয়খরা কাটানোর মিশনে এখন তারা বাংলাদেশে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে প্রথম ট্রেনিং সেশন করেছে আফ্রিকান দলটি। তরুণ একটি দল নিয়ে বাংলাদেশ বধের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে জিম্বাবুয়ানরা।
বর্তমান স্কোয়াডের ১০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (২৩ টেস্ট), শন উইলিয়ামস (১৭) ও ব্লেসিং মুজারাবানির (১০)। প্রতিশ্রুতিশীল ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিতে পারেন বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল ও এনগারাভার মতো খেলোয়াড়রা।
দলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় উইলিয়ামস। পিঠের ইনজুরিতে গত ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিককে ৩৮ বছর বয়সী তারকা বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা তরুণ দল। আশা করি, তারা আরেকটু বেশি নির্ভীক ও চতুর হবে। টেস্ট ক্রিকেট বিকশিত হচ্ছে। খেলোয়াড়রা দ্রুত রান করছে, নতুন কিছুর চেষ্টা করছে। ট্যাকটিক্যালি এখন টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু হচ্ছে। এই তরুণরা কী করতে পারে সেটা দেখতে পারা হবে রোমাঞ্চকর।’
সিরিজ ভালোভাবে শুরু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ভাগ্য পাল্টাতে আশাবাদী তিনি। শেষবার তারা বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০১১ সালে। আর সর্বশেষ বাংলাদেশকে তারা টেস্টে হারিয়েছিল ২০১৮ সালে। সিলেটেই ১৫১ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। রোববার সেখানেই শুরু হচ্ছে সিরিজ।
উইলিয়ামস বললেন, ‘আমি মনে করি এটা নির্ভর করছে প্রথম ইনিংস কেমন হবে তার ওপর। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সবসময় জেতার জন্য খেলি। দুই টেস্টের আগের প্রস্তুতি হবে গুরুত্বপূর্ণ।’
সফরকারী দলে সিলেটের পেসবান্ধব উইকেটে ভালো করার মতো বোলার আছে বলেও জানান উইলিয়ামস, ‘পিচ কিছুটা ভিন্ন লাগছে এবার। আগেরবার লো-স্লো এবং স্পিন সহায়ক মনে হয়েছিল। এবার ঘাস বেশি, পেস সহায়ক। পরিসংখ্যান বলছে এখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সময়ে পিচ পেস সহায়ক থাকে। ফলে এবারও তাই থাকবে। আমাদের কিছু স্কিড বোলার আছে, ভালো দক্ষ বোলার আছে, ব্লেসিং (মুজারাবানি), ভিক্টর (নিয়াউচি) ও (ট্রেভর) গুয়ান্দু আছে। আশা করি ভালো লড়াই হবে।’
জিম্বাবুয়ে তেমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে আসেনি বলেও দাবি এই অলরাউন্ডারের, ‘আমাদের দলে ৪ জন (অভিজ্ঞ) আছে মাত্র, যারা উপমহাদেশে টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তবে আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে, বাংলাদেশও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমার মনে হয় এখানে মানসিক ব্যাপার এবং মানিয়ে নেওয়ার বিষয়গুলো বেশি জরুরি হবে।’
প্রধান কোচ জাস্টিন স্যামন্স বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা সত্যিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে এবং সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে।’