জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সোমবার, (২১ এপ্রিল) দিন শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান করে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করা ওপেনার সাদমান ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৪ রান করে মুজারাবানির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। স্বাগতিকদের বিপদ বাড়তে পারত আরও। শেষ বিকেলে জয়ের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন উইকেটরক্ষক মায়াভো। পরে আবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান জয়।
৬ ও ১৮ রানে জীবন পেয়ে ২৮ রানে অপরাজিত তরুণ ওপেনার। তার সঙ্গে ১৫ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মোমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। উইকেট শিকারের বিচারে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে একাদশবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান এই অফ স্পিনার। এর আগে ঘরের মাঠে ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন মিরাজ।
তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজটা করেন মূলত নাহিদ। গতি আর বাউন্সের তোপে ৩ উইকেট নিয়ে নেন তরুণ ফাস্ট বোলার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। কারানকে ১৮ রানে শিকার করেন রানা। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে আউট হন ব্রায়ান বেনেট। রানার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৫৭ রান করা বেনেট।
তিন নম্বরে নামা নিক ওয়েলচকে ২ রানে বোল্ড করেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ৮৮ রানে ৩ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও সিন উইলিয়ামস। জুটিতে ৪১ রান যোগ হওয়ার পর রানার তৃতীয় শিকার হন আরভিন। ৮ রান করেন তিনি। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর ৪৮ রান যোগ করেন সিন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাধভেরে। ২৪ রান করা মাধভেরেকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পেসার খালেদ আহমেদ।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেন উইলিয়ামস। ৬টি চার ২টি ছক্কায় ৫৯ রান করে মিরাজের প্রথম শিকার হন উইলিয়ামস। দলীয় ১৯৩ রানে উইলিয়ামসের আউটের পর জিম্বাবুয়ের লিড বড় করেছেন নিয়াশা মায়াভো, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। মায়াভো ৩৫ ও মুজারাবানিকে ১৭ রানে থামান মিরাজ। শেষ ব্যাটার নিয়ুচিকে শিকার করে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের শেষ ৫ উইকেটই নেন মিরাজ। ২০.২ ওভার বল করে ৫২ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৫১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১১তমবার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন মিরাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর দেশের মাটিতে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। ৭৪ রানে ৩ উইকেট নেন রানা। ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন এনগারাভা।
দিনের শেষ দিকে দেড় ঘণ্টার জন্য নেমে আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন ৪ রান করা সাদমান। দ্রুত ফিরতে পারতেন জয়ও। মুজারাবানির বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মায়াভো। হতাশায় ক্রিজের পাশে মাটিতে লাথিই মেরে বসেন দীর্ঘদেহী পেসার। কয়েক ওভার পর এনগারাভার বলে তুলনামূলক চতুর্থ স্লিপে লাফিয়েও বল হাতে জমাতে পারেননি কারান। এটি অবশ্য বেশ কঠিন ছিল। দুটি ক্যাচ ছাড়াও দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডিং হয় খুব বাজে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান বাড়িয়ে নেন জয় ও মোমিনুল। ৪২ বলে এরই মধ্যে ৬টি চার মেরেছেন জয়। ১৫ রানের পথে মোমিনুলের বাউন্ডারি ৩টি।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সোমবার, (২১ এপ্রিল) দিন শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান করে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করা ওপেনার সাদমান ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৪ রান করে মুজারাবানির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। স্বাগতিকদের বিপদ বাড়তে পারত আরও। শেষ বিকেলে জয়ের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন উইকেটরক্ষক মায়াভো। পরে আবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান জয়।
৬ ও ১৮ রানে জীবন পেয়ে ২৮ রানে অপরাজিত তরুণ ওপেনার। তার সঙ্গে ১৫ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মোমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। উইকেট শিকারের বিচারে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে একাদশবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান এই অফ স্পিনার। এর আগে ঘরের মাঠে ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন মিরাজ।
তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজটা করেন মূলত নাহিদ। গতি আর বাউন্সের তোপে ৩ উইকেট নিয়ে নেন তরুণ ফাস্ট বোলার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার নাহিদ রানা। কারানকে ১৮ রানে শিকার করেন রানা। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে আউট হন ব্রায়ান বেনেট। রানার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৫৭ রান করা বেনেট।
তিন নম্বরে নামা নিক ওয়েলচকে ২ রানে বোল্ড করেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ৮৮ রানে ৩ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও সিন উইলিয়ামস। জুটিতে ৪১ রান যোগ হওয়ার পর রানার তৃতীয় শিকার হন আরভিন। ৮ রান করেন তিনি। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর ৪৮ রান যোগ করেন সিন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাধভেরে। ২৪ রান করা মাধভেরেকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পেসার খালেদ আহমেদ।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেন উইলিয়ামস। ৬টি চার ২টি ছক্কায় ৫৯ রান করে মিরাজের প্রথম শিকার হন উইলিয়ামস। দলীয় ১৯৩ রানে উইলিয়ামসের আউটের পর জিম্বাবুয়ের লিড বড় করেছেন নিয়াশা মায়াভো, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। মায়াভো ৩৫ ও মুজারাবানিকে ১৭ রানে থামান মিরাজ। শেষ ব্যাটার নিয়ুচিকে শিকার করে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের শেষ ৫ উইকেটই নেন মিরাজ। ২০.২ ওভার বল করে ৫২ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৫১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১১তমবার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন মিরাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর দেশের মাটিতে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। ৭৪ রানে ৩ উইকেট নেন রানা। ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন এনগারাভা।
দিনের শেষ দিকে দেড় ঘণ্টার জন্য নেমে আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন ৪ রান করা সাদমান। দ্রুত ফিরতে পারতেন জয়ও। মুজারাবানির বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মায়াভো। হতাশায় ক্রিজের পাশে মাটিতে লাথিই মেরে বসেন দীর্ঘদেহী পেসার। কয়েক ওভার পর এনগারাভার বলে তুলনামূলক চতুর্থ স্লিপে লাফিয়েও বল হাতে জমাতে পারেননি কারান। এটি অবশ্য বেশ কঠিন ছিল। দুটি ক্যাচ ছাড়াও দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডিং হয় খুব বাজে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান বাড়িয়ে নেন জয় ও মোমিনুল। ৪২ বলে এরই মধ্যে ৬টি চার মেরেছেন জয়। ১৫ রানের পথে মোমিনুলের বাউন্ডারি ৩টি।