নেমে গেছে পারটেক্স ও শাইনপুকুর.
ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক মাফফিজুল ইসলাম
হারলেই ডিপিএল থেকে নেমে যেতে হবে প্রথম বিভাগে। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি তাই হয়ে ওঠে ‘অলিখিত ফাইনাল।’ গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন মাহফিজ। স্রেফ দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে গড়ে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত। সঙ্গে বাকিদের অবদানে তিনশ’র কাছাকাছি পুঁজি গড়লো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পরে বাকি কাজ সারলেন দলটির বোলাররা।
বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) রেলিগেশন লীগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১১৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স। ২৯৪ রান নিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ১৮১ রানে। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে টিকে গেছে ব্রাদার্স। সমান ম্যাচে পারটেক্স ৮ ও শাইনপুকুর ক্লাব ২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম বিভাগে নেমে গেছে।
আর প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লীগে উন্নীত হয়েছে ঢাকা লেপার্ডস ও সিটি ক্লাব।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক মাহফিজুল ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৯৮ রান করেন। ৭ চারে ৫০ রান আসে দলটির অধিনায়ক মাইশুকুর রহমানের ব্যাট থেকে। ২ ছক্কা ও ৩ চারে মিজানুর রহমান করেন ৪২ রান। আইচ মোল্লা ৪৮ রান করতে মারেন ৩ ছক্কা ও দুটি চার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সকে দুর্দান্ত সূচনা করেন মাহফিজুল ও মাইশুকুর। তাদের ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে মাইশুকুরের বিদায়ে। পরে জাহিদউজ্জামানকেও দ্রুত হারায় দলটি।
৫৪ বলে ফিফটি করা মাহফিজুল দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন। তার শতক মনে হচ্ছিল, স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ইয়াসিন মুনতাসিরের বলে বোল্ড হয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্সের ওপেনার।
পরে ৮০ রানের জুটিতে দলের রান আড়াইশ পার করেন মিজানুর ও আইচ। তাদের বিদায়ের পর শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি ব্রাদার্স। শেষ ৫ ওভারে ২৯ রান আসে ৪ উইকেট হারিয়ে।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পারটেক্স। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত ধরে রাখেন আদিল। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ৭৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
পারটেক্সের ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল দুইজন। যার মধ্যে ৩০ পার করতে পারেন কেবল আহরার আমিন (২ ছক্কা ও ১ চারে ৩৩)।
ব্রাদার্সের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন রকিবুল আতিক ও অলক কাপালি। দুটি প্রাপ্তি সালাউদ্দিন শাকিলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯৪/৯ (মাহফিজুল ৯৮, মাইশুকুর ৫০, মিজানুর ৪২, আইচ ৪৮; শহিদুল ২/৫৮, আলাউদ্দিন ২/৪৯, ইয়াসিন ২/৩৪)।
পারটেক্স স্পোর্টিং ৩৭.১ ওভারে ১৮১ (আদিল ৮৫, আহরার ৩৩; শাকিল ২/২৯, রকিবুল ৩/৩৬, অলক ৩/৪৭)। ম্যাচসেরা : মাফফিজুল ইসলাম।
নেমে গেছে পারটেক্স ও শাইনপুকুর.
ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক মাফফিজুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
হারলেই ডিপিএল থেকে নেমে যেতে হবে প্রথম বিভাগে। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি তাই হয়ে ওঠে ‘অলিখিত ফাইনাল।’ গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন মাহফিজ। স্রেফ দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে গড়ে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত। সঙ্গে বাকিদের অবদানে তিনশ’র কাছাকাছি পুঁজি গড়লো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পরে বাকি কাজ সারলেন দলটির বোলাররা।
বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) রেলিগেশন লীগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১১৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স। ২৯৪ রান নিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ১৮১ রানে। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে টিকে গেছে ব্রাদার্স। সমান ম্যাচে পারটেক্স ৮ ও শাইনপুকুর ক্লাব ২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম বিভাগে নেমে গেছে।
আর প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লীগে উন্নীত হয়েছে ঢাকা লেপার্ডস ও সিটি ক্লাব।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক মাহফিজুল ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৯৮ রান করেন। ৭ চারে ৫০ রান আসে দলটির অধিনায়ক মাইশুকুর রহমানের ব্যাট থেকে। ২ ছক্কা ও ৩ চারে মিজানুর রহমান করেন ৪২ রান। আইচ মোল্লা ৪৮ রান করতে মারেন ৩ ছক্কা ও দুটি চার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সকে দুর্দান্ত সূচনা করেন মাহফিজুল ও মাইশুকুর। তাদের ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে মাইশুকুরের বিদায়ে। পরে জাহিদউজ্জামানকেও দ্রুত হারায় দলটি।
৫৪ বলে ফিফটি করা মাহফিজুল দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন। তার শতক মনে হচ্ছিল, স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ইয়াসিন মুনতাসিরের বলে বোল্ড হয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্সের ওপেনার।
পরে ৮০ রানের জুটিতে দলের রান আড়াইশ পার করেন মিজানুর ও আইচ। তাদের বিদায়ের পর শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি ব্রাদার্স। শেষ ৫ ওভারে ২৯ রান আসে ৪ উইকেট হারিয়ে।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পারটেক্স। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত ধরে রাখেন আদিল। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ৭৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
পারটেক্সের ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল দুইজন। যার মধ্যে ৩০ পার করতে পারেন কেবল আহরার আমিন (২ ছক্কা ও ১ চারে ৩৩)।
ব্রাদার্সের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন রকিবুল আতিক ও অলক কাপালি। দুটি প্রাপ্তি সালাউদ্দিন শাকিলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯৪/৯ (মাহফিজুল ৯৮, মাইশুকুর ৫০, মিজানুর ৪২, আইচ ৪৮; শহিদুল ২/৫৮, আলাউদ্দিন ২/৪৯, ইয়াসিন ২/৩৪)।
পারটেক্স স্পোর্টিং ৩৭.১ ওভারে ১৮১ (আদিল ৮৫, আহরার ৩৩; শাকিল ২/২৯, রকিবুল ৩/৩৬, অলক ৩/৪৭)। ম্যাচসেরা : মাফফিজুল ইসলাম।