বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শনিবার (২৬ ০৪ ২০২৫) সুপার লীগের একপেশে ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে আবাহনী। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৫ রান তোলে লিজেন্ডস। জবাবে মাত্র ৩৭.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে মোসাদ্দেকের দল। লীগ পর্বে ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছিল আবাহনী। সুপার লীগে চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জেতায় তাদের অর্জন বেড়ে হয়েছে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লিজেন্ডস। ২২ রান করে ফিরেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। দুজনই মোসাদ্দেকের শিকার হন । এরপর চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোয়নি সাইফ হাসান ও মেহেদী মারুফের প্রতিরোধ। ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাইফের বিদায়ে। তিনি বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের বলে মাঠ ছাড়ার পর আফিফকে টিকতে দেননি মোসাদ্দেক।
পঞ্চম উইকেটে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করে লিজেন্ডস। মারুফের সঙ্গে অধিনায়ক আকবর আলী যোগ করেন ৫০ রান। এই জুটিও ভাঙেন মোসাদ্দেক। আকবর বিদায় নেওয়ার কয়েক ওভার পর একপ্রান্ত আগলে থাকা মারুফও থামেন। ১৪২ রানে ৬ উইকেট খোয়ানো দলটি এরপর দুইশ ছাড়িয়ে যায় রিজওয়ান ও শরিফুলের কল্যাণে।
মারুফ ৪৮ করেন ৮৮ বলে। আকবর ৪০ বলে ৩৫ রান। সাতে নেমে রিজওয়ান করেন ৪৭ বলে ৪০। আটে নামা শরিফুল চার ছক্কা ও এক চারে খেলেন ২৩ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। আবাহনীর মোসাদ্দেক ৪ ও রাকিবুল ৩ উইকেট নেন। দুজনই ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে সমান ৪১ রান খরচ করেন।
রান তাড়ায় ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক উদ্বোধনী জুটি পায় আবাহনী। শাহরিয়ার ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩২ রান । আরেক ওপেনার পারভেজ ও জিশান দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করলে ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে শিরোপাধারীদের। পারভেজ ৮৪ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৭৩ রান। জিশানের ব্যাট থেকে আসে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৩ রান। এরপর মেহেরব হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২২৫/৯ (সাইফ ২৮, মারুফ ৪৮, আকবর ৩৫, রিজওয়ান ৪০, শরিফুল ৩৪*; মোসাদ্দেক ৪/৪১, রকিবুল ৩/৪১)। আবাহনী ৩৭.৩ ওভারে ২২৬/৩ (শাহরিয়ার ৩২, পারভেজ ৭৩, জিশান ৬৩, মেহরব ২৪*, মিঠুন ২৯*; স্বাধীন ১/৩৬)। ম্যাচসেরা : মোসাদ্দেক হোসেন।
ইমরানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর
বড় জয়
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ইমরানউজ্জামানের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির পর গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সুপার লীগের এই ম্যাচে অগ্রণীর জয় ১৩৭ রানে। ৩৪০ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ২০৩ রানে। ইমরান ২ ছক্কা ও ১৭ চারে ১০৮ বলে খেলেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৬০ রান করতে তাইবুর মারেন এক ছক্কা ও ৫টি চার। আর ৫ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ বলে ৫৯ রানের খুনে ইনিংস খেলেন প্রিতম কুমার।
বিশাল রান তাড়ায় নেমে গুলশান ক্লাব নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শাকিল। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৪৯ রান আসে নিহাদের ব্যাট থেকে।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের নেন সন্দিপ । ৩৫ রান খরচায় ৫ শিকার ধরেন এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অগ্রণী ব্যাংক ক্লাব ৩৪০/৭ (ইমরানউজ্জামান ১২৩, অমিত ৪২, তাইবুর ৬০, প্রিতম ৫৯; নিহাদ ২/৬৮, মইনুল ৩/৫৪,খালিদ ২/২৬)। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৬.৫ ওভারে ২০৩ (হাবিবুর ৩৯, শাকিল ৫৯, নিহাদ ৪৯; সন্দিপ ৫/৩৫, শুভাগত ২/৪৬, তাইবুর ২/২৯)। ম্যাচসেরা : ইমরানউজ্জামান।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শনিবার (২৬ ০৪ ২০২৫) সুপার লীগের একপেশে ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে আবাহনী। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৫ রান তোলে লিজেন্ডস। জবাবে মাত্র ৩৭.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে মোসাদ্দেকের দল। লীগ পর্বে ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছিল আবাহনী। সুপার লীগে চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জেতায় তাদের অর্জন বেড়ে হয়েছে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লিজেন্ডস। ২২ রান করে ফিরেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। দুজনই মোসাদ্দেকের শিকার হন । এরপর চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোয়নি সাইফ হাসান ও মেহেদী মারুফের প্রতিরোধ। ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাইফের বিদায়ে। তিনি বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের বলে মাঠ ছাড়ার পর আফিফকে টিকতে দেননি মোসাদ্দেক।
পঞ্চম উইকেটে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করে লিজেন্ডস। মারুফের সঙ্গে অধিনায়ক আকবর আলী যোগ করেন ৫০ রান। এই জুটিও ভাঙেন মোসাদ্দেক। আকবর বিদায় নেওয়ার কয়েক ওভার পর একপ্রান্ত আগলে থাকা মারুফও থামেন। ১৪২ রানে ৬ উইকেট খোয়ানো দলটি এরপর দুইশ ছাড়িয়ে যায় রিজওয়ান ও শরিফুলের কল্যাণে।
মারুফ ৪৮ করেন ৮৮ বলে। আকবর ৪০ বলে ৩৫ রান। সাতে নেমে রিজওয়ান করেন ৪৭ বলে ৪০। আটে নামা শরিফুল চার ছক্কা ও এক চারে খেলেন ২৩ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। আবাহনীর মোসাদ্দেক ৪ ও রাকিবুল ৩ উইকেট নেন। দুজনই ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে সমান ৪১ রান খরচ করেন।
রান তাড়ায় ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক উদ্বোধনী জুটি পায় আবাহনী। শাহরিয়ার ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩২ রান । আরেক ওপেনার পারভেজ ও জিশান দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করলে ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে শিরোপাধারীদের। পারভেজ ৮৪ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৭৩ রান। জিশানের ব্যাট থেকে আসে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৩ রান। এরপর মেহেরব হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২২৫/৯ (সাইফ ২৮, মারুফ ৪৮, আকবর ৩৫, রিজওয়ান ৪০, শরিফুল ৩৪*; মোসাদ্দেক ৪/৪১, রকিবুল ৩/৪১)। আবাহনী ৩৭.৩ ওভারে ২২৬/৩ (শাহরিয়ার ৩২, পারভেজ ৭৩, জিশান ৬৩, মেহরব ২৪*, মিঠুন ২৯*; স্বাধীন ১/৩৬)। ম্যাচসেরা : মোসাদ্দেক হোসেন।
ইমরানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর
বড় জয়
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ইমরানউজ্জামানের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির পর গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সুপার লীগের এই ম্যাচে অগ্রণীর জয় ১৩৭ রানে। ৩৪০ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ২০৩ রানে। ইমরান ২ ছক্কা ও ১৭ চারে ১০৮ বলে খেলেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৬০ রান করতে তাইবুর মারেন এক ছক্কা ও ৫টি চার। আর ৫ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ বলে ৫৯ রানের খুনে ইনিংস খেলেন প্রিতম কুমার।
বিশাল রান তাড়ায় নেমে গুলশান ক্লাব নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শাকিল। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৪৯ রান আসে নিহাদের ব্যাট থেকে।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের নেন সন্দিপ । ৩৫ রান খরচায় ৫ শিকার ধরেন এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অগ্রণী ব্যাংক ক্লাব ৩৪০/৭ (ইমরানউজ্জামান ১২৩, অমিত ৪২, তাইবুর ৬০, প্রিতম ৫৯; নিহাদ ২/৬৮, মইনুল ৩/৫৪,খালিদ ২/২৬)। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৬.৫ ওভারে ২০৩ (হাবিবুর ৩৯, শাকিল ৫৯, নিহাদ ৪৯; সন্দিপ ৫/৩৫, শুভাগত ২/৪৬, তাইবুর ২/২৯)। ম্যাচসেরা : ইমরানউজ্জামান।