তাইজুলের উইকেট উদযাপন
চট্টগ্রামের সাগরিকায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন সকাল থেকে তীব্র রোদের পর শেষ সেশনে হঠাৎ বইতে শুরু করে ঝড়ো বাতাস। কালো মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ। সেই ঝড়ই যেন উড়িয়ে নিল বাংলাদেশের সব হতাশা। দিনের শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ২২৭/৯ (বেনেট ২১, কারান ২১, ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭, আরভাইন ৫, মাধভেরে ১৫, সিগা ১৮*, ওয়েলিংটন ৬, এনগারাভা ০, মাসেকেসা ৮, মুজারাবানি ২*; উইকেট পতন : ১/৪১, ২/৭২, ২/১৬২*,৩/১৭৭, ৪/১৭৮, ৫/২০০, ৬/২০৬, ৭/২০৬, ৮/২১৬। বোলিং : হাসান ১০-৩-২৪-০, তানজিম ১০-০-৪৯-১, মিরাজ ২১-৭-৪৪-০, তাইজুল ২৭-৬-৬০-৫, নাঈম ২০-৯-৪২-২ মোমিনুল ২-০-২-০)। টস : জিম্বাবুয়ে।
চা বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৬১ রান করা জিম্বাবুয়ে শেষ সেশনে ৬৬ রান করতে হারায় ৭ উইকেট। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন। ৫৩ টেস্টে তার এটি ১৬তম পাঁচ উইকেট। একাদশে ফেরার দিন নাঈমও দারুণ বোলিং করেন। ২০ ওভার বোলিং করে নেন ৪২ রানে ২।
সোমবার,(২৮ এপ্রিল ২০২৫)বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং নেমে দিনের শুরুতে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। প্রথম ১০ ওভার উইকেটের দেখা পায়নি। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান। ২১ রান করে তার শিকার হন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ২১ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হন ওপেনার বেন কারান। ৭২ রানে দুই উইকেট হারোনোর পর শুরু হয় ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটি। লাঞ্চে ২ উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আসে উইকেটের সুযোগ। কিন্তু রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাদমান ও জাকের আলি।
ওয়েলচ শুরুতে ২৯ বলে ২২ রান করার পর ফিফটি করেন ১০৭ বলে। চা বিরতির আগে উইলিয়ামসও ফিফটি পূর্ণ করেন, ১১৪ বলে। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান যোগ করেন সফরকারীরা। আউট না হলেও প্রচণ্ড গরমে বেশ কয়েকবার পেশির টানে শুশ্রষা নিতে হয় দুই ব্যাটসম্যানের।
শেষ সেশনে ব্যাটিং নেমে এক বল খেলার পর আবারও পেশির টান অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে যান ওয়েলচ। ছেদ পড়ে ২৩০ বলে ৯০ রানের জুটির।
এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। সেটিই হয়তো নড়িয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের মনোযোগ। নাঈমের বলে কট বিহাইন্ড হন ৫ রান করা ক্রেইগ আরভিন।
নাঈমের পরের ওভারে সুইপ খেলার চেষ্টায় ক্যাচ আউট হন উইলিয়ামস। ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৭ বলে ৬৬ রান করেন উইলিয়ামস।
দিনের পরের গল্পের পুরোটা জুড়ে তাইজুল। দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার আগে মাধেভেরেকে কট বিহাইন্ড করেন তিনি। নতুন বল নিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার কাছে ছক্কা হজম করেন তাইজুল। পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাসাকাদজা। পরের ডেলিভারিতে বোল্ড রিচার্ড এনগারাভা।
মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপদ আরো বাড়ে অভিষিক্ত মাসেকেসার রান আউটে।
অষ্টম উইকেট পড়ার পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়েলচ। দুই বলের বেশি অবশ্য টিকতে পারেননি। তাইজুলের বলে স্লগ করার চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি। একইসঙ্গে পূর্ণ হয় তাইজুলের ৫ উইকেট।
দিনের শেষ ৫ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি সিগা ও মুজারাবানি। ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।
তাইজুলের উইকেট উদযাপন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের সাগরিকায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন সকাল থেকে তীব্র রোদের পর শেষ সেশনে হঠাৎ বইতে শুরু করে ঝড়ো বাতাস। কালো মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ। সেই ঝড়ই যেন উড়িয়ে নিল বাংলাদেশের সব হতাশা। দিনের শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ২২৭/৯ (বেনেট ২১, কারান ২১, ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭, আরভাইন ৫, মাধভেরে ১৫, সিগা ১৮*, ওয়েলিংটন ৬, এনগারাভা ০, মাসেকেসা ৮, মুজারাবানি ২*; উইকেট পতন : ১/৪১, ২/৭২, ২/১৬২*,৩/১৭৭, ৪/১৭৮, ৫/২০০, ৬/২০৬, ৭/২০৬, ৮/২১৬। বোলিং : হাসান ১০-৩-২৪-০, তানজিম ১০-০-৪৯-১, মিরাজ ২১-৭-৪৪-০, তাইজুল ২৭-৬-৬০-৫, নাঈম ২০-৯-৪২-২ মোমিনুল ২-০-২-০)। টস : জিম্বাবুয়ে।
চা বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৬১ রান করা জিম্বাবুয়ে শেষ সেশনে ৬৬ রান করতে হারায় ৭ উইকেট। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন। ৫৩ টেস্টে তার এটি ১৬তম পাঁচ উইকেট। একাদশে ফেরার দিন নাঈমও দারুণ বোলিং করেন। ২০ ওভার বোলিং করে নেন ৪২ রানে ২।
সোমবার,(২৮ এপ্রিল ২০২৫)বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং নেমে দিনের শুরুতে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। প্রথম ১০ ওভার উইকেটের দেখা পায়নি। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান। ২১ রান করে তার শিকার হন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ২১ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হন ওপেনার বেন কারান। ৭২ রানে দুই উইকেট হারোনোর পর শুরু হয় ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটি। লাঞ্চে ২ উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আসে উইকেটের সুযোগ। কিন্তু রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাদমান ও জাকের আলি।
ওয়েলচ শুরুতে ২৯ বলে ২২ রান করার পর ফিফটি করেন ১০৭ বলে। চা বিরতির আগে উইলিয়ামসও ফিফটি পূর্ণ করেন, ১১৪ বলে। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান যোগ করেন সফরকারীরা। আউট না হলেও প্রচণ্ড গরমে বেশ কয়েকবার পেশির টানে শুশ্রষা নিতে হয় দুই ব্যাটসম্যানের।
শেষ সেশনে ব্যাটিং নেমে এক বল খেলার পর আবারও পেশির টান অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে যান ওয়েলচ। ছেদ পড়ে ২৩০ বলে ৯০ রানের জুটির।
এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। সেটিই হয়তো নড়িয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের মনোযোগ। নাঈমের বলে কট বিহাইন্ড হন ৫ রান করা ক্রেইগ আরভিন।
নাঈমের পরের ওভারে সুইপ খেলার চেষ্টায় ক্যাচ আউট হন উইলিয়ামস। ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৭ বলে ৬৬ রান করেন উইলিয়ামস।
দিনের পরের গল্পের পুরোটা জুড়ে তাইজুল। দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার আগে মাধেভেরেকে কট বিহাইন্ড করেন তিনি। নতুন বল নিয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার কাছে ছক্কা হজম করেন তাইজুল। পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাসাকাদজা। পরের ডেলিভারিতে বোল্ড রিচার্ড এনগারাভা।
মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপদ আরো বাড়ে অভিষিক্ত মাসেকেসার রান আউটে।
অষ্টম উইকেট পড়ার পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়েলচ। দুই বলের বেশি অবশ্য টিকতে পারেননি। তাইজুলের বলে স্লগ করার চেষ্টায় বোল্ড হন তিনি। একইসঙ্গে পূর্ণ হয় তাইজুলের ৫ উইকেট।
দিনের শেষ ৫ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি সিগা ও মুজারাবানি। ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।