alt

সাদমানের সেঞ্চুরিতে ৬৪ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সেঞ্চুরিয়ান সাদমানের একটি শট

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২২৭ রান । প্রথম দিনের ২২৭/৯ রান নিয়ে মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট নিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। এরপর দুই ওপেনারের শতরানের জুটিতে জাগিয়ে তোলে বড় স্কোরের সম্ভাবনা। কিন্তু থিতু হয়েও একের পর এক ব্যাটাররা উইকেট ছুড়ে আসার মিছিলে মিশে গেছে সেই আশা।

২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান। প্রায় চার বছর একই দলের বিপক্ষে তিনি করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রান। ১৮১ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ১৬ চার ও ১টি ছক্কা। ২২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড।

আগের দিন পাঁচ উইকেট নেয়া তাইজুল মঙ্গলবার মুজারাবানিকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে থামেন বাঁহাতি স্পিনার।

পরে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পড়তে দেননি দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল। শুরুতে অবশ্য কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল। অন্য প্রান্তে সাদমান শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। ৭৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৬৬ বলে অপরাজিত থাকেন মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান সাদমান। এনামুল প্রথম সেশনে করেন ৩৮ রান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন এনামুল। মুজারাবানির ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি তিনি। পেছনের প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ১১৯ রানের ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩৯ রান করেন এনামুল (৮০ বল, ৪টি চার) ।

পরে জুটি বাঁধেন সাদমান ও মোমিনুল হক। ১৪২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান সাদমান। মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানের ফিরেন মোমিনুল । দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ৭৬ রানে।

পরের ওভারে বেনেটের বলে প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি ।

৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনেই সব কিছু বদলে দেন মাসেকেসা। আর ৮৬ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এর তিনটিই নেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার। অন্যটি মুশফিকের রানআউট।

এরপর দলকে এগিয়ে নেন শান্ত ও মুশফিক। লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই মাসেকেসার বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টিকতে পারেননি জাকের আলি। মাসেকেসাকে ফিরতি ক্যাচ দেন । এর কিছুক্ষণ পর মুশফিকের রান আউট।

ফেরার আগপর্যন্ত দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ বলে ৪০ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। নাঈমকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মিরাজ। কিন্তু মাসেকেসার লেগ স্পিনে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান নাঈম।

দিনের বাকি ৪ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি মিরাজ ও তাইজুল।

স্কোর কার্ড

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস (আগের দিন ২২৭/৯) ২২৭/১০ (ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস

সাদমান এলবিডব্লিউ বেনেট ১২০

এনামুল এলবিডব্লিউ মুজারাবানি ৩৯

মোমিনুল ক কারান ব মাসাকাদজা ৩৩

নাজমুল ক ওয়েলচ ব মাসেকেসা ২৩

মুশফিক রান আউট ৪০

জাকের আলী কট ও বল মাসেকেসা ৫

মেহদী মিরাজ অপরাজিত ১৬

নাঈম ক উইলিয়ামস ব মাসেকেসা ৩

তাইজুল অপরাজিত ৫

অতিরিক্ত ৭

মোট (৮৭ ওভারে) ২৯১/৭

উইকেট পতন : ১/১১৮ (এনামুল), ২/১৯৪ (মোমিনুল), ৩/১৯৪ (সাদমান), ৪/২৫৯ (নাজমুল), ৫/২৬৭(জাকের), ৬/২৭৪ (মুশফিক), ৭/২৭৯ (নাঈম)।

বোলিং : নাগারাভা ১১-২-৪১-০, মুজারাবানি ১৬-৪-৪৪-১, মাসাকাদজা ২৯-৫-৭৭-১, মাসেকেসা ১৪-০-৪৪-৩, মাধেভেরে ৮-০-২৯-০, বেনেট ৯-১-৪৯-১।

ছবি

অলিম্পিকে দেশের জন্য বড় সম্মান আনতে চান জহির

ছবি

হার দিয়ে শুরু আফঈদাদের

সলিডারিটি গেমস কুস্তিতে ওয়াকওভার: ব্যাখ্যা চেয়েছে বিওএ

ছবি

সলিডারিটি গেমস টিটিতে রুপাজয়ী জাবেদ ও খই খই-এর সংবর্ধনা

ছবি

এমবাপ্পের নজির, জিতেছে রেয়াল, ভিটিনহার হ্যাটট্রিকে জয় পিএসজি-র, হেরে সমস্যায় লিভারপুল

ছবি

টেস্টে ভারতের ব্যর্থতা: পোস্টমর্টেম পরামর্শ গাভাস্কারের

ছবি

‘প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি, এতে লজ্জার কিছু নেই!’

ছবি

আড়াইশ’ বিদেশি ক্রিকেটারের নাম নিবন্ধন

ছবি

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি আরও ভালো করার লক্ষ্য বাংলাদেশের

ছবি

অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক জয়

ছবি

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে তাইজুলের উন্নতি, এগিয়েছেন মুশফিক ও লিটন

ছবি

বিপিএলের নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস

ছবি

ভারতের মাঠে ২৫ বছর পর টেস্ট সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবি

বার্সাকে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি, অপ্রত্যাশিত হার সিটির

ছবি

যুব বিশ্বকাপ হকি: প্রস্তুতি ম্যাচে দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের

ছবি

দল নির্বাচনে অধিনায়ক বা কোচের অনুমতি বাধ্যবাধকতা নয়: লিপু

ছবি

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচ বুধবার

ছবি

তিন কোচেরই দল পরখ করে নেয়ার মঞ্চ

ছবি

বাংলাদেশের তিন ম্যাচ কলকাতায় টি-২০ বিশ্বকাপ

ছবি

এনসিএলে তানভিরের ৭ উইকেট আল আমিনের সেঞ্চুরি

ছবি

সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়: আকবর আল

ছবি

৫৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বিপদে ভারত

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সফল আয়োজনে বাংলাদেশের সক্ষমতার বার্তা

ছবি

ঢাকায় মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল শুরু ২৬ নভেম্বর

ছবি

রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীকে হারালো মোহামেডান

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ভারতের

ছবি

ব্রুনাইয়ের জালেও গোল উৎসব লাল-সবুজদের

ছবি

জাতীয় খেলোয়াড়রা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না

ছবি

ইয়ানসেনের তোপে নিজেদের মাঠে ‘ধবলধোলাইয়ের’ শঙ্কায় ভারত

ছবি

সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা পাকিস্তানের

ছবি

মুশফিকের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ছবি

এএফসিতে বাংলাদেশের ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ সোমবার

ছবি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই তাসকিন, নতুন মুখ মাহিদুল

ছবি

‘১০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটারও এখন স্বপ্ন দেখছে ১০০ টেস্ট খেলার’

ছবি

সেমিতে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়েই শেষ বাংলাদেশের

ছবি

গৌহাটি টেস্টে মুথুসামির সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ম ইনিংসে ৪৮৯

tab

সাদমানের সেঞ্চুরিতে ৬৪ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

সেঞ্চুরিয়ান সাদমানের একটি শট

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২২৭ রান । প্রথম দিনের ২২৭/৯ রান নিয়ে মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট নিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। এরপর দুই ওপেনারের শতরানের জুটিতে জাগিয়ে তোলে বড় স্কোরের সম্ভাবনা। কিন্তু থিতু হয়েও একের পর এক ব্যাটাররা উইকেট ছুড়ে আসার মিছিলে মিশে গেছে সেই আশা।

২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান। প্রায় চার বছর একই দলের বিপক্ষে তিনি করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রান। ১৮১ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ১৬ চার ও ১টি ছক্কা। ২২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড।

আগের দিন পাঁচ উইকেট নেয়া তাইজুল মঙ্গলবার মুজারাবানিকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে থামেন বাঁহাতি স্পিনার।

পরে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পড়তে দেননি দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল। শুরুতে অবশ্য কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল। অন্য প্রান্তে সাদমান শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। ৭৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৬৬ বলে অপরাজিত থাকেন মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান সাদমান। এনামুল প্রথম সেশনে করেন ৩৮ রান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন এনামুল। মুজারাবানির ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি তিনি। পেছনের প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ১১৯ রানের ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩৯ রান করেন এনামুল (৮০ বল, ৪টি চার) ।

পরে জুটি বাঁধেন সাদমান ও মোমিনুল হক। ১৪২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান সাদমান। মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানের ফিরেন মোমিনুল । দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ৭৬ রানে।

পরের ওভারে বেনেটের বলে প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি ।

৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনেই সব কিছু বদলে দেন মাসেকেসা। আর ৮৬ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এর তিনটিই নেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার। অন্যটি মুশফিকের রানআউট।

এরপর দলকে এগিয়ে নেন শান্ত ও মুশফিক। লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই মাসেকেসার বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টিকতে পারেননি জাকের আলি। মাসেকেসাকে ফিরতি ক্যাচ দেন । এর কিছুক্ষণ পর মুশফিকের রান আউট।

ফেরার আগপর্যন্ত দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ বলে ৪০ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। নাঈমকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মিরাজ। কিন্তু মাসেকেসার লেগ স্পিনে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান নাঈম।

দিনের বাকি ৪ ওভারে আর উইকেট পড়তে দেননি মিরাজ ও তাইজুল।

স্কোর কার্ড

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস (আগের দিন ২২৭/৯) ২২৭/১০ (ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস

সাদমান এলবিডব্লিউ বেনেট ১২০

এনামুল এলবিডব্লিউ মুজারাবানি ৩৯

মোমিনুল ক কারান ব মাসাকাদজা ৩৩

নাজমুল ক ওয়েলচ ব মাসেকেসা ২৩

মুশফিক রান আউট ৪০

জাকের আলী কট ও বল মাসেকেসা ৫

মেহদী মিরাজ অপরাজিত ১৬

নাঈম ক উইলিয়ামস ব মাসেকেসা ৩

তাইজুল অপরাজিত ৫

অতিরিক্ত ৭

মোট (৮৭ ওভারে) ২৯১/৭

উইকেট পতন : ১/১১৮ (এনামুল), ২/১৯৪ (মোমিনুল), ৩/১৯৪ (সাদমান), ৪/২৫৯ (নাজমুল), ৫/২৬৭(জাকের), ৬/২৭৪ (মুশফিক), ৭/২৭৯ (নাঈম)।

বোলিং : নাগারাভা ১১-২-৪১-০, মুজারাবানি ১৬-৪-৪৪-১, মাসাকাদজা ২৯-৫-৭৭-১, মাসেকেসা ১৪-০-৪৪-৩, মাধেভেরে ৮-০-২৯-০, বেনেট ৯-১-৪৯-১।

back to top