দীর্ঘ আট বছর পর বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে দেখা মিলল শতকের। সেই কৃতিত্ব গেল তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ঝলমলে ব্যাটে।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শতরান করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাঁর ছক্কার বৃষ্টিতে বাংলাদেশ পেল শারজাহতে প্রথম জয়, সিরিজের শুরুটাও হলো প্রত্যাশিতভাবে।
শনিবার শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন খেলেছেন ৫৪ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৯টি ছক্কা—যা এক ইনিংসে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তবে দলের বাকিদের ব্যাটে ধার ছিল না তেমন। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে পেরিয়ে যায় ১০০ রান, তবুও স্কোরবোর্ড ২০০ ছুঁতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১/৭।
রান তাড়ায় শুরুটা দারুণ করে আমিরাত। ওপেনার মুহাম্মাদ ওয়াসিম মাত্র ৩৯ বলে করেন ৫৪ রান। রাহুল শর্মার সঙ্গে তার ৬২ রানের জুটিতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আসিফ খান। ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে মারেন ৪টি ছক্কা।
তবে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত পথ হারায় স্বাগতিকরা। শেষ ১০ রানে তারা হারায় ৫টি উইকেট। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে থেমে যায় ১৬৪ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল হাসান মাহমুদ—৩৩ রানে ৩ উইকেট। তানজিম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট।
শারজাহতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়, আগের তিন ম্যাচেই ছিল হার। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের যাত্রা হলো জয় দিয়ে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস উদ্বোধনে এসেছিলেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। তবে ১০ রান করে তানজিদ বিদায় নিলে শুরু হয় পারভেজের একক শো। মিডিয়াম পেসার ও স্পিনারদের চোখ রাঙানি এড়িয়ে একের পর এক বাউন্ডারিতে এগিয়ে যান তিনি।
২৮ বলে ফিফটির পর দ্বিতীয় অর্ধশতকে খান আরও ২৫ বল। ৫৩ বলে পূর্ণ করেন শতরান। হায়দার আলির এক ওভারে মারেন টানা তিনটি ছক্কা। ফ্রি হিটে মারেন চার। ছক্কায় ছক্কায় ৯টি বাউন্ডারির মধ্যে ৮টিই ছিল লং অন ও লং অফ দিয়ে—যা বলে দেয় কোথায় তার মূল শক্তি।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন পারভেজ। এর আগে মাতিউল্লাহ খানের ‘নো’ বল বাঁচিয়ে দেন তাকে ফিরিয়ে।
পারভেজ ছাড়াও হৃদয় (২০), জাকের আলি (১৩) ও লিটন (১১) কিছু রান করলেও বড় স্কোর করতে পারেননি কেউই।
অভিষেক ম্যাচেই চমক দেখালেন তানজিম
পেস আক্রমণে তানজিম হাসান ছিলেন কার্যকর। ওয়াসিমের ঝড়ো ইনিংস থামিয়ে দেন তিনিই। এরপর ফেরান রাহুলকেও। মুস্তাফিজ স্লোয়ার আর কাটারে আগুন ঝরান, ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান। হাসান মাহমুদের বলেও এসেছিল গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
শেষের দিকে শেখ মেহেদি কিছুটা খরুচে হলেও তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। আমিরাতের ইনিংসে শেষ ৫ উইকেট গেছে মাত্র ১০ রানে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সোমবার, একই ভেন্যুতে
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, শারজাহতেই। সেখানে বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করতে নামবে। আর আমিরাত চাইবে সমতা ফেরাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ: ১৯১/৭ (২০ ওভার)
পারভেজ ১০০ (৫৪), হৃদয় ২০, লিটন ১১;
জাওয়াদউল্লাহ ৪-০-২১-৪
আমিরাত: ১৬৪ অলআউট (২০ ওভার)
ওয়াসিম ৫৪ (৩৯), আসিফ ৪২ (২১);
হাসান ৩/৩৩, তানজিম ২/২২, মুস্তাফিজ ২/১৭
ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী
সিরিজ: বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
দীর্ঘ আট বছর পর বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে দেখা মিলল শতকের। সেই কৃতিত্ব গেল তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ঝলমলে ব্যাটে।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শতরান করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাঁর ছক্কার বৃষ্টিতে বাংলাদেশ পেল শারজাহতে প্রথম জয়, সিরিজের শুরুটাও হলো প্রত্যাশিতভাবে।
শনিবার শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন খেলেছেন ৫৪ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৯টি ছক্কা—যা এক ইনিংসে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তবে দলের বাকিদের ব্যাটে ধার ছিল না তেমন। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে পেরিয়ে যায় ১০০ রান, তবুও স্কোরবোর্ড ২০০ ছুঁতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১/৭।
রান তাড়ায় শুরুটা দারুণ করে আমিরাত। ওপেনার মুহাম্মাদ ওয়াসিম মাত্র ৩৯ বলে করেন ৫৪ রান। রাহুল শর্মার সঙ্গে তার ৬২ রানের জুটিতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আসিফ খান। ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে মারেন ৪টি ছক্কা।
তবে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত পথ হারায় স্বাগতিকরা। শেষ ১০ রানে তারা হারায় ৫টি উইকেট। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে থেমে যায় ১৬৪ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল হাসান মাহমুদ—৩৩ রানে ৩ উইকেট। তানজিম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট।
শারজাহতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়, আগের তিন ম্যাচেই ছিল হার। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের যাত্রা হলো জয় দিয়ে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস উদ্বোধনে এসেছিলেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। তবে ১০ রান করে তানজিদ বিদায় নিলে শুরু হয় পারভেজের একক শো। মিডিয়াম পেসার ও স্পিনারদের চোখ রাঙানি এড়িয়ে একের পর এক বাউন্ডারিতে এগিয়ে যান তিনি।
২৮ বলে ফিফটির পর দ্বিতীয় অর্ধশতকে খান আরও ২৫ বল। ৫৩ বলে পূর্ণ করেন শতরান। হায়দার আলির এক ওভারে মারেন টানা তিনটি ছক্কা। ফ্রি হিটে মারেন চার। ছক্কায় ছক্কায় ৯টি বাউন্ডারির মধ্যে ৮টিই ছিল লং অন ও লং অফ দিয়ে—যা বলে দেয় কোথায় তার মূল শক্তি।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন পারভেজ। এর আগে মাতিউল্লাহ খানের ‘নো’ বল বাঁচিয়ে দেন তাকে ফিরিয়ে।
পারভেজ ছাড়াও হৃদয় (২০), জাকের আলি (১৩) ও লিটন (১১) কিছু রান করলেও বড় স্কোর করতে পারেননি কেউই।
অভিষেক ম্যাচেই চমক দেখালেন তানজিম
পেস আক্রমণে তানজিম হাসান ছিলেন কার্যকর। ওয়াসিমের ঝড়ো ইনিংস থামিয়ে দেন তিনিই। এরপর ফেরান রাহুলকেও। মুস্তাফিজ স্লোয়ার আর কাটারে আগুন ঝরান, ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান। হাসান মাহমুদের বলেও এসেছিল গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
শেষের দিকে শেখ মেহেদি কিছুটা খরুচে হলেও তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। আমিরাতের ইনিংসে শেষ ৫ উইকেট গেছে মাত্র ১০ রানে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সোমবার, একই ভেন্যুতে
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, শারজাহতেই। সেখানে বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করতে নামবে। আর আমিরাত চাইবে সমতা ফেরাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ: ১৯১/৭ (২০ ওভার)
পারভেজ ১০০ (৫৪), হৃদয় ২০, লিটন ১১;
জাওয়াদউল্লাহ ৪-০-২১-৪
আমিরাত: ১৬৪ অলআউট (২০ ওভার)
ওয়াসিম ৫৪ (৩৯), আসিফ ৪২ (২১);
হাসান ৩/৩৩, তানজিম ২/২২, মুস্তাফিজ ২/১৭
ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী
সিরিজ: বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে