আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম
আউট হয়ে ফেরার পর ডাগ আউটে ফিরে নির্বাক হয়ে বসেছিলেন মুহাম্মাদ ওয়াসিম। হতাশায় তোয়ালেতে মুখ লুকালেন এক পর্যায়ে। পরে লোয়ার অর্ডারদের বীরত্বে ম্যাচে যখন টানটান উত্তেজনা, তাকে দেখা গেল দু’হাত তুলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ জয়ের পর সেই মুখেই দেখা গেল চওড়া হাসি। ম্যাচের পর রোমাঞ্চে হাবুডুবু খেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক বললেন, আনন্দ প্রকাশের ভাষা পাচ্ছেন না তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল সোমবার সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়াসিম। তবে এত বড় রান তাড়ায় যেভাবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর একটি এটি নিঃসন্দেহে।
ম্যাচের পর তার উচ্ছ্বাসও ছিল তেমনই। ২০৬ রানের লক্ষ্য পেলেও জয়ের বিশ্বাস তার ছিল বলে জানান ৩১ বছর বয়সী ওয়াসিম ।
‘ভাষায় বোঝতে পারবো না (কেমন লাগছে)। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশকে হারাতে পেরে। দলের পারফরম্যান্সে খুবই আনন্দিত আমি।’
‘সবাইকে আশা দেখাচ্ছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করতে পারি। কারণ, আমরা এখানে সব সময় খেলে থাকি এবং কন্ডিশন আমাদের জানা। আমাদের আশা ছিল যে আমরা রান তাড়া করতে পারবো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সহজাত ব্যাটিং করতে।’
তিনি আউট হওয়ার পরও অবশ্য বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দেয়া চ্যালেঞ্জ ছিল দলের। তখনও ৩১ বলে প্রয়োজন ৫৮ রানের। পরের দিকের ব্যাটাররা সবাই একটু একটু করে অবদান রেখে দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। নিজে আউট হয়ে গেলেও সতীর্থদের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার।
‘আমরা আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস রেখে গেছি। শেষ দিকে ধ্রুব (পারাশার) ছক্কা মেরেছে একটি, হায়দারও একটি মেরেছে। আশা ছিল যে পারবো।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার একটি ম্যাচ জিতলেও তিন ম্যাচের সিরিজ জেতা হয়নি আমিরাতের। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সাফল্যের দেখা চান ওয়াসিম।
‘আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলবো এবং ২-১ বানানোর চেষ্টা করবো।’
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে একটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। সেই ম্যাচে ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াসিম। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় সম্ভবত সেটিই। এবার ওয়াসিমের ব্যাটে রচিত হলো তেমনই গৌরবময় আরেকটি বিজয়গাঁথা। ২০৬ রান তাড়ায় নাটকীয়তার নানা পথ বেয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা, আমিরাতের স্মরণীয়তম জয় এটিকে বললে খুব বেশি ভুল হয়তো হবে না। ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে এবারও নায়ক ওয়াসিমই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরাতের সফলতম ব্যাটার তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দেশের সফলতম অধিনায়কও। অথচ কয়েক বছর আগেও এই দেশ ছিল তার জন্য ‘বিদেশ’!
১৯৯৪ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁ চান্নু নামক শহরে। গম, তুলা, আম উৎপাদন আর খুশি বারফি নামক মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত শহরে ক্রিকেটের সংস্কৃতি তেমন একটা নেই। ওয়াসিম নিজেই যখন শহরের রাস্তাঘাটে টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন, বয়স ততদিনে ১৬ হয়ে গেছে!
আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
আউট হয়ে ফেরার পর ডাগ আউটে ফিরে নির্বাক হয়ে বসেছিলেন মুহাম্মাদ ওয়াসিম। হতাশায় তোয়ালেতে মুখ লুকালেন এক পর্যায়ে। পরে লোয়ার অর্ডারদের বীরত্বে ম্যাচে যখন টানটান উত্তেজনা, তাকে দেখা গেল দু’হাত তুলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ জয়ের পর সেই মুখেই দেখা গেল চওড়া হাসি। ম্যাচের পর রোমাঞ্চে হাবুডুবু খেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক বললেন, আনন্দ প্রকাশের ভাষা পাচ্ছেন না তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল সোমবার সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়াসিম। তবে এত বড় রান তাড়ায় যেভাবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর একটি এটি নিঃসন্দেহে।
ম্যাচের পর তার উচ্ছ্বাসও ছিল তেমনই। ২০৬ রানের লক্ষ্য পেলেও জয়ের বিশ্বাস তার ছিল বলে জানান ৩১ বছর বয়সী ওয়াসিম ।
‘ভাষায় বোঝতে পারবো না (কেমন লাগছে)। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশকে হারাতে পেরে। দলের পারফরম্যান্সে খুবই আনন্দিত আমি।’
‘সবাইকে আশা দেখাচ্ছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করতে পারি। কারণ, আমরা এখানে সব সময় খেলে থাকি এবং কন্ডিশন আমাদের জানা। আমাদের আশা ছিল যে আমরা রান তাড়া করতে পারবো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সহজাত ব্যাটিং করতে।’
তিনি আউট হওয়ার পরও অবশ্য বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দেয়া চ্যালেঞ্জ ছিল দলের। তখনও ৩১ বলে প্রয়োজন ৫৮ রানের। পরের দিকের ব্যাটাররা সবাই একটু একটু করে অবদান রেখে দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। নিজে আউট হয়ে গেলেও সতীর্থদের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার।
‘আমরা আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস রেখে গেছি। শেষ দিকে ধ্রুব (পারাশার) ছক্কা মেরেছে একটি, হায়দারও একটি মেরেছে। আশা ছিল যে পারবো।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার একটি ম্যাচ জিতলেও তিন ম্যাচের সিরিজ জেতা হয়নি আমিরাতের। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সাফল্যের দেখা চান ওয়াসিম।
‘আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলবো এবং ২-১ বানানোর চেষ্টা করবো।’
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে একটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। সেই ম্যাচে ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াসিম। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় সম্ভবত সেটিই। এবার ওয়াসিমের ব্যাটে রচিত হলো তেমনই গৌরবময় আরেকটি বিজয়গাঁথা। ২০৬ রান তাড়ায় নাটকীয়তার নানা পথ বেয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা, আমিরাতের স্মরণীয়তম জয় এটিকে বললে খুব বেশি ভুল হয়তো হবে না। ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে এবারও নায়ক ওয়াসিমই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরাতের সফলতম ব্যাটার তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দেশের সফলতম অধিনায়কও। অথচ কয়েক বছর আগেও এই দেশ ছিল তার জন্য ‘বিদেশ’!
১৯৯৪ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁ চান্নু নামক শহরে। গম, তুলা, আম উৎপাদন আর খুশি বারফি নামক মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত শহরে ক্রিকেটের সংস্কৃতি তেমন একটা নেই। ওয়াসিম নিজেই যখন শহরের রাস্তাঘাটে টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন, বয়স ততদিনে ১৬ হয়ে গেছে!