আগেই জানা ছিল, এই মৌসুমটাই ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে শেষ বেলজিয়ামের তারকা ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনের। গতকাল মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটাই ছিল নিজের প্রিয় দলের জার্সিতে খেলা তার শেষ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ খেলতে এসেই অশ্রুসজল চোখে মাঠ ছাড়লেন ডি ব্রুইন। সমর্থকদের ভালোবাসার সামনে নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না মিডফিল্ডের এই তারকা খেলোয়াড়। সিটিতে ডি ব্রুইনের নামে বসবে মূর্তি। বেলজিয়ান তারকার বিদায়ের দিনে চোখে পানি চলে আসে কোচ পেপ গার্দিওলারও। শেষ কবে ফুটবলবিশ্ব এমন দৃশ্য দেখেছে, মনে পড়ছে না অনেকের।
বোর্নেমাউথের বিপক্ষে সিটির ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে ৭০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন ডি ব্রুইন। পরিবারও এসেছিল এদিন তার খেলা দেখতে। প্রায় ১০ বছর ধরে এক ক্লাবকে সেবা দেয়ার পর অবশেষে বিরতি নিলেন ব্রুইন। তবে যে সময়টা মাঠে খেললেন, মনে রাখার মতো ফুটবল উপহার দিয়ে গেলেন মিডফিল্ড মায়েস্ট্রো।
ম্যানচেস্টারই আমার ঘর, আবার এখানে ফিরব। ম্যাচ শেষে যখন জায়ান্ট স্ক্রিনে পেপ গার্দিওলার শেষ ১০ বছরের দুরন্ত ফুটবলের কোল্যাজ চলছিন, তা দেখে অনেকেই আর নিজেদের স্থির রাখতে পারছিলেন না। আর তখন হাতে মাইক নিয়ে ব্রুইন বলেন, ‘ম্যানচেস্টারই আমার ঘর। এখানেই আমার সন্তানরা বড় হয়েছে। আমি এখানে এসেছিলাম অনেকদিন থাকব বলে, তবে সেটা যে ১০ বছর হয়েছে যাবে সেটা কখনও ভাবিনি। আমরা ক্লাব হিসেবে সব জিতেছি, এখন ক্লাবও আরও বড় হয়েছে, এবার বাকিরা ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি এখান থেকে প্রচুর বন্ধু পেয়েছি, তাই আমি নিশ্চয় আবারও ফিরব এখানে’।
বিদায়লগ্নে সমর্থকদের তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার ক্লাব থেকে বিদায়ে যে ৫০ হাজার দর্শক আসবে, এটা আমি ভাবতে পারিনি। এমন বিদায় আমার চিরকাল মনে থাকবে। আমার একটা মূর্তি তৈরি হবে ক্লাবে, এর অর্থ আমি সারাজীবন এই ক্লাবের অঙ্গ হিসেবেই থাকব। আমি যখনই আসব এখানে, দেখতে পাব যে আমি সর্বদাই এখানে রয়েছি সবার কাছে। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে, কখনও হেরেছি, কখনও জিতেছি ’।
এপ্রিল মাসেই নিজের ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন ডি ব্রুইন। ২০১৫ সালে উলফসবার্গ থেকে এই ক্লাবে আসার পর তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৬টি ইপিএল শিরোপা, রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৩।
দুবার জিতেছে পিএফএর প্লেয়ার অফ দ্য অ্যাওয়ার্ড। জানা যাচ্ছে, তিনি হয়ত আর ইউরোপে খেলবেন না। ইপিএল ছেড়ে তিনি এমএলএসে জেতে পারেন বলে একটা জল্পনা শুরু হলেও, কেভিন নাকি নিজে চাইছেন বিশ্বের সেরা লীগেই ফুটবল খেলতে। তাই এখনও নিজের গন্তব্য স্থির করেননি তিনি।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
আগেই জানা ছিল, এই মৌসুমটাই ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে শেষ বেলজিয়ামের তারকা ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনের। গতকাল মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটাই ছিল নিজের প্রিয় দলের জার্সিতে খেলা তার শেষ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ খেলতে এসেই অশ্রুসজল চোখে মাঠ ছাড়লেন ডি ব্রুইন। সমর্থকদের ভালোবাসার সামনে নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না মিডফিল্ডের এই তারকা খেলোয়াড়। সিটিতে ডি ব্রুইনের নামে বসবে মূর্তি। বেলজিয়ান তারকার বিদায়ের দিনে চোখে পানি চলে আসে কোচ পেপ গার্দিওলারও। শেষ কবে ফুটবলবিশ্ব এমন দৃশ্য দেখেছে, মনে পড়ছে না অনেকের।
বোর্নেমাউথের বিপক্ষে সিটির ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে ৭০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন ডি ব্রুইন। পরিবারও এসেছিল এদিন তার খেলা দেখতে। প্রায় ১০ বছর ধরে এক ক্লাবকে সেবা দেয়ার পর অবশেষে বিরতি নিলেন ব্রুইন। তবে যে সময়টা মাঠে খেললেন, মনে রাখার মতো ফুটবল উপহার দিয়ে গেলেন মিডফিল্ড মায়েস্ট্রো।
ম্যানচেস্টারই আমার ঘর, আবার এখানে ফিরব। ম্যাচ শেষে যখন জায়ান্ট স্ক্রিনে পেপ গার্দিওলার শেষ ১০ বছরের দুরন্ত ফুটবলের কোল্যাজ চলছিন, তা দেখে অনেকেই আর নিজেদের স্থির রাখতে পারছিলেন না। আর তখন হাতে মাইক নিয়ে ব্রুইন বলেন, ‘ম্যানচেস্টারই আমার ঘর। এখানেই আমার সন্তানরা বড় হয়েছে। আমি এখানে এসেছিলাম অনেকদিন থাকব বলে, তবে সেটা যে ১০ বছর হয়েছে যাবে সেটা কখনও ভাবিনি। আমরা ক্লাব হিসেবে সব জিতেছি, এখন ক্লাবও আরও বড় হয়েছে, এবার বাকিরা ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি এখান থেকে প্রচুর বন্ধু পেয়েছি, তাই আমি নিশ্চয় আবারও ফিরব এখানে’।
বিদায়লগ্নে সমর্থকদের তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার ক্লাব থেকে বিদায়ে যে ৫০ হাজার দর্শক আসবে, এটা আমি ভাবতে পারিনি। এমন বিদায় আমার চিরকাল মনে থাকবে। আমার একটা মূর্তি তৈরি হবে ক্লাবে, এর অর্থ আমি সারাজীবন এই ক্লাবের অঙ্গ হিসেবেই থাকব। আমি যখনই আসব এখানে, দেখতে পাব যে আমি সর্বদাই এখানে রয়েছি সবার কাছে। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে, কখনও হেরেছি, কখনও জিতেছি ’।
এপ্রিল মাসেই নিজের ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন ডি ব্রুইন। ২০১৫ সালে উলফসবার্গ থেকে এই ক্লাবে আসার পর তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৬টি ইপিএল শিরোপা, রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৩।
দুবার জিতেছে পিএফএর প্লেয়ার অফ দ্য অ্যাওয়ার্ড। জানা যাচ্ছে, তিনি হয়ত আর ইউরোপে খেলবেন না। ইপিএল ছেড়ে তিনি এমএলএসে জেতে পারেন বলে একটা জল্পনা শুরু হলেও, কেভিন নাকি নিজে চাইছেন বিশ্বের সেরা লীগেই ফুটবল খেলতে। তাই এখনও নিজের গন্তব্য স্থির করেননি তিনি।