ভারতের হয়ে টেস্ট খেলতে পারাই শুবমান গিলের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সেখানে অভিজাত সংস্করণে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাওয়া তার নজরে চূড়ান্ত সম্মান। এই দায়িত্বে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলতে চান টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।
টেস্ট থেকে রোহিত শার্মার অবসরের পর এই সংস্করণে ভারতের নতুন অধিনায়ক হওয়ার আলোচনায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে গুরুদায়িত্বটি পান ২৫ বছর বয়সী গিল। আগামী মাসে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন এই অধ্যায় শুরু হবে তার।
ভারতীয় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের নতুন অধ্যায় শুরু হবে আগামী মাসে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ দিয়ে। শনিবার দায়িত্ব পাওয়ার পর বিসিসিআই টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
‘এটা অবশ্যই চূড়ান্ত সম্মান, একই সঙ্গে অনেক বড় পাওয়া। ছোটবেলায় কেউ যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করে, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে এবং টেস্ট ক্রিকেট খেলা সবচেয়ে বড় সম্মান। অধিনায়ক হওয়া একটি বড় দায়িত্ব এবং আমি এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।’
চলতি মাসের শুরুতে রোহিতের পর ভিরাট কোহলিও টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। এর আগে গত ডিসেম্বরে বিদায় বলেন দলের আরেক মহীরুহ রাভিচান্দ্রান অশ্বিন।
‘নতুন’ এই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য দিকেও উদাহরণ হয়ে উঠতে চান গিল।
‘নেতৃত্বের মাধ্যমের উদাহরণ হয়ে ওঠায় আমি বিশ্বাসী-কেবল রান করে নয়, শৃঙ্খলা, প্রস্তুতি ও নিজেকে উপস্থাপন করার মধ্যেও। অধিনায়ক হিসেবে, একজন নেতার জানা উচিৎ কখন নিজেকে জড়াতে হবে, একই সঙ্গে এটাও জানতে হবে, কখন সতীর্থদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, কারণ প্রত্যেকের জীবনের অভিজ্ঞতা আলাদা, সবাই ভিন্নভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব ভিন্ন। তাই একজন ভালো অধিনায়কের তার খেলোয়াড়দের থেকে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স কিংবা সবচেয়ে ভালো ফলাফলটা কীভাবে বের করে আনতে হয়, সেটা সবসময় জানা থাকতে হবে।’
‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে এসব আলোচনা করা সবসময় রোমাঞ্চকর। এতে ক্রিকেটের বাইরেও তাদের সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ হয়, আর তখন কী করলে তাদের সেরাটা বের করে আনা সম্ভব, সেটা সত্যিই জানা যায়।’
‘একটা বিষয় আমি শিখেছি, যখন আমি ব্যাটার, তখন কেবল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। ব্যাটার হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, অধিনায়ক হিসেবে নয়। যদি অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করা শুরু করি, তাহলে এটা আমার ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে যা অপ্রয়োজনীয়।’
২০২০ সালে টেস্টে পা রাখা গিল ভারতের সবশেষ দুই অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও রোহিত শার্মার নেতৃত্বে খেলেছেন। তাদের থেকে অধিনায়কত্বের অনেক দিক শেখার কথা বলেন তিনি।
‘যখন আমি ছোট ছিলাম, সব সময় ভারতীয় ক্রিকেটের গ্রেটরা ও কিংবদন্তিরা আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন। তারা দুইজন খুবই ভিন্ন ছিলেন, তবে দুইজনকেই একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে দেখা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল।’
‘ভিরাট ভাই সবসময় আক্রমণাত্মক ছিলেন, সর্বদা তাড়না ও উৎসাহ নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাইতেন। রোহিত ভাইও আক্রমণাত্মক ছিলেন, তবে তার প্রতিক্রিয়া বা অভিব্যক্তিতে সেটা ফুটে উঠত না, কিন্তু মাঠে সবসময় খুবই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেন।’ হেডিংলিতে আগামী ২০ জুন শুরু হবে ভারত ও ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
ভারতের হয়ে টেস্ট খেলতে পারাই শুবমান গিলের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সেখানে অভিজাত সংস্করণে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাওয়া তার নজরে চূড়ান্ত সম্মান। এই দায়িত্বে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলতে চান টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।
টেস্ট থেকে রোহিত শার্মার অবসরের পর এই সংস্করণে ভারতের নতুন অধিনায়ক হওয়ার আলোচনায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে গুরুদায়িত্বটি পান ২৫ বছর বয়সী গিল। আগামী মাসে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন এই অধ্যায় শুরু হবে তার।
ভারতীয় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের নতুন অধ্যায় শুরু হবে আগামী মাসে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ দিয়ে। শনিবার দায়িত্ব পাওয়ার পর বিসিসিআই টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
‘এটা অবশ্যই চূড়ান্ত সম্মান, একই সঙ্গে অনেক বড় পাওয়া। ছোটবেলায় কেউ যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করে, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে এবং টেস্ট ক্রিকেট খেলা সবচেয়ে বড় সম্মান। অধিনায়ক হওয়া একটি বড় দায়িত্ব এবং আমি এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।’
চলতি মাসের শুরুতে রোহিতের পর ভিরাট কোহলিও টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। এর আগে গত ডিসেম্বরে বিদায় বলেন দলের আরেক মহীরুহ রাভিচান্দ্রান অশ্বিন।
‘নতুন’ এই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য দিকেও উদাহরণ হয়ে উঠতে চান গিল।
‘নেতৃত্বের মাধ্যমের উদাহরণ হয়ে ওঠায় আমি বিশ্বাসী-কেবল রান করে নয়, শৃঙ্খলা, প্রস্তুতি ও নিজেকে উপস্থাপন করার মধ্যেও। অধিনায়ক হিসেবে, একজন নেতার জানা উচিৎ কখন নিজেকে জড়াতে হবে, একই সঙ্গে এটাও জানতে হবে, কখন সতীর্থদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, কারণ প্রত্যেকের জীবনের অভিজ্ঞতা আলাদা, সবাই ভিন্নভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব ভিন্ন। তাই একজন ভালো অধিনায়কের তার খেলোয়াড়দের থেকে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স কিংবা সবচেয়ে ভালো ফলাফলটা কীভাবে বের করে আনতে হয়, সেটা সবসময় জানা থাকতে হবে।’
‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে এসব আলোচনা করা সবসময় রোমাঞ্চকর। এতে ক্রিকেটের বাইরেও তাদের সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ হয়, আর তখন কী করলে তাদের সেরাটা বের করে আনা সম্ভব, সেটা সত্যিই জানা যায়।’
‘একটা বিষয় আমি শিখেছি, যখন আমি ব্যাটার, তখন কেবল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। ব্যাটার হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, অধিনায়ক হিসেবে নয়। যদি অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করা শুরু করি, তাহলে এটা আমার ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে যা অপ্রয়োজনীয়।’
২০২০ সালে টেস্টে পা রাখা গিল ভারতের সবশেষ দুই অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও রোহিত শার্মার নেতৃত্বে খেলেছেন। তাদের থেকে অধিনায়কত্বের অনেক দিক শেখার কথা বলেন তিনি।
‘যখন আমি ছোট ছিলাম, সব সময় ভারতীয় ক্রিকেটের গ্রেটরা ও কিংবদন্তিরা আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন। তারা দুইজন খুবই ভিন্ন ছিলেন, তবে দুইজনকেই একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে দেখা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল।’
‘ভিরাট ভাই সবসময় আক্রমণাত্মক ছিলেন, সর্বদা তাড়না ও উৎসাহ নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাইতেন। রোহিত ভাইও আক্রমণাত্মক ছিলেন, তবে তার প্রতিক্রিয়া বা অভিব্যক্তিতে সেটা ফুটে উঠত না, কিন্তু মাঠে সবসময় খুবই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেন।’ হেডিংলিতে আগামী ২০ জুন শুরু হবে ভারত ও ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট।