আইপিএলে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সফলতম এখন মোস্তাফিজ। দিল্লির হয়ে গতকাল শনিবার পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে সাকিবকে পেরিয়ে যান মোস্তাফিজ। বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে মোস্তাফিজের উইকেট এখন ৬৫টি। সাকিবের আইপিএল অধ্যায় থমকে আছে ৬৩ উইকেট নিয়ে।
৬০ ইনিংসে বোলিং করে এই ৬৫ উইকেট মোস্তাফিজের। সাকিবকে ছাড়িয়ে যেতে ১০ ইনিংস কম লেগেছে তার।
২০১১ থেকে শুরু করে আইপিএল ৯টি মৌসুম খেলেছেন সাকিব। স্রেফ দুটি দলেই অবশ্য পা পড়েছে তার। কলকাতা দলের হয়ে ছয় মৌসুম খেলার পর দুটি মৌসুম তিনি খেলেন হায়দরাবাদে। পরে আবার ফেরেন কলকাতায়।
বল হাতে আইপিএলে তার সফলতম মৌসুম ছিল হায়দরাবাদের হয়ে। ২০১৮ আসরে ১৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া ২০১২ আসরে কলকাতার শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন তিনি ১২ উইকেট নিয়ে। ২০১১ ও ২০১৩ আসরে তার শিকার ছিল ১১টি করে উইকেট।
২০২১ আসরের ফাইনালে চেন্নাই দলের কাছে কলকাতার পরাজয়ের ম্যাচটিই আইপিএলে এখন পর্যন্ত সাকিবের শেষ ম্যাচ। বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৮। পারফরম্যান্সের ধারও কমে গেছে ব্যাটে-বলে। আইপিএলে আবার তাকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কমই।
সাকিবের আইপিএল অংশগ্রহণ থমকে যাওয়ার সময় মোস্তাফিজের উইকেট ছিল ৩৮টি। পরের চার মৌসুমে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিজ দেশের কিংবদন্তিকে। এর মধ্যে অবশ্য ২০২৩ মৌসুমে স্রেফ দুটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন তিনি, এবার তিনটি।
আইপিএলে মোস্তাফিজের শুরুটা এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের পথচলায় চমকপ্রদ এক গল্প। প্রথম আসরে ২০১৬ সালে ওভারপ্রতি সাতের কম রান দিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে। ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরস্কারও পান। এই স্বীকৃতি পাওয়া প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার তিনিই।
বাংলাদেশের হয়ে শুরুর সেই মোস্তাফিজকে যেমন আর পাওয়া যায়নি কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর, তেমনি আইপিএলেও শুরুর সেই আসরকে আর ছাড়িয়ে যেতে পারেননি মোস্তাফিজ।
পরে আরও দুটি মৌসুম অবশ্য বেশ ভালো কেটেছে তার। ২০২১ আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ উইকেট শিকার করেন ১৪ ম্যাচে, গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১৪ উইকেট নেন ৯ ম্যাচে।
এখনও পর্যন্ত ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি আইপিএলে। এবার তিনি নিলামে দল পাননি, খেলার কথাও ছিল না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রভাবে আসর স্থগিত হওয়ার পর যখন আবার শুরু হয়, বদলি হিসেবে সুযোগ মেলে তার। এই সুযোগেই তিন ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিবকে।
দিল্লি দল বাদ পড়ে গেছে প্লে অফের আগে। মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল অভিযান শেষ। এখন তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যোগ দেবেন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য, যেটি শুরু আগামী বুধবার।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
আইপিএলে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সফলতম এখন মোস্তাফিজ। দিল্লির হয়ে গতকাল শনিবার পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে সাকিবকে পেরিয়ে যান মোস্তাফিজ। বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে মোস্তাফিজের উইকেট এখন ৬৫টি। সাকিবের আইপিএল অধ্যায় থমকে আছে ৬৩ উইকেট নিয়ে।
৬০ ইনিংসে বোলিং করে এই ৬৫ উইকেট মোস্তাফিজের। সাকিবকে ছাড়িয়ে যেতে ১০ ইনিংস কম লেগেছে তার।
২০১১ থেকে শুরু করে আইপিএল ৯টি মৌসুম খেলেছেন সাকিব। স্রেফ দুটি দলেই অবশ্য পা পড়েছে তার। কলকাতা দলের হয়ে ছয় মৌসুম খেলার পর দুটি মৌসুম তিনি খেলেন হায়দরাবাদে। পরে আবার ফেরেন কলকাতায়।
বল হাতে আইপিএলে তার সফলতম মৌসুম ছিল হায়দরাবাদের হয়ে। ২০১৮ আসরে ১৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া ২০১২ আসরে কলকাতার শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন তিনি ১২ উইকেট নিয়ে। ২০১১ ও ২০১৩ আসরে তার শিকার ছিল ১১টি করে উইকেট।
২০২১ আসরের ফাইনালে চেন্নাই দলের কাছে কলকাতার পরাজয়ের ম্যাচটিই আইপিএলে এখন পর্যন্ত সাকিবের শেষ ম্যাচ। বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৮। পারফরম্যান্সের ধারও কমে গেছে ব্যাটে-বলে। আইপিএলে আবার তাকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কমই।
সাকিবের আইপিএল অংশগ্রহণ থমকে যাওয়ার সময় মোস্তাফিজের উইকেট ছিল ৩৮টি। পরের চার মৌসুমে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিজ দেশের কিংবদন্তিকে। এর মধ্যে অবশ্য ২০২৩ মৌসুমে স্রেফ দুটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন তিনি, এবার তিনটি।
আইপিএলে মোস্তাফিজের শুরুটা এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের পথচলায় চমকপ্রদ এক গল্প। প্রথম আসরে ২০১৬ সালে ওভারপ্রতি সাতের কম রান দিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে। ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরস্কারও পান। এই স্বীকৃতি পাওয়া প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার তিনিই।
বাংলাদেশের হয়ে শুরুর সেই মোস্তাফিজকে যেমন আর পাওয়া যায়নি কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর, তেমনি আইপিএলেও শুরুর সেই আসরকে আর ছাড়িয়ে যেতে পারেননি মোস্তাফিজ।
পরে আরও দুটি মৌসুম অবশ্য বেশ ভালো কেটেছে তার। ২০২১ আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ উইকেট শিকার করেন ১৪ ম্যাচে, গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১৪ উইকেট নেন ৯ ম্যাচে।
এখনও পর্যন্ত ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি আইপিএলে। এবার তিনি নিলামে দল পাননি, খেলার কথাও ছিল না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রভাবে আসর স্থগিত হওয়ার পর যখন আবার শুরু হয়, বদলি হিসেবে সুযোগ মেলে তার। এই সুযোগেই তিন ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিবকে।
দিল্লি দল বাদ পড়ে গেছে প্লে অফের আগে। মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল অভিযান শেষ। এখন তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যোগ দেবেন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য, যেটি শুরু আগামী বুধবার।