গল টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে শক্ত অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্কার দুর্দান্ত ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান।
২৫৬ বলে ২৩টি চার ও একটি ছক্কায় ১৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা। এটি তার সপ্তদশ টেস্টে তৃতীয় শতক; আগের সর্বোচ্চ ছিল ১২৭ রান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ দল যোগ করতে পারে মাত্র ১১ রান। শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে আসিথা ফার্নান্দো পান তার চতুর্থ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই ছিল সাবলীল। উদ্বোধনী জুটি ৪৭ রানে থামে লাহিরু উদারার বিদায়ে। অভিষেকে নেমে ৬টি চারে ২৯ রান করে ফিরে যান তিনি, তাইজুল ইসলামের বাঁকা বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে যায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৭ রানের বড় জুটি গড়েন নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল। ৫৪ রান করা চান্ডিমালকে ফেরান নাঈম হাসান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার পঞ্চম ফিফটি, সেঞ্চুরিও সমান ৫টি।
৮৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা নিসাঙ্কা পরবর্তী পঞ্চাশ করেন মাত্র ৪৮ বলে।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়ে মাঠে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এরপর নিসাঙ্কার সঙ্গী হন এবং আরও একটি জুটি গড়ে তোলেন। তবে মুমিনুল হকের ঘূর্ণিতে ৩৯ রানে থামেন ম্যাথিউস। এই জুটির সংগ্রহ ছিল ৮৯ রান।
২০১ বলে দেড়শ স্পর্শ করে নিসাঙ্কা অগ্রসর হচ্ছিলেন দ্বিশতকের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে তার ইনিংস থেমে যায়। ৮০ ওভার শেষে পাঁচ ওভার পর নতুন বল নেওয়ার পর হাসান মাহমুদের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন নিসাঙ্কা।
দিনের বাকি সময়টুকুতে ধীরে-স্থিরে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৪৫ বলে ৩৭ রান।
স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৩ ওভারে ৩৬৮/৪
(নিসাঙ্কা ১৮৭, উদারা ২৯, চান্ডিমাল ৫৪, ম্যাথিউস ৩৯, কামিন্দু ৩৭*, ধানাঞ্জয়া ১৭*; হাসান ১২-২-৪৯-১, নাহিদ ১৬-০-৮০-০, তাইজুল ৩৪-৩-১২৬-১, নাঈম ২৫-০-৮৬-১, মুমিনুল ৬-০-২৪-১)।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
গল টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে শক্ত অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্কার দুর্দান্ত ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান।
২৫৬ বলে ২৩টি চার ও একটি ছক্কায় ১৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা। এটি তার সপ্তদশ টেস্টে তৃতীয় শতক; আগের সর্বোচ্চ ছিল ১২৭ রান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ দল যোগ করতে পারে মাত্র ১১ রান। শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে আসিথা ফার্নান্দো পান তার চতুর্থ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই ছিল সাবলীল। উদ্বোধনী জুটি ৪৭ রানে থামে লাহিরু উদারার বিদায়ে। অভিষেকে নেমে ৬টি চারে ২৯ রান করে ফিরে যান তিনি, তাইজুল ইসলামের বাঁকা বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে যায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৭ রানের বড় জুটি গড়েন নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল। ৫৪ রান করা চান্ডিমালকে ফেরান নাঈম হাসান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার পঞ্চম ফিফটি, সেঞ্চুরিও সমান ৫টি।
৮৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা নিসাঙ্কা পরবর্তী পঞ্চাশ করেন মাত্র ৪৮ বলে।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়ে মাঠে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এরপর নিসাঙ্কার সঙ্গী হন এবং আরও একটি জুটি গড়ে তোলেন। তবে মুমিনুল হকের ঘূর্ণিতে ৩৯ রানে থামেন ম্যাথিউস। এই জুটির সংগ্রহ ছিল ৮৯ রান।
২০১ বলে দেড়শ স্পর্শ করে নিসাঙ্কা অগ্রসর হচ্ছিলেন দ্বিশতকের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে তার ইনিংস থেমে যায়। ৮০ ওভার শেষে পাঁচ ওভার পর নতুন বল নেওয়ার পর হাসান মাহমুদের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন নিসাঙ্কা।
দিনের বাকি সময়টুকুতে ধীরে-স্থিরে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৪৫ বলে ৩৭ রান।
স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৩ ওভারে ৩৬৮/৪
(নিসাঙ্কা ১৮৭, উদারা ২৯, চান্ডিমাল ৫৪, ম্যাথিউস ৩৯, কামিন্দু ৩৭*, ধানাঞ্জয়া ১৭*; হাসান ১২-২-৪৯-১, নাহিদ ১৬-০-৮০-০, তাইজুল ৩৪-৩-১২৬-১, নাঈম ২৫-০-৮৬-১, মুমিনুল ৬-০-২৪-১)।