নাওয়াজ ও তালাত ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রান তুলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন। দুজনেই অপরাজিত থাকেন
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-২০ সিরিজে জয় পাওয়া পাকিস্তান দল ওডিআই সিরিজও শুরু করেছে জয় দিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে হাসান নওয়াজের, দীর্ঘ ৬ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন হুসাইন তালাত। দুই ব্যাটারই থেকেছেন অপরাজিত। তাদের ১০৪ রানের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করেছে পাকিস্তান। অভিষেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন হাসান। সবমিলিয়ে চার ব্যাটারের চল্লিশ পেরোনো ইনিংসে ভর করে ক্যারিবীয়দের ২৮০ রান তাড়ায় পাকিস্তান ৭ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে শনিবার,(০৯ আগস্ট ২০২৫) (বাংলাদেশ সময় রাতে) প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন এভিন লুইস। শাই হোপ (৫৫) ও রোস্টন চেজ (৫৩) হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরপরই আউট হয়েছেন। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি উইন্ডিজের। দলীয় এবং ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানেই তারা ওপেনার ব্রেন্ডন কিংকে হারায়। সেই ধাক্কা সামলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লুইস ও কেসি কার্টি। ৩৯ বলে ৩০ রান করা কার্টি ফিরলে সেই জুটি ভাঙে। এরপর থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। যা নিয়ে স্বাগতিকরা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভুগেছে। লুইস ৬২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০, শাই হোপ ৭৭ বলে চারটি বাউন্ডারির মারে ৫৫ এবং রোস্টন চেজ ৫৪ বলে হোপের সমান চারের মার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন।
শেষদিকে ক্যারিবীয়নিদের পুঁজিটা বেড়েছে মূলত রোস্টন চেজ ও গোদাকেশ মোটির কল্যাণে। ২১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হোপের দলটি বড় পুঁজি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিল। যদিও চেজ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই নাসিম শাহ’র স্লোয়ার ডেলিভারিতে হালকা চালে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন মোটি। যা উইন্ডিজদের পুঁজি ২৮০-তে নিয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ৪টি এবং নাসিম শাহ শিকার করেন ৩টি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফরকারীদের পক্ষে রান পাননি কেবল ওপেনার সাইম আইয়ুব (৫)। দলীয় ১৬ রানে তার বিদায় পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেয়। অন্য ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন ২৯ রান। এই ম্যাচ দিয়ে ৪ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। মাঝে একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও, দুই অভিজ্ঞ তারকাকে ছাড়াই স্কোয়াড গড়েছিল পাকিস্তান। দলে ফিরে বাবর ৬৪ বলে ৫ বাউন্ডারি এক ছক্কায় ৪৭, রিজওয়ান ৬৯ বলে ৪টি চারের মারে ৫৩ রান করেছেন।
সাবেক ও বর্তমান দুই অধিনায়কের পর সালমান আগা ফেরেন মাত্র ২৩ রান করে। ফলে ১৮০ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাকি সময়টা তাদের এগিয়ে নিয়ে যান হাসান নওয়াজ ও হুসাইন তালাত। দুজনের অপরাজেয় ১০৪ রানের পার্টনারশিপে পাকিস্তান পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। হাসান ৫৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ এবং তালাত ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪০ রানে থাকেন অপরাজিত। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে দুটো উইকেটের পতন ঘটান শামার জোসেফ।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৯ ওভারে ২৮০ (লুইস ৬০, কার্টি ৩০, হোপ ৫৫, চেইস ৫৩, মোটি ৩১* ; আফ্রিদি ৪/৫১, নাসিম ৩/৫৫)। পাকিস্তান ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪/৫ (শাফিক ২৯, বাবর ৪৭, রিজওয়ান ৫৩, সালমান ২৩, হাসান নাওয়াজ ৬৩*, তালাত ৩৭*; শামার ২/৬৫)। ম্যাচসেরা : হাসান নাওয়াজ।
নাওয়াজ ও তালাত ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রান তুলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন। দুজনেই অপরাজিত থাকেন
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-২০ সিরিজে জয় পাওয়া পাকিস্তান দল ওডিআই সিরিজও শুরু করেছে জয় দিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে হাসান নওয়াজের, দীর্ঘ ৬ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন হুসাইন তালাত। দুই ব্যাটারই থেকেছেন অপরাজিত। তাদের ১০৪ রানের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করেছে পাকিস্তান। অভিষেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন হাসান। সবমিলিয়ে চার ব্যাটারের চল্লিশ পেরোনো ইনিংসে ভর করে ক্যারিবীয়দের ২৮০ রান তাড়ায় পাকিস্তান ৭ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে শনিবার,(০৯ আগস্ট ২০২৫) (বাংলাদেশ সময় রাতে) প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন এভিন লুইস। শাই হোপ (৫৫) ও রোস্টন চেজ (৫৩) হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরপরই আউট হয়েছেন। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি উইন্ডিজের। দলীয় এবং ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানেই তারা ওপেনার ব্রেন্ডন কিংকে হারায়। সেই ধাক্কা সামলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লুইস ও কেসি কার্টি। ৩৯ বলে ৩০ রান করা কার্টি ফিরলে সেই জুটি ভাঙে। এরপর থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। যা নিয়ে স্বাগতিকরা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভুগেছে। লুইস ৬২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০, শাই হোপ ৭৭ বলে চারটি বাউন্ডারির মারে ৫৫ এবং রোস্টন চেজ ৫৪ বলে হোপের সমান চারের মার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন।
শেষদিকে ক্যারিবীয়নিদের পুঁজিটা বেড়েছে মূলত রোস্টন চেজ ও গোদাকেশ মোটির কল্যাণে। ২১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হোপের দলটি বড় পুঁজি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিল। যদিও চেজ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই নাসিম শাহ’র স্লোয়ার ডেলিভারিতে হালকা চালে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন মোটি। যা উইন্ডিজদের পুঁজি ২৮০-তে নিয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ৪টি এবং নাসিম শাহ শিকার করেন ৩টি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফরকারীদের পক্ষে রান পাননি কেবল ওপেনার সাইম আইয়ুব (৫)। দলীয় ১৬ রানে তার বিদায় পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেয়। অন্য ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন ২৯ রান। এই ম্যাচ দিয়ে ৪ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। মাঝে একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও, দুই অভিজ্ঞ তারকাকে ছাড়াই স্কোয়াড গড়েছিল পাকিস্তান। দলে ফিরে বাবর ৬৪ বলে ৫ বাউন্ডারি এক ছক্কায় ৪৭, রিজওয়ান ৬৯ বলে ৪টি চারের মারে ৫৩ রান করেছেন।
সাবেক ও বর্তমান দুই অধিনায়কের পর সালমান আগা ফেরেন মাত্র ২৩ রান করে। ফলে ১৮০ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাকি সময়টা তাদের এগিয়ে নিয়ে যান হাসান নওয়াজ ও হুসাইন তালাত। দুজনের অপরাজেয় ১০৪ রানের পার্টনারশিপে পাকিস্তান পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। হাসান ৫৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ এবং তালাত ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪০ রানে থাকেন অপরাজিত। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে দুটো উইকেটের পতন ঘটান শামার জোসেফ।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৯ ওভারে ২৮০ (লুইস ৬০, কার্টি ৩০, হোপ ৫৫, চেইস ৫৩, মোটি ৩১* ; আফ্রিদি ৪/৫১, নাসিম ৩/৫৫)। পাকিস্তান ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪/৫ (শাফিক ২৯, বাবর ৪৭, রিজওয়ান ৫৩, সালমান ২৩, হাসান নাওয়াজ ৬৩*, তালাত ৩৭*; শামার ২/৬৫)। ম্যাচসেরা : হাসান নাওয়াজ।