শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর গত আসর ছিল নানা আলোচনা ও বিতর্কে ভরপুর। বিশেষ করে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এখনও বকেয়া রয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে চলে আসা অনিয়মের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই অংশ হিসেবে পূর্বের কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও স্পন্সরের বিরূদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে বিসিবি ।
মাঠের ক্রিকেটের বাইরে আর্থিক দিক বিবেচনায়ও বেশ নড়বড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যার কারণে বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এখনও বড় অঙ্কের অর্থ বকেয়া আছে বিসিবি’র। দীর্ঘ সময় বকেয়া না পেয়েই আইনি প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বোর্ড মিটিং শেষে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের একটা রিভিউ এবং আলোচনা হয়েছে আপডেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ডিফল্টারস অব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মানে আমাদের যে লাস্ট কয়েকটি বিপিএল হয়েছে, সেখানে আমাদের একটা লিস্ট হয়েছে। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম বা স্পন্সর, এরা ক্রিকেট বোর্ডকে যেভাবে স্পন্সর করেছে ও পেমেন্ট বাকি আছে সেসবের তালিকা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের যে টাকাটা দেয়ার কথা ছিল দেয়নি সেসবের একটা ডিফল্ট তালিকা করা হচ্ছে।
আইনি প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়ে মিঠু আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। দ্বিতীয় হচ্ছে আমরা আগে থেকেই কিছু টিমের সঙ্গে আমাদের আরবিট্রেশন প্রসিডিউর ছিল, যে ক্লজ ভায়োলেশন (চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ) হয়েছে তা নিয়ে। সেটাকে আমরা কন্টিনিউ করব এবং এটাকে আরও এক্সপেডাইট (দ্রুত) করা হবে।
ফুটবলার ঋতুপর্ণার জন্য
বিসিবির উপহার বাড়ি
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় নারী ফুটবলর ঋতুপর্ণা চাকমাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখার রহমান জানান, এর মধ্যেই প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঋতুপর্ণাদের গ্রামের বাড়িটির নকশা ও প্রয়োজনীয় অন্য কিছু চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে তার পরিবার। বোর্ড সভায় সেটির অনুমোদন দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত মাসে উইমেন’স এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। দলের সেই সাফল্য যাত্রায় অসাধারণ পারফর্ম করেন ঋতুপর্ণা।
বাংলাদেশের এই সোনার মেয়ের বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে। অনেক দিন ধরেই জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস তাদের। পরিবারের মূল চালিকাশক্তি ঋতুপর্ণাই, অনেক দিন ধরেই তার আয়ে চলছে সংসার। বাবা ও একমাত্র ভাইকে হারানোর পর সংসারের দায়িত্বও তারই। ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হয় তাকেই।
আগেও সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে মোটা অঙ্কের পুরস্কার প্রদানসহ নানা সময়ে নানাভাবে ক্রীড়াঙ্গনের অন্য ফেডারেশন ও খেলোয়াড়দের পাশে থেকেছে বিসিবি।
জাতীয় লীগে ময়মনসিংহ,
থাকছে না ঢাকা মেট্রো
সামনের জাতীয় ক্রিকেট লীগেই খেলবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রিকেট দল। বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর শেষ পর্যন্ত জাতীয় লীগে দেখা যাবে এই বিভাগের প্রতিনিধি।
এতদিন ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লীগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো।
ঢাকা মেট্রো দল বাদ করে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
‘২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই টুর্নামেন্টের মান ধরে রাখার ব্যাপারটিও তুলে ধরেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল। ‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।’শেরেবাংলায় এখন থেকে স্পোর্টিং উইকেট থাকবে
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশগজ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অতি মন্থর ও টার্নিং উইকেটে ব্যাটারদের জন্য এখানে যেন বরাবরই থাকে মরণ-ফাঁদ। এই মাঠে খেলা হলেই তাই দেখা যায় লো স্কোরিং সব লড়াই। এখানে খেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভুগেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন থেকে মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চায়, সেই নিশ্চয়তা দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
গত বছর জুলাইতে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া টনি হেমিংকে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। হেমিংকে ‘হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট’ দায়িত্ব দিচ্ছে বিসিবি। যার অধীনে দেশের সব কিউরেটর কাজ করবেন।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি, মিরপুরের উইকেট আমাদের জন্য একটি সমস্যা। এটা আমাদের সভাপতিসহ সবাই মনে করেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন জানান, মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটেরচক্র থেকে তারা বের হয়ে আসবেন। ‘সত্যি বলতে, পাকিস্তানের সঙ্গে যখন এবার খেলা হয়েছিল, আমাদের প্রধান কোচ খুবই হতাশ হয়েছিলেন উইকেট দেখে।
‘ওই জায়গাটায় আমরা আপোস করতে চাই না। আমরা ভালো উইকেটে খেলব, তাতে যদি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তাতেও সমস্যা নয়।’
‘টনি হেমিংয়ের সম্পর্কে অনেকের কাছ থেকেই ভালো কথা শুনেছি। পাকিস্তানে যে উইকেট হেমিং বানিয়েছিল, ওখানে ওদের পিএসএল হয়েছে, আরও টুর্নামেন্ট হয়েছে, তারপরও শেষের দিকে যে কন্ডিশন দেখেছি, তাতে অবাক হয়েছি যে এত ভালো। আমরা আমাদের এখানে বলি যে, এত বেশি ক্রিকেট হয় এখানে, তাই উইকেট ভালো হয় না। অথচ পাকিস্তানে উইকেট এত সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন।
এসব বাস্তবে দেখে মুগ্ধতার ব্যাপার ছিল। টনি হেমিং আসলেই দারুণ কিউরেটর।’
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর গত আসর ছিল নানা আলোচনা ও বিতর্কে ভরপুর। বিশেষ করে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এখনও বকেয়া রয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে চলে আসা অনিয়মের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই অংশ হিসেবে পূর্বের কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও স্পন্সরের বিরূদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে বিসিবি ।
মাঠের ক্রিকেটের বাইরে আর্থিক দিক বিবেচনায়ও বেশ নড়বড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যার কারণে বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এখনও বড় অঙ্কের অর্থ বকেয়া আছে বিসিবি’র। দীর্ঘ সময় বকেয়া না পেয়েই আইনি প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বোর্ড মিটিং শেষে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের একটা রিভিউ এবং আলোচনা হয়েছে আপডেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ডিফল্টারস অব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মানে আমাদের যে লাস্ট কয়েকটি বিপিএল হয়েছে, সেখানে আমাদের একটা লিস্ট হয়েছে। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম বা স্পন্সর, এরা ক্রিকেট বোর্ডকে যেভাবে স্পন্সর করেছে ও পেমেন্ট বাকি আছে সেসবের তালিকা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের যে টাকাটা দেয়ার কথা ছিল দেয়নি সেসবের একটা ডিফল্ট তালিকা করা হচ্ছে।
আইনি প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়ে মিঠু আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। দ্বিতীয় হচ্ছে আমরা আগে থেকেই কিছু টিমের সঙ্গে আমাদের আরবিট্রেশন প্রসিডিউর ছিল, যে ক্লজ ভায়োলেশন (চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ) হয়েছে তা নিয়ে। সেটাকে আমরা কন্টিনিউ করব এবং এটাকে আরও এক্সপেডাইট (দ্রুত) করা হবে।
ফুটবলার ঋতুপর্ণার জন্য
বিসিবির উপহার বাড়ি
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় নারী ফুটবলর ঋতুপর্ণা চাকমাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখার রহমান জানান, এর মধ্যেই প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঋতুপর্ণাদের গ্রামের বাড়িটির নকশা ও প্রয়োজনীয় অন্য কিছু চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে তার পরিবার। বোর্ড সভায় সেটির অনুমোদন দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত মাসে উইমেন’স এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। দলের সেই সাফল্য যাত্রায় অসাধারণ পারফর্ম করেন ঋতুপর্ণা।
বাংলাদেশের এই সোনার মেয়ের বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে। অনেক দিন ধরেই জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস তাদের। পরিবারের মূল চালিকাশক্তি ঋতুপর্ণাই, অনেক দিন ধরেই তার আয়ে চলছে সংসার। বাবা ও একমাত্র ভাইকে হারানোর পর সংসারের দায়িত্বও তারই। ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হয় তাকেই।
আগেও সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে মোটা অঙ্কের পুরস্কার প্রদানসহ নানা সময়ে নানাভাবে ক্রীড়াঙ্গনের অন্য ফেডারেশন ও খেলোয়াড়দের পাশে থেকেছে বিসিবি।
জাতীয় লীগে ময়মনসিংহ,
থাকছে না ঢাকা মেট্রো
সামনের জাতীয় ক্রিকেট লীগেই খেলবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রিকেট দল। বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর শেষ পর্যন্ত জাতীয় লীগে দেখা যাবে এই বিভাগের প্রতিনিধি।
এতদিন ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লীগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো।
ঢাকা মেট্রো দল বাদ করে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
‘২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই টুর্নামেন্টের মান ধরে রাখার ব্যাপারটিও তুলে ধরেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল। ‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।’শেরেবাংলায় এখন থেকে স্পোর্টিং উইকেট থাকবে
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশগজ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অতি মন্থর ও টার্নিং উইকেটে ব্যাটারদের জন্য এখানে যেন বরাবরই থাকে মরণ-ফাঁদ। এই মাঠে খেলা হলেই তাই দেখা যায় লো স্কোরিং সব লড়াই। এখানে খেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভুগেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন থেকে মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চায়, সেই নিশ্চয়তা দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
গত বছর জুলাইতে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া টনি হেমিংকে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। হেমিংকে ‘হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট’ দায়িত্ব দিচ্ছে বিসিবি। যার অধীনে দেশের সব কিউরেটর কাজ করবেন।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি, মিরপুরের উইকেট আমাদের জন্য একটি সমস্যা। এটা আমাদের সভাপতিসহ সবাই মনে করেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন জানান, মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটেরচক্র থেকে তারা বের হয়ে আসবেন। ‘সত্যি বলতে, পাকিস্তানের সঙ্গে যখন এবার খেলা হয়েছিল, আমাদের প্রধান কোচ খুবই হতাশ হয়েছিলেন উইকেট দেখে।
‘ওই জায়গাটায় আমরা আপোস করতে চাই না। আমরা ভালো উইকেটে খেলব, তাতে যদি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তাতেও সমস্যা নয়।’
‘টনি হেমিংয়ের সম্পর্কে অনেকের কাছ থেকেই ভালো কথা শুনেছি। পাকিস্তানে যে উইকেট হেমিং বানিয়েছিল, ওখানে ওদের পিএসএল হয়েছে, আরও টুর্নামেন্ট হয়েছে, তারপরও শেষের দিকে যে কন্ডিশন দেখেছি, তাতে অবাক হয়েছি যে এত ভালো। আমরা আমাদের এখানে বলি যে, এত বেশি ক্রিকেট হয় এখানে, তাই উইকেট ভালো হয় না। অথচ পাকিস্তানে উইকেট এত সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন।
এসব বাস্তবে দেখে মুগ্ধতার ব্যাপার ছিল। টনি হেমিং আসলেই দারুণ কিউরেটর।’