অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের সাফল্য
শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও শেষ পর্যন্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার টিকেট মিলেছে বাংলাদেশের মেয়েদের। তাতেই খুশি নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। লাওস থেকে সোমবার,(১১ আগস্ট ২০২৫) ইংলিশ কোচ জানান, সামনের দিনের লক্ষ্য।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্যে তৃপ্তির উপলক্ষ্য এনে দিলেও বাটলারের মূল ভাবনা সিনিয়র টিম নিয়ে। এশিয়া কাপের বাছাইয়ে দারুণ করার সুবাদে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এক লাফে ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১০৪তম স্থানে। বাটলারের চাওয়া ১০০-এর মধ্যে আসা।
‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেটা অর্জন করেছি। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দিকে ফিরে তাকালে, আমার মনে হয়, এটি গত বছর চাইনিজ তাইপে থেকে শুরু হয়েছিল। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের উত্থান আসলেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কারণ একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং আরও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের আছে এবং মেয়েরা অত্যন্ত ভালো করেছে।’
‘আমাদের মেয়েরা যা অর্জন করেছে, স্বীকৃতি, প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, (র্যাঙ্কিং) এটি খুব দ্রুত নেমে আসতে পারে, খুব দ্রুত ওপরেও যেতে পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং আবারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ের সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে যাতে ফিফা র্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং এটিকে ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনা যায়।’
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপের বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারে মেয়েরা। এই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পরও বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে, বাংলাদেশ কোচ স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, তার ছকে আসবে না কোনো বদল।
‘কারও জ্বর হয়েছিল, চোট ছিল এবং আমাদের সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তারা যেভাবে খেলে সেটার প্রশংসা আমি করি। আমার মনে হয়, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা করেছি, কেকের ওপরের পনীরটুকু খেতে পারিনি, তবে গতকাল রোববার বিশ্বের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে খেলেছি।’
‘(এগিয়ে যাওয়ার পর) আমরা রক্ষণাত্মক হতে পারতাম, নিচে নেমে খেলতে পারতাম, জীবন দিয়ে গোলটি আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতাম, কিন্তু আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমি এভাবে কাজ করি না। তবে হ্যাঁ, সামগ্রিকভাবে মেয়েদের জন্য আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।’
‘সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে
নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প হবে’
ইতিহাস গড়ে ঋতুপর্ণারা এএফসি এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে। এরপর বয়সভিত্তিক আসরেও সাফল্য এসেছে। অনূর্ধ্ব-২০ আসরেও গ্রুপ সেরা হয়ে সাগরিকারা থাইল্যান্ডের মূল আসরে জায়গা করে নিয়েছেন। সোমবার বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমকে নারী ফুটবলের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ মেয়েদের উন্নতি নিয়ে বলেন, ‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয়, আমাদের পাইপলাইন অনেক স্ট্রং। যে কারণে যে বছর সিনিয়র টিম কোয়ালিফাই করলো, একই বছর বয়সভিত্তিক টিমও কোয়ালিফাই করলো। এতে বুঝতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’
এশিয়া কাপের জন্য মেয়েদের জাপানে অনুশীলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিরণ, ‘আমরা ১৩ তারিখ বাফুফে প্রধানের সঙ্গে বসবো। দুটো দলের জন্য প্র?্যাকটিস ম্যাচ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এফোর্ট দিতে হবে। জাপান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আজই আমি আবার মেইল করেছি। আমরা সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প করতে চাচ্ছি।’
খেলোয়াড়দের খাবার নিয়ে নানান সময়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়। মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন। এ নিয়ে কিরণ সরাসরি বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হবো না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। অনেকেই বলেন যে আমরা এখানে পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই। আমরা একদিনও পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই না। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেয়া হয়।
কেন মিথ্যা নিউজ করা হয়। মেয়েরা যদি ঠিকমতো খেতেই না পারে তাহলে তো শক্তি থাকবে না। ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাস মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারবো না।’
লাওসের হোটেলে নাকি মেয়েরা ঠিকমতো খেতে পারছে না। এমন জানিয়ে কিরণ বলেছেন, ‘একেকটা দেশের খাবার একেকরকম। লাওসের খাবার তো মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্য আমি বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম। পিটারের তো সিদ্ধ খাবার ভালো লাগবেই। এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকার কিছু নেই।’
অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের সাফল্য
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও শেষ পর্যন্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার টিকেট মিলেছে বাংলাদেশের মেয়েদের। তাতেই খুশি নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। লাওস থেকে সোমবার,(১১ আগস্ট ২০২৫) ইংলিশ কোচ জানান, সামনের দিনের লক্ষ্য।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্যে তৃপ্তির উপলক্ষ্য এনে দিলেও বাটলারের মূল ভাবনা সিনিয়র টিম নিয়ে। এশিয়া কাপের বাছাইয়ে দারুণ করার সুবাদে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এক লাফে ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১০৪তম স্থানে। বাটলারের চাওয়া ১০০-এর মধ্যে আসা।
‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেটা অর্জন করেছি। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দিকে ফিরে তাকালে, আমার মনে হয়, এটি গত বছর চাইনিজ তাইপে থেকে শুরু হয়েছিল। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের উত্থান আসলেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কারণ একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং আরও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের আছে এবং মেয়েরা অত্যন্ত ভালো করেছে।’
‘আমাদের মেয়েরা যা অর্জন করেছে, স্বীকৃতি, প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, (র্যাঙ্কিং) এটি খুব দ্রুত নেমে আসতে পারে, খুব দ্রুত ওপরেও যেতে পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং আবারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ের সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে যাতে ফিফা র্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং এটিকে ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনা যায়।’
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপের বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারে মেয়েরা। এই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পরও বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে, বাংলাদেশ কোচ স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, তার ছকে আসবে না কোনো বদল।
‘কারও জ্বর হয়েছিল, চোট ছিল এবং আমাদের সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তারা যেভাবে খেলে সেটার প্রশংসা আমি করি। আমার মনে হয়, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা করেছি, কেকের ওপরের পনীরটুকু খেতে পারিনি, তবে গতকাল রোববার বিশ্বের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে খেলেছি।’
‘(এগিয়ে যাওয়ার পর) আমরা রক্ষণাত্মক হতে পারতাম, নিচে নেমে খেলতে পারতাম, জীবন দিয়ে গোলটি আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতাম, কিন্তু আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমি এভাবে কাজ করি না। তবে হ্যাঁ, সামগ্রিকভাবে মেয়েদের জন্য আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।’
‘সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে
নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প হবে’
ইতিহাস গড়ে ঋতুপর্ণারা এএফসি এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে। এরপর বয়সভিত্তিক আসরেও সাফল্য এসেছে। অনূর্ধ্ব-২০ আসরেও গ্রুপ সেরা হয়ে সাগরিকারা থাইল্যান্ডের মূল আসরে জায়গা করে নিয়েছেন। সোমবার বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমকে নারী ফুটবলের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ মেয়েদের উন্নতি নিয়ে বলেন, ‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয়, আমাদের পাইপলাইন অনেক স্ট্রং। যে কারণে যে বছর সিনিয়র টিম কোয়ালিফাই করলো, একই বছর বয়সভিত্তিক টিমও কোয়ালিফাই করলো। এতে বুঝতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’
এশিয়া কাপের জন্য মেয়েদের জাপানে অনুশীলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিরণ, ‘আমরা ১৩ তারিখ বাফুফে প্রধানের সঙ্গে বসবো। দুটো দলের জন্য প্র?্যাকটিস ম্যাচ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এফোর্ট দিতে হবে। জাপান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আজই আমি আবার মেইল করেছি। আমরা সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প করতে চাচ্ছি।’
খেলোয়াড়দের খাবার নিয়ে নানান সময়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়। মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন। এ নিয়ে কিরণ সরাসরি বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হবো না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। অনেকেই বলেন যে আমরা এখানে পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই। আমরা একদিনও পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই না। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেয়া হয়।
কেন মিথ্যা নিউজ করা হয়। মেয়েরা যদি ঠিকমতো খেতেই না পারে তাহলে তো শক্তি থাকবে না। ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাস মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারবো না।’
লাওসের হোটেলে নাকি মেয়েরা ঠিকমতো খেতে পারছে না। এমন জানিয়ে কিরণ বলেছেন, ‘একেকটা দেশের খাবার একেকরকম। লাওসের খাবার তো মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্য আমি বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম। পিটারের তো সিদ্ধ খাবার ভালো লাগবেই। এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকার কিছু নেই।’