মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টাইগারদের ফিটনেস ট্রেনিং
টানা সপ্তাহখানেক ধরে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ফিটনেস নিয়ে বেশ পরিশ্রম করছেন। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কয়েক দিন অনুশীলনের পর ঢাকা স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। যেখানে নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিবদের ফিটনেসে মুগ্ধ হয়েছেন বিসিবি-এর স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি।
মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেলি বলেন, আমরা ঢাকা স্টেডিয়ামে কিছু টেস্ট করেছি। স্প্রিন্ট টেস্ট এবং টাইম ট্রায়াল করেছিলাম। টাইম ট্রায়ালে আমরা মনে হয়, ১২ জন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সেরা অবস্থায় পেয়েছি। অনেক খেলোয়াড়ই এই জায়গায় উন্নতি করছে। নাহিদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার দৌড় শেষ করেছে। আর পুরো দল একসঙ্গে এই দিকটা উন্নত করার চেষ্টা করছে। আমরা এখানে কিছু স্ট্রেংথ টেস্টও করেছি। সব স্ট্রেংথ টেস্ট একসঙ্গে মিলিয়ে ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা পেয়েছি।
ফিটনেস টেস্টে ক্রিকেটাররা নিজেদের শতভাগ দিচ্ছেন দাবি করে কেলি বলেন, ক্রিকেটাররা খুব মোটিভেটেড। সবাই প্রচন্ড পরিশ্রমী এবং নিজেদের সেরা বানাতে চায়। আমি কখনও আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ফিটনেস নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তারা পুরোপুরি মনোযোগী হয়েছে, উন্নতির চেষ্টা করছে এবং তাদের এনার্জি ও উৎসাহ দারুণ।
নতুন করে ১৬০০ মিটার দৌড় নিয়ে কেলি বলেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক উন্নতি হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে এই টেস্টগুলো নাকি নতুন, এটা ঠিক না। আমি ২০২৪ সালের এপ্রিলে যোগ দেয়ার পর থেকে ১৮ মাস ধরে এই টেস্টগুলো অর্থাৎ টাইম ট্রায়াল, স্ট্রেংথ টেস্ট, স্প্রিন্ট টেস্ট এসবের ধারাবাহিক ডেটা আমাদের কাছে আছে, যেটা দিয়ে খেলোয়াড়দের উন্নতি ট্র্যাক করছি। যখন সূচিতে বিরতি থাকে, তখন খেলোয়াড়রা নিজেরাই অনেক ফিজিক্যাল কাজ করে। আমি বলবো, শেষ সিরিজ শেষ হওয়ার পর তারা বরং আরও বেশি কাজ করেছে। যখন আমরা প্রতি দুই দিন পরপর ম্যাচ খেলি, তখন এসব কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন আপনি শ্রীলঙ্কা সফরে দেখেছেন, সেটা ছয় সপ্তাহের সিরিজ ছিল, যেখানে সম্ভবত ৭০% দিনই ম্যাচ ছিল।
‘বাংলাদেশে আমাদের অ্যাথলেটিসিজম উন্নতি করার পথে মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে আমার মনে হয়, এখন আমাদের সম্ভবত তিনজন খুব উঁচুমানের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আছেন, যারা বিসিবির চাকরিতে আছেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো এমন ট্রেনারের সংখ্যা ২০-৩০ জন।’
‘আমাদের এখানে স্থানীয় অনেক ট্রেনার আছেন, যাদের তাড়না অনেক ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বড় দায়িত্ব হলো তাদের স্কিল গড়ে তোলায় সহায়তা করা। তবে দিনশেষে, এটা তো গোটা সিস্টেমের ব্যাপার।
আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রেনাররা এমনিতে ভালো কাজ করেন। কিন্তু এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির ব্যাপার, সেটা শুধু ক্রিকেটারদের নয়, গোটা ক্রিকেট সিস্টেমেরই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করা ও শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখা নিশ্চিত করতে একটি সিস্টেম গড়ে তোলার পথে আমার মনে হয় আমরা বেশ উন্নতি করেছি।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টাইগারদের ফিটনেস ট্রেনিং
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
টানা সপ্তাহখানেক ধরে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ফিটনেস নিয়ে বেশ পরিশ্রম করছেন। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কয়েক দিন অনুশীলনের পর ঢাকা স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। যেখানে নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিবদের ফিটনেসে মুগ্ধ হয়েছেন বিসিবি-এর স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি।
মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেলি বলেন, আমরা ঢাকা স্টেডিয়ামে কিছু টেস্ট করেছি। স্প্রিন্ট টেস্ট এবং টাইম ট্রায়াল করেছিলাম। টাইম ট্রায়ালে আমরা মনে হয়, ১২ জন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সেরা অবস্থায় পেয়েছি। অনেক খেলোয়াড়ই এই জায়গায় উন্নতি করছে। নাহিদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার দৌড় শেষ করেছে। আর পুরো দল একসঙ্গে এই দিকটা উন্নত করার চেষ্টা করছে। আমরা এখানে কিছু স্ট্রেংথ টেস্টও করেছি। সব স্ট্রেংথ টেস্ট একসঙ্গে মিলিয়ে ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা পেয়েছি।
ফিটনেস টেস্টে ক্রিকেটাররা নিজেদের শতভাগ দিচ্ছেন দাবি করে কেলি বলেন, ক্রিকেটাররা খুব মোটিভেটেড। সবাই প্রচন্ড পরিশ্রমী এবং নিজেদের সেরা বানাতে চায়। আমি কখনও আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ফিটনেস নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তারা পুরোপুরি মনোযোগী হয়েছে, উন্নতির চেষ্টা করছে এবং তাদের এনার্জি ও উৎসাহ দারুণ।
নতুন করে ১৬০০ মিটার দৌড় নিয়ে কেলি বলেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক উন্নতি হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে এই টেস্টগুলো নাকি নতুন, এটা ঠিক না। আমি ২০২৪ সালের এপ্রিলে যোগ দেয়ার পর থেকে ১৮ মাস ধরে এই টেস্টগুলো অর্থাৎ টাইম ট্রায়াল, স্ট্রেংথ টেস্ট, স্প্রিন্ট টেস্ট এসবের ধারাবাহিক ডেটা আমাদের কাছে আছে, যেটা দিয়ে খেলোয়াড়দের উন্নতি ট্র্যাক করছি। যখন সূচিতে বিরতি থাকে, তখন খেলোয়াড়রা নিজেরাই অনেক ফিজিক্যাল কাজ করে। আমি বলবো, শেষ সিরিজ শেষ হওয়ার পর তারা বরং আরও বেশি কাজ করেছে। যখন আমরা প্রতি দুই দিন পরপর ম্যাচ খেলি, তখন এসব কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন আপনি শ্রীলঙ্কা সফরে দেখেছেন, সেটা ছয় সপ্তাহের সিরিজ ছিল, যেখানে সম্ভবত ৭০% দিনই ম্যাচ ছিল।
‘বাংলাদেশে আমাদের অ্যাথলেটিসিজম উন্নতি করার পথে মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে আমার মনে হয়, এখন আমাদের সম্ভবত তিনজন খুব উঁচুমানের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আছেন, যারা বিসিবির চাকরিতে আছেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো এমন ট্রেনারের সংখ্যা ২০-৩০ জন।’
‘আমাদের এখানে স্থানীয় অনেক ট্রেনার আছেন, যাদের তাড়না অনেক ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বড় দায়িত্ব হলো তাদের স্কিল গড়ে তোলায় সহায়তা করা। তবে দিনশেষে, এটা তো গোটা সিস্টেমের ব্যাপার।
আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রেনাররা এমনিতে ভালো কাজ করেন। কিন্তু এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির ব্যাপার, সেটা শুধু ক্রিকেটারদের নয়, গোটা ক্রিকেট সিস্টেমেরই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করা ও শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখা নিশ্চিত করতে একটি সিস্টেম গড়ে তোলার পথে আমার মনে হয় আমরা বেশ উন্নতি করেছি।’