তাসকিন ও নাসুম মিলে পাঁচ উইকেট নেন
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি নেদারল্যান্ডস। সফরকারীদের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।
সোমবার, (০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিলেটে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ বল হাতে রেখে লিটনের দল ডাচদের হারায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ১০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে যোগ করে ৪০ রান। পারভেজ হোসেন ভালো শুরু করেও ২৩ রানে ফিরেন। পরে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ৩৯ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। লিটন-তানজিদের অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটিতেই ১৩.১ ওভারে জয় পেয়ে যায় স্বাগতিক দল। অধিনায়ক লিটন অবশ্য ১৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তাতে ছিল দুটি চারের মার। নিজের প্রথম ওভারে দুটিসহ ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সোর হন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে সফরকারীদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টাইগাররা। ১৫ বল বাকি থাকতে ডাচরা অলআউট হয়েছে স্রেফ ১০৩ রানে। নয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৩০ করেন আরিয়ান, ওপেনার বিক্রমজিত করেন ২৪ ও শারিজ আহমেদ করেন ১২। দলে আর কেউ দু’অঙ্কে পৌছাতে পারেননি।
ডাচ দলের বাকি আট ব্যাটারের সংগ্রহ ৩০ রান।
স্পিনার নাসুম ৩টি, মোস্তাফিজ ও তাসকিন ২টি করে এবং হাসান ও তানজিম একটি করে উইকেট নেন।
সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে শেখ মেহেদী ও তাসকিনের করা প্রথম দুই ওভারে নেদারল্যান্ডস তোলে ১৪ রান। তৃতীয় ওভারে আক্রমণে গিয়েই অধিনায়ক লিটন দাসের রাখা আস্থার প্রতিদান দেন নাসুম। পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান।
দ্বিতীয় ডেলিভারিতে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড আনে তাওহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি। পরের ডেলিভারিতে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ মেলে তেজা নিদামানুরুর। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তিনি ধরা পড়েন তানজিম হাসান সাকিবের হাতে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা ছিল ডাচদের। অন্য ওপেনার বিক্রমজিৎ দ্রুত রান আনতে মনোযোগী ছিলেন। তাকে ডানা মেলতে দেননি তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারে স্লোয়ার বুঝতে না পেরে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বিক্রমজিৎ। ১৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ২৪ রান।
৩৭ রানে ৩ উইকেট ফেলে দেয়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে টাইগাররা। পরের বলেই আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছলে পড়ে যাওয়ায় বল হাতে জমাতে ব্যর্থ হন তানজিম। রানের খাতা খোলার আগেই বেঁচে যান শারিজ আহমেদ।
নবম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে পান মোস্তাফিজ। উইকেট উৎসবে যোগ দিতে সময় নেননি তিনি।
তৃতীয় ডেলিভারিতে মিড অন থেকে পেছনে ঘুরে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস থামেন ১১ বলে ৯ রানে।
তানজিমের করা পরের ওভারে ডাচদের বিপদ আরও ঘনীভূত হয়। চতুর্থ ডেলিভারিতে সাইফ হাসানের সরাসরি থ্রোতে নোয়াহ ক্রোস রানআউট হওয়ার পরের বলে শারিজ পুল করার চেষ্টায় উইকেটরক্ষক লিটনের গ্লাভসে ধরা পড়েন।
ক্রোস করেন ৩ বলে ২ রান। শারিজ আউট হন ১৭ বলে ১২ রান করে। ইনিংসের মাঝপথে ধুঁকতে থাকা নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৬২ রান। ফলে দলটির তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো নিয়েই শঙ্কা দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তা করতে পারে তারা।
একাদশ ওভারে আক্রমণে ফিরে আবার উইকেট পান মোস্তাফিজ। তার চমৎকার ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৩ বলে ২ রান করা সিকান্দার জুলফিকার। এরপর কাইল ক্লেইনকে (৭ বলে ৪ রান) তাসকিন ক্যাচ বানালে এবং পল ফন মিকেরেনকে (৭ বলে ৩ রান) নাসুম এলবিডব্লিউ করলে অলআউট হওয়ার দুয়ারে পৌঁছে যায় ডাচরা। ৮১ রানে পতন হয় তাদের নবম উইকেটের।
শেষ উইকেটে ১৮ বলে ২২ রানের জুটিতে তিন অঙ্কে যায় নেদারল্যান্ডস। আরিয়ান দত্তকে বোল্ড করে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছোট রাখেন শেখ মেহেদী। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে নয়ে নামা আরিয়ানের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ড্যানিয়েল ডোরাম অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নেদারল্যান্ডস ১৭ ওভারে ১০৩ (ভিক্রমজিৎ ২৪, শারিজ ১২, আরিয়ান ৩০; উইকেট পতন- ১/১৪, ২/১৪, ৩/৩৭, ৪/৫৫, ৫/৬১, ৬/৬১, ৭/৬৫, ৮/৭৮, ৯/৮১, ১০/১০৩। বোলিং-মেহেদি ৩.৩-০-২৪-১, তাসকিন ৪-০-২২-২, নাসুম ৪-০-২১-৩, তানজিম ৩-০-১৬-১, মোস্তাফিজ ৩-০-১৮-২)।
বাংলাদেশ ১৩.১ ওভারে ১০৪/১ (পারভেজ ২৩, তানজিদ ৫৪*, লিটন ১৮*; আরিয়ান ৪-০-১৪-০, ক্লেইন ২.১-০-২০-১, ফন মিকেরেন ৩-০-২৮-০, ডোরাম ২-০-১৩-০, ও’ডাউড ২-০-২৬-০)।
তাসকিন ও নাসুম মিলে পাঁচ উইকেট নেন
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি নেদারল্যান্ডস। সফরকারীদের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।
সোমবার, (০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিলেটে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ বল হাতে রেখে লিটনের দল ডাচদের হারায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ১০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে যোগ করে ৪০ রান। পারভেজ হোসেন ভালো শুরু করেও ২৩ রানে ফিরেন। পরে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ৩৯ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। লিটন-তানজিদের অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটিতেই ১৩.১ ওভারে জয় পেয়ে যায় স্বাগতিক দল। অধিনায়ক লিটন অবশ্য ১৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তাতে ছিল দুটি চারের মার। নিজের প্রথম ওভারে দুটিসহ ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সোর হন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে সফরকারীদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টাইগাররা। ১৫ বল বাকি থাকতে ডাচরা অলআউট হয়েছে স্রেফ ১০৩ রানে। নয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৩০ করেন আরিয়ান, ওপেনার বিক্রমজিত করেন ২৪ ও শারিজ আহমেদ করেন ১২। দলে আর কেউ দু’অঙ্কে পৌছাতে পারেননি।
ডাচ দলের বাকি আট ব্যাটারের সংগ্রহ ৩০ রান।
স্পিনার নাসুম ৩টি, মোস্তাফিজ ও তাসকিন ২টি করে এবং হাসান ও তানজিম একটি করে উইকেট নেন।
সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে শেখ মেহেদী ও তাসকিনের করা প্রথম দুই ওভারে নেদারল্যান্ডস তোলে ১৪ রান। তৃতীয় ওভারে আক্রমণে গিয়েই অধিনায়ক লিটন দাসের রাখা আস্থার প্রতিদান দেন নাসুম। পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান।
দ্বিতীয় ডেলিভারিতে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড আনে তাওহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি। পরের ডেলিভারিতে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ মেলে তেজা নিদামানুরুর। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তিনি ধরা পড়েন তানজিম হাসান সাকিবের হাতে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা ছিল ডাচদের। অন্য ওপেনার বিক্রমজিৎ দ্রুত রান আনতে মনোযোগী ছিলেন। তাকে ডানা মেলতে দেননি তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারে স্লোয়ার বুঝতে না পেরে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন বিক্রমজিৎ। ১৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ২৪ রান।
৩৭ রানে ৩ উইকেট ফেলে দেয়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে টাইগাররা। পরের বলেই আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছলে পড়ে যাওয়ায় বল হাতে জমাতে ব্যর্থ হন তানজিম। রানের খাতা খোলার আগেই বেঁচে যান শারিজ আহমেদ।
নবম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে পান মোস্তাফিজ। উইকেট উৎসবে যোগ দিতে সময় নেননি তিনি।
তৃতীয় ডেলিভারিতে মিড অন থেকে পেছনে ঘুরে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস থামেন ১১ বলে ৯ রানে।
তানজিমের করা পরের ওভারে ডাচদের বিপদ আরও ঘনীভূত হয়। চতুর্থ ডেলিভারিতে সাইফ হাসানের সরাসরি থ্রোতে নোয়াহ ক্রোস রানআউট হওয়ার পরের বলে শারিজ পুল করার চেষ্টায় উইকেটরক্ষক লিটনের গ্লাভসে ধরা পড়েন।
ক্রোস করেন ৩ বলে ২ রান। শারিজ আউট হন ১৭ বলে ১২ রান করে। ইনিংসের মাঝপথে ধুঁকতে থাকা নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৬২ রান। ফলে দলটির তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো নিয়েই শঙ্কা দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তা করতে পারে তারা।
একাদশ ওভারে আক্রমণে ফিরে আবার উইকেট পান মোস্তাফিজ। তার চমৎকার ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৩ বলে ২ রান করা সিকান্দার জুলফিকার। এরপর কাইল ক্লেইনকে (৭ বলে ৪ রান) তাসকিন ক্যাচ বানালে এবং পল ফন মিকেরেনকে (৭ বলে ৩ রান) নাসুম এলবিডব্লিউ করলে অলআউট হওয়ার দুয়ারে পৌঁছে যায় ডাচরা। ৮১ রানে পতন হয় তাদের নবম উইকেটের।
শেষ উইকেটে ১৮ বলে ২২ রানের জুটিতে তিন অঙ্কে যায় নেদারল্যান্ডস। আরিয়ান দত্তকে বোল্ড করে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছোট রাখেন শেখ মেহেদী। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে নয়ে নামা আরিয়ানের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ড্যানিয়েল ডোরাম অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নেদারল্যান্ডস ১৭ ওভারে ১০৩ (ভিক্রমজিৎ ২৪, শারিজ ১২, আরিয়ান ৩০; উইকেট পতন- ১/১৪, ২/১৪, ৩/৩৭, ৪/৫৫, ৫/৬১, ৬/৬১, ৭/৬৫, ৮/৭৮, ৯/৮১, ১০/১০৩। বোলিং-মেহেদি ৩.৩-০-২৪-১, তাসকিন ৪-০-২২-২, নাসুম ৪-০-২১-৩, তানজিম ৩-০-১৬-১, মোস্তাফিজ ৩-০-১৮-২)।
বাংলাদেশ ১৩.১ ওভারে ১০৪/১ (পারভেজ ২৩, তানজিদ ৫৪*, লিটন ১৮*; আরিয়ান ৪-০-১৪-০, ক্লেইন ২.১-০-২০-১, ফন মিকেরেন ৩-০-২৮-০, ডোরাম ২-০-১৩-০, ও’ডাউড ২-০-২৬-০)।