“আসলে ভাইয়া, আমরা তো অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলছি, আরও কি অ্যাটাকিং চাচ্ছেন?”—প্রশ্ন শুনে এমন পাল্টা জবাব দিলেন তানজিদ হাসান। মুখে হাসি থাকলেও কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল, প্রশ্নটা হয়তো খুব একটা ভালো লাগেনি তার। তবে তিনি বোঝাতে চাইলেন, এখনকার বাংলাদেশ দল যথেষ্টই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে।
এমন মন্তব্য এলো এমন এক দিনে, যেদিন এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন এই ওপেনার। মজার ব্যাপার হলো, এর কিছুক্ষণ আগেই একই রেকর্ড করেছিলেন তার সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন। গত বছর তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলির ২১ ছক্কার রেকর্ড ভেঙে ২২ ছক্কা হাঁকান ইমন। পরে দু’টি ছক্কা মেরে তাকে ছাড়িয়ে ২৩ ছক্কায় পৌঁছান তানজিদ।
পরিসংখ্যানও বলছে, বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। চলতি বছর ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৮.৩৪। ২০০৬ সালের এক ম্যাচ বাদ দিলে এত বেশি রানরেট আগে কেবল দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে (৮.৭৫)। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের মানদণ্ডে এখনো অনেক পিছিয়ে লিটন দাসের দল। এ বছর পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ওভারপ্রতি রান বাংলাদেশ অষ্টম এবং দলীয় স্ট্রাইক রেট ১৩১.৫৯ নিয়ে নবম স্থানে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর তানজিদকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কৌশল দলগতভাবে নেওয়া হয়েছে কি না, তিনি প্রথমে ভুল বুঝে ফেললেও পরে পরিষ্কারভাবে বলেন, “আমাদের পুরো দলকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। যার যে ভূমিকা আছে, সেটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবে তা পরিষ্কার করে দেওয়া আছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।”
নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও বড় উন্নতি করেছেন তানজিদ। গত বছর ১৮ ম্যাচে করেছিলেন তিনটি ফিফটি, গড় ছিল ২১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ১১৪.২৩। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে তার গড় ৩৫.৭২ আর স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৫৫। তবুও নিজেকে তিনি ‘হার্ড হিটার’ মনে করেন না। তবে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের সঙ্গে কাজ শুরু করায় আশা করছেন, এখানেও আরও উন্নতি করতে পারবেন।
তানজিদের ভাষায়, “আমি যে ধরনের ব্যাটসম্যান, আমার জন্য হার্ড হিটিং করাটা কঠিন। আমি চেষ্টা করছি। উডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমার ব্যাটিং স্টাইলে তেমন পরিবর্তন আনেননি, শুধু আরও ভালো শেইপ ও ব্যালান্স নিয়ে কীভাবে বড় শট খেলতে পারি, সেটা নিয়েই কাজ হচ্ছে।”
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“আসলে ভাইয়া, আমরা তো অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলছি, আরও কি অ্যাটাকিং চাচ্ছেন?”—প্রশ্ন শুনে এমন পাল্টা জবাব দিলেন তানজিদ হাসান। মুখে হাসি থাকলেও কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল, প্রশ্নটা হয়তো খুব একটা ভালো লাগেনি তার। তবে তিনি বোঝাতে চাইলেন, এখনকার বাংলাদেশ দল যথেষ্টই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে।
এমন মন্তব্য এলো এমন এক দিনে, যেদিন এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন এই ওপেনার। মজার ব্যাপার হলো, এর কিছুক্ষণ আগেই একই রেকর্ড করেছিলেন তার সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন। গত বছর তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলির ২১ ছক্কার রেকর্ড ভেঙে ২২ ছক্কা হাঁকান ইমন। পরে দু’টি ছক্কা মেরে তাকে ছাড়িয়ে ২৩ ছক্কায় পৌঁছান তানজিদ।
পরিসংখ্যানও বলছে, বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। চলতি বছর ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৮.৩৪। ২০০৬ সালের এক ম্যাচ বাদ দিলে এত বেশি রানরেট আগে কেবল দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে (৮.৭৫)। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের মানদণ্ডে এখনো অনেক পিছিয়ে লিটন দাসের দল। এ বছর পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ওভারপ্রতি রান বাংলাদেশ অষ্টম এবং দলীয় স্ট্রাইক রেট ১৩১.৫৯ নিয়ে নবম স্থানে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর তানজিদকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কৌশল দলগতভাবে নেওয়া হয়েছে কি না, তিনি প্রথমে ভুল বুঝে ফেললেও পরে পরিষ্কারভাবে বলেন, “আমাদের পুরো দলকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। যার যে ভূমিকা আছে, সেটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবে তা পরিষ্কার করে দেওয়া আছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।”
নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও বড় উন্নতি করেছেন তানজিদ। গত বছর ১৮ ম্যাচে করেছিলেন তিনটি ফিফটি, গড় ছিল ২১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ১১৪.২৩। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে তার গড় ৩৫.৭২ আর স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৫৫। তবুও নিজেকে তিনি ‘হার্ড হিটার’ মনে করেন না। তবে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের সঙ্গে কাজ শুরু করায় আশা করছেন, এখানেও আরও উন্নতি করতে পারবেন।
তানজিদের ভাষায়, “আমি যে ধরনের ব্যাটসম্যান, আমার জন্য হার্ড হিটিং করাটা কঠিন। আমি চেষ্টা করছি। উডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমার ব্যাটিং স্টাইলে তেমন পরিবর্তন আনেননি, শুধু আরও ভালো শেইপ ও ব্যালান্স নিয়ে কীভাবে বড় শট খেলতে পারি, সেটা নিয়েই কাজ হচ্ছে।”