শুটিংয়ের ফাইল ছবি
কাজাখস্তানে সমাপ্ত এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত। ৫০ স্বর্ণসহ ৯৯টি পদক জিতে ১৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে। দু’বছর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার এ টুর্নামেন্টে ১৯টি পদক জিতে তিন নম্বরে ছিল। অথচ সেই এশিয়ান শুটিংয়ে পদকের দেখাই পান না বাংলাদেশের শ্যুটাররা। আর এবারের আসরে তো অংশই নেয়নি।
বৈশ্বিক আসরের মধ্যে কমনওয়েলথ ও সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসেই পদক রয়েছে বাংলাদেশের। বাকি আসরগুলোতে লাল সবুজের শ্যুটাররা অংশ নেন কেবল অলিম্পিক গেমসের ওয়াইল্ড কার্ডের জন্যই। দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে সাফল্যের নিড়িখে শুটিংয়েও এগিয়ে ছিল। অথচ আজ সেই শুটিংয়ের কী দুর্দশা! অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলেয়া ফেরদৌসীর মতে, ‘দেশের শুটিং এখন জিরো লেভেলে চলে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে অনেক সময় লাগবে।’ যদি তাই হয়, তাহলে জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে কি হবে? সেই উত্তরও জানা নেই এ সাধারণ সম্পাদকের, ‘জানি না কী করতে পারবে ছেলে মেয়েরা।’ এশিয়ান শুটিংয়ে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তার কথা, ‘কেন এবার অংশই নিতে পারিনি আমরা, তা বিগত কমিটি জবাব দিতে পারবে। কারণ গত ১৫- ১৬ বছর তো উনারাই ছিলেন।’
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জড়িয়ে পড়েছিল শুটিং ফেডারেশনের নামও। গুঞ্জন ছিল, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমনের উদ্দেশ্যে করা গুলি নাকি শুটিং ফেডারেশনের স্টোর থেকেই নেয়া হয়েছিল।
এজন্য দীর্ঘদিন নাকি ফেডারেশনের স্টোর তালাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছিল শ্যুটারদের গুলি, পিস্তল ও রাইফেল। তবে সম্প্রতি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্টোর রুম খুলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শ্যুটারদের এসএ গেমসের ক্যাম্প। আলেয়া ফেরদৌসীর কথায়, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ জনকে নিয়ে এসএ গেমসের ক্যাম্প শুরু করেছি।
সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশীয় কোনো কোচ তৈরি করা হয়নি। আজ যদি আমাদের পর্যাপ্ত দেশীয় কোচ থাকতো তাহলে একজন বিদেশি কোচ এনে অনুশীলন দিতে পারলেই হতো। তাহলে এত বেগ পেতে হতো না।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘দেশের শুটিং ক্লাবগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। তাদের পারফরম্যান্স তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে আমরা এসএ গেমসে স্বর্ণ আশা করতে পারিনি।’ বিদেশি কোচের বিষয়ে আলেয়া ফেরদৌসের কথা, ‘শুটিংয়ে দুজন ইরানি কোচ ছিলেন। একজনকে ৫ আগস্টের পর বিমানে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আরেকজন চলে গেছেন এমনিতেই। তাছাড়া একজন বিদেশি কোচকে আনতে হলে মাসিক ৮-১০ হাজার মার্কিন ডলার প্রয়োজন। অনুশীলন প্রোগ্রাম আর শ্যুটারদের মাসিক খরচাতেইতো আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। ট্রাস্টের ফান্ডে হাত দিতে পারি না। এসব সমস্যায় আমরা আছি।’
শুটিংয়ের ফাইল ছবি
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কাজাখস্তানে সমাপ্ত এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত। ৫০ স্বর্ণসহ ৯৯টি পদক জিতে ১৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে। দু’বছর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার এ টুর্নামেন্টে ১৯টি পদক জিতে তিন নম্বরে ছিল। অথচ সেই এশিয়ান শুটিংয়ে পদকের দেখাই পান না বাংলাদেশের শ্যুটাররা। আর এবারের আসরে তো অংশই নেয়নি।
বৈশ্বিক আসরের মধ্যে কমনওয়েলথ ও সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসেই পদক রয়েছে বাংলাদেশের। বাকি আসরগুলোতে লাল সবুজের শ্যুটাররা অংশ নেন কেবল অলিম্পিক গেমসের ওয়াইল্ড কার্ডের জন্যই। দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে সাফল্যের নিড়িখে শুটিংয়েও এগিয়ে ছিল। অথচ আজ সেই শুটিংয়ের কী দুর্দশা! অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলেয়া ফেরদৌসীর মতে, ‘দেশের শুটিং এখন জিরো লেভেলে চলে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে অনেক সময় লাগবে।’ যদি তাই হয়, তাহলে জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে কি হবে? সেই উত্তরও জানা নেই এ সাধারণ সম্পাদকের, ‘জানি না কী করতে পারবে ছেলে মেয়েরা।’ এশিয়ান শুটিংয়ে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তার কথা, ‘কেন এবার অংশই নিতে পারিনি আমরা, তা বিগত কমিটি জবাব দিতে পারবে। কারণ গত ১৫- ১৬ বছর তো উনারাই ছিলেন।’
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জড়িয়ে পড়েছিল শুটিং ফেডারেশনের নামও। গুঞ্জন ছিল, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমনের উদ্দেশ্যে করা গুলি নাকি শুটিং ফেডারেশনের স্টোর থেকেই নেয়া হয়েছিল।
এজন্য দীর্ঘদিন নাকি ফেডারেশনের স্টোর তালাবদ্ধ ছিল। যেখানে ছিল শ্যুটারদের গুলি, পিস্তল ও রাইফেল। তবে সম্প্রতি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্টোর রুম খুলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শ্যুটারদের এসএ গেমসের ক্যাম্প। আলেয়া ফেরদৌসীর কথায়, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ জনকে নিয়ে এসএ গেমসের ক্যাম্প শুরু করেছি।
সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশীয় কোনো কোচ তৈরি করা হয়নি। আজ যদি আমাদের পর্যাপ্ত দেশীয় কোচ থাকতো তাহলে একজন বিদেশি কোচ এনে অনুশীলন দিতে পারলেই হতো। তাহলে এত বেগ পেতে হতো না।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘দেশের শুটিং ক্লাবগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। তাদের পারফরম্যান্স তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে আমরা এসএ গেমসে স্বর্ণ আশা করতে পারিনি।’ বিদেশি কোচের বিষয়ে আলেয়া ফেরদৌসের কথা, ‘শুটিংয়ে দুজন ইরানি কোচ ছিলেন। একজনকে ৫ আগস্টের পর বিমানে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আরেকজন চলে গেছেন এমনিতেই। তাছাড়া একজন বিদেশি কোচকে আনতে হলে মাসিক ৮-১০ হাজার মার্কিন ডলার প্রয়োজন। অনুশীলন প্রোগ্রাম আর শ্যুটারদের মাসিক খরচাতেইতো আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। ট্রাস্টের ফান্ডে হাত দিতে পারি না। এসব সমস্যায় আমরা আছি।’