বুধবার শেষ টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ছবি
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফলে ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে টাইগারদের সামনে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বুধবার সিলেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচের মুখোমুখি হবে দুই দল। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৮ ও ৯ উইকেটে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। এর আগে ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ১৩ বছর আগে ঐ সিরিজে পাওয়া জয়টি, এখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের একমাত্র জয়।
সিলেটের মাঠে সিরিজের দুই ম্যাচেই টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই নিজেদের আস্থার প্রতিদান দেন বোলারার। নেদারল্যান্ডসকে বড় স্কোর করতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। ফলে দুই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে কোনো চাপ অনুভব করেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। খুব সহজেই দলকে জয়ের বন্দরে নেন তারা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে নেদারল্যান্ডস। ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন। জবাবে অধিনায়ক লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৯ বল বাকি রেখেই জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৪ রান করেন লিটন। তবে জয়ের নায়ক ছিলেন তাসকিন।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ১০৩ রানে গুটিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন নাসুম। এরপর ওপেনার তানজিদ হাসানের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ৪১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ৪০ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তানজিদ।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি সব সিরিজ জিততে চাই। কিন্তু সব সময় সেটি সম্ভব নয়। এবারের সাফল্যের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। বোলাররা খুব ভালো করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে সিলেটে ক্যাম্প করছি এবং অনুশীলনে তারা অনেক বেশি চেষ্টা করেছে। বোলাররা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এ উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়, সেটি জানতো বোলাররা। নিজেদের বৈচিত্র্য এবং সবকিছু দিয়ে ভালো বল করেছে তারা।’
আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য এ সিরিজ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন লিটন। তিনি জানান, যেহেতু এশিয়া কাপের মঞ্চে ভালো পারফরমেন্স করার লক্ষ্য আছে দলের সেজন্য এ সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয়। কারণ আমরা এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা দিনে দিনে আমাদের দল প্রস্তুত করার চেষ্টা করবো। এটা একটি ভালো লক্ষণ যে, যারাই দলে আসবে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। দিনের শেষে জয় আসলেই সবকিছু ঠিকঠাক চলবে।’
উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান নাসুম ও তানজিম হাসান সাকিব। এশিয়া কাপের আগে দলের সবাইকে খেলার সুযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য তৃতীয় ম্যাচেও একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন লিটন। সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সফরের ইতি টানতে চায় নেদারল্যান্ডস।
বুধবার শেষ টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ছবি
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফলে ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে টাইগারদের সামনে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বুধবার সিলেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচের মুখোমুখি হবে দুই দল। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৮ ও ৯ উইকেটে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। এর আগে ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ১৩ বছর আগে ঐ সিরিজে পাওয়া জয়টি, এখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের একমাত্র জয়।
সিলেটের মাঠে সিরিজের দুই ম্যাচেই টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই নিজেদের আস্থার প্রতিদান দেন বোলারার। নেদারল্যান্ডসকে বড় স্কোর করতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। ফলে দুই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে কোনো চাপ অনুভব করেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। খুব সহজেই দলকে জয়ের বন্দরে নেন তারা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে নেদারল্যান্ডস। ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন। জবাবে অধিনায়ক লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৯ বল বাকি রেখেই জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৪ রান করেন লিটন। তবে জয়ের নায়ক ছিলেন তাসকিন।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ১০৩ রানে গুটিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন নাসুম। এরপর ওপেনার তানজিদ হাসানের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ৪১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ৪০ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তানজিদ।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি সব সিরিজ জিততে চাই। কিন্তু সব সময় সেটি সম্ভব নয়। এবারের সাফল্যের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। বোলাররা খুব ভালো করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে সিলেটে ক্যাম্প করছি এবং অনুশীলনে তারা অনেক বেশি চেষ্টা করেছে। বোলাররা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এ উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়, সেটি জানতো বোলাররা। নিজেদের বৈচিত্র্য এবং সবকিছু দিয়ে ভালো বল করেছে তারা।’
আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য এ সিরিজ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন লিটন। তিনি জানান, যেহেতু এশিয়া কাপের মঞ্চে ভালো পারফরমেন্স করার লক্ষ্য আছে দলের সেজন্য এ সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয়। কারণ আমরা এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা দিনে দিনে আমাদের দল প্রস্তুত করার চেষ্টা করবো। এটা একটি ভালো লক্ষণ যে, যারাই দলে আসবে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। দিনের শেষে জয় আসলেই সবকিছু ঠিকঠাক চলবে।’
উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান নাসুম ও তানজিম হাসান সাকিব। এশিয়া কাপের আগে দলের সবাইকে খেলার সুযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য তৃতীয় ম্যাচেও একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন লিটন। সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সফরের ইতি টানতে চায় নেদারল্যান্ডস।