আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ শুক্রবার
শুক্রবার হয়তো দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভেনেজুয়েলা ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এটাও জানিয়ে রাখেন, মেসি যাতে দেশের মাটিতে আরও ম্যাচ খেলতে পারেন সেটাও তিনি চান।
স্কালোনির কথায়, ‘এটা বিশেষ একটা ম্যাচ। লিও আগেই জানিয়েছিল এই ম্যাচে ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে। কারণ যোগ্যতা অর্জন পর্বে দেশের মাটিতে এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ। আমাদের উচিত প্রতিটা মিনিট উপভোগ করা। সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবো আমি। লিওকে কোচিং করানো আমার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতি। আশা করি যে সমর্থকেরা স্টেডিয়ামে যাবেন তারাও যেন ম্যাচটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন।’
এর পরেই নিজের অবস্থান থেকে একটু ঘুরে যান স্কালোনি। বলেন, ‘হয়তো বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনায় লিওর শেষ ম্যাচ হচ্ছে না। কারণ আমরা আরও একটা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো। লিও আরও একটা ম্যাচ খেলার যোগ্য। লিও অনুশীলনে এলে ওর মধ্যে এমন জিনিস দেখতে পাই যেটা বাকি কারও মধ্যে দেখি না। ব্যক্তি হিসেবেও অনেকের চেয়ে আলাদা।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মেসিকে অনেক আর্জেন্টিনীয়ই পছন্দ করতেন না। তারা এগিয়ে রাখতেন দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। তবে কাতারে মেসি দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর সব বদলে গিয়েছে। এখন গোটা দেশের নয়নের মণি। তাই ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচে এস্তাদিয়ো মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম ঠাসা থাকবে বলেই ধারণা স্কালোনির।
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট আগেই নিশ্চিত করে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের তালিকায় তারাই শীর্ষে। এখন ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এ ম্যাচ, এরপর শেষ প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। ম্যাচের ফলাফল খুব একটা গুরুত্ব বহন করছে না। কিন্তু মাঠের বাইরের আবেগ, এ যেন সীমাহীন।
স্কালোনি সোজাসাপটা বলেন, ‘আমরা এখন তাকে যতটা সম্ভব উপভোগ করি। সে যত ম্যাচ খেলতে পারে, ততটাই সৌভাগ্য আমাদের। একসময় সে থাকবে না, আর সেই শূন্যতা হবে বিশাল। মেসির উত্তরসূরি বলে কিছু নেই, তার জায়গা কেউ নিতে পারবে না।’
তবে একইসঙ্গে তিনি সতর্কও, ‘আর্জেন্টিনাকে মেসির যুগের পরও শক্তিশালী থাকতে হবে। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে, যারা তার অনুপস্থিতির ভার কিছুটা হালকা করে দিতে পারে। আর ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের ম্যাচগুলো নতুন মুখ পরীক্ষারও সুযোগ।’
তবুও মেসির চোখে একটাই সত্য, নিজ দেশের সমর্থকদের সামনে প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আগামী ম্যাচটা হবে খুবই বিশেষ। শেষবারের মতো দেশের মাটিতে বাছাইপর্বে নামছি, তাই এটা ভোলার মতো নয়।’
যে স্টেডিয়ামে একের পর এক জয়, আবেগ আর অশ্রুতে ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেই মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামই এবার সাক্ষী থাকবে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মেসিকে দেখার। ফলাফলের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে আবেগ, আর কোটি মানুষের চোখ ভিজবে ভালোবাসার অশ্রুতে। কারণ, মেসি শুধু একজন ফুটবলার নন, তিনি এক অনন্ত অনুভূতির নাম।
ব্রাজিল- চিলি ম্যাচ শুক্রবার
শুক্রবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আনচেলত্তি বলেন, ফুটবলের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী মারাকানায় প্রথমবার ডাগআউটে দাঁড়ানোর মুহূর্ত সবসময় হৃদয়ে লালন করবেন তিনি।
‘আমার জন্য এটি নতুন ও সুন্দর অভিজ্ঞতা, বিশ্ব ফুটবলের তীর্থস্থান মারাকানায় আমার প্রথমবার। নতুন অভিজ্ঞতা, যা আমি সবসময় মনে রাখব। ম্যাচের কথা বললে, আমি সেরাটা আশা করি, দল ভালো খেলবে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে এবং খেলায় ভালো মনোভাব ও ‘ইনটেনসিটি’ রাখবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা এটিই অনুসরণ করতে চাই।’
আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ শুক্রবার
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুক্রবার হয়তো দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভেনেজুয়েলা ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এটাও জানিয়ে রাখেন, মেসি যাতে দেশের মাটিতে আরও ম্যাচ খেলতে পারেন সেটাও তিনি চান।
স্কালোনির কথায়, ‘এটা বিশেষ একটা ম্যাচ। লিও আগেই জানিয়েছিল এই ম্যাচে ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে। কারণ যোগ্যতা অর্জন পর্বে দেশের মাটিতে এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ। আমাদের উচিত প্রতিটা মিনিট উপভোগ করা। সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবো আমি। লিওকে কোচিং করানো আমার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতি। আশা করি যে সমর্থকেরা স্টেডিয়ামে যাবেন তারাও যেন ম্যাচটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন।’
এর পরেই নিজের অবস্থান থেকে একটু ঘুরে যান স্কালোনি। বলেন, ‘হয়তো বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনায় লিওর শেষ ম্যাচ হচ্ছে না। কারণ আমরা আরও একটা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো। লিও আরও একটা ম্যাচ খেলার যোগ্য। লিও অনুশীলনে এলে ওর মধ্যে এমন জিনিস দেখতে পাই যেটা বাকি কারও মধ্যে দেখি না। ব্যক্তি হিসেবেও অনেকের চেয়ে আলাদা।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মেসিকে অনেক আর্জেন্টিনীয়ই পছন্দ করতেন না। তারা এগিয়ে রাখতেন দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। তবে কাতারে মেসি দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর সব বদলে গিয়েছে। এখন গোটা দেশের নয়নের মণি। তাই ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচে এস্তাদিয়ো মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম ঠাসা থাকবে বলেই ধারণা স্কালোনির।
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট আগেই নিশ্চিত করে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের তালিকায় তারাই শীর্ষে। এখন ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এ ম্যাচ, এরপর শেষ প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। ম্যাচের ফলাফল খুব একটা গুরুত্ব বহন করছে না। কিন্তু মাঠের বাইরের আবেগ, এ যেন সীমাহীন।
স্কালোনি সোজাসাপটা বলেন, ‘আমরা এখন তাকে যতটা সম্ভব উপভোগ করি। সে যত ম্যাচ খেলতে পারে, ততটাই সৌভাগ্য আমাদের। একসময় সে থাকবে না, আর সেই শূন্যতা হবে বিশাল। মেসির উত্তরসূরি বলে কিছু নেই, তার জায়গা কেউ নিতে পারবে না।’
তবে একইসঙ্গে তিনি সতর্কও, ‘আর্জেন্টিনাকে মেসির যুগের পরও শক্তিশালী থাকতে হবে। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে, যারা তার অনুপস্থিতির ভার কিছুটা হালকা করে দিতে পারে। আর ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের ম্যাচগুলো নতুন মুখ পরীক্ষারও সুযোগ।’
তবুও মেসির চোখে একটাই সত্য, নিজ দেশের সমর্থকদের সামনে প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আগামী ম্যাচটা হবে খুবই বিশেষ। শেষবারের মতো দেশের মাটিতে বাছাইপর্বে নামছি, তাই এটা ভোলার মতো নয়।’
যে স্টেডিয়ামে একের পর এক জয়, আবেগ আর অশ্রুতে ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেই মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামই এবার সাক্ষী থাকবে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মেসিকে দেখার। ফলাফলের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে আবেগ, আর কোটি মানুষের চোখ ভিজবে ভালোবাসার অশ্রুতে। কারণ, মেসি শুধু একজন ফুটবলার নন, তিনি এক অনন্ত অনুভূতির নাম।
ব্রাজিল- চিলি ম্যাচ শুক্রবার
শুক্রবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আনচেলত্তি বলেন, ফুটবলের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী মারাকানায় প্রথমবার ডাগআউটে দাঁড়ানোর মুহূর্ত সবসময় হৃদয়ে লালন করবেন তিনি।
‘আমার জন্য এটি নতুন ও সুন্দর অভিজ্ঞতা, বিশ্ব ফুটবলের তীর্থস্থান মারাকানায় আমার প্রথমবার। নতুন অভিজ্ঞতা, যা আমি সবসময় মনে রাখব। ম্যাচের কথা বললে, আমি সেরাটা আশা করি, দল ভালো খেলবে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে এবং খেলায় ভালো মনোভাব ও ‘ইনটেনসিটি’ রাখবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা এটিই অনুসরণ করতে চাই।’