সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ দল
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ প্রত্যাশিতভাবে জয় দিয়ে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শেষ করলো বাংলাদেশ। এবার মূল অভিযান শুরুর অপেক্ষা। সেই পরীক্ষা শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেন, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের জন্য এখন তারা তৈরি। গতকাল বুধবার সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘সবদিক থেকেই আমার মনে হয়, সিরিজটি আমাদের জন্য ইতিবাচক হয়েছে।’
‘মনে হয়, এশিয়া কাপের জন্য আমরা খুব ভালোভাবেই প্রস্তুত। এ সিরিজের আগে আমরা যে ক্যাম্পটা করেছি, সেটা শুধু এ সিরিজের জন্য নয়, সামনে যতগুলো খেলা থাকবে, সেসবের জন্যও আমরা প্রস্তুত কারণ এত ভালো ক্যাম্প আমি কখনও দেখিনি। ফিটনেস তো মিরপুরে থেকেও করা যায়। কিন্তু যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলতে চাচ্ছি, যে ধরনের অনুশীলন আমরা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা সিলেটেই পাওয়া গেছে। এজন্যই আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে আমাদের এই ভ্রমণটা ভালো ছিল।’
সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে খুব বেশি সময় পাবেন না লিটনরা। দ্রুতই যেতে হবে আরব আমিরাতে। আগামী মঙ্গলবারই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। এশিয়া কাপের লক্ষ্য নিয়ে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কিছু বললেন না লিটন ‘এশিয়া কাপে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। ভালো ক্রিকেট খেললেই জেতা যাবে।’ ‘দল যখন একটির পর একটি সিরিজ খেলছে এবং ভালো ফল করছে, তার মানে সঠিক জায়গাতেই আছে। এখন মূল ব্যাপার হলো- বড় ইভেন্টে গিয়ে খেলোয়াড়রা কীভাবে পারফর্ম করছেন, কীভাবে নার্ভ ধরে রাখছেন, কীভাবে ম্যাচে বাস্তবায়ন করছেন। সেসবই এখন দেখার ব্যাপার।’
‘নেতৃত্ব অনেক উপভোগ করছি’
টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে এখন মোটামুটি অভিজ্ঞই বলা যায় লিটন কুমার দাসকে। এ সংস্করণে জয়ের দিক থেকে দেশের তৃতীয় সফল অধিনায়কও হয়ে গেছেন যৌথভাবে। নেতৃত্বের বাড়তি চাপ লিটন খুব উপভোগ করেন না বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আলোচনা হয়েছে। এত পথ পেরিয়ে পুরনো এক প্রসঙ্গ শুনে যেন একটু বিরক্তই হলেন তিনি। সেই বিরক্তির রেশ কণ্ঠে ফুটিয়ে তুলে তার পরামর্শ, ‘শোনা কথায় কান না দেয়া ভালো।’
‘আমার মুখ থেকে কখনও কি শুনেছেন যে আমি (অধিনায়কত্ব) উপভোগ করি কী করি না? কাজেই কিছু কিছু সময় শোনা কথায় কান না দেয়া ভালো।’
‘আমি অনেক উপভোগ করি (অধিনায়কত্ব)। উপভোগ করি বলেই দায়িত্বটি নিয়েছি। পিঠেপিঠি কয়েকটি সিরিজ আমরা ভালো ক্রিকেটও খেলছি। আমি পারফর্ম করছি, এটাও দলের জন্য দরকার কারণ নেতা যখন পারফর্ম করে না, দল মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকে। সেদিক থেকে বলবো, আমার দলের যেহেতু সবাই পারফর্ম করছে, আমারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যেন ইনপুট দিতে পারি (ব্যাট হাতে), পারফর্ম যেন করতে পারি। সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি যে দলের একটি অংশ হিসেবে প্রভাব রাখতে পারছি।’
জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও তিন ম্যাচে লিটনের মোট রান ছিল ১৭। সেটি পেছনে ফেলে ডাচদের বিপক্ষে রানে ফেরেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেন অপরাজিত ৫৪ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। শেষ ম্যাচে গতকাল বুধবার করেন ৭৩ রান। সিরিজ সেরার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশ অধিনায়কই।
তার নেতৃত্বে ১৯ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এ সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে জয়ের সংখ্যায় তিনি স্পর্শ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাশরাফির নেতৃত্বে ২৮ ম্যাচে ১০ জয় ছিল বাংলাদেশের, শান্তর নেতৃত্বে ২৪ ম্যাচে ১০টি।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ৩৯ ম্যাচের ১৬টি জিতেছে বাংলাদেশ, মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ৪৩ ম্যাচে ১০টি।
‘হৃদয় বড় ম্যাচের ক্রিকেটার’
তাওহিদ হৃদয়ের ফর্ম নিয়ে একদমই চিন্তিত নন জানিয়ে এশিয়া কাপে গিয়ে এ ব্যাটার জ্বলে উঠবেন বলেই বিশ্বাস অধিনায়কের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান হৃদয়। কিন্তু করেন ১৪ বলে ৯ রান।
সিরিজের আগের দুই ম্যাচে তিনি ব্যাটিং পাননি। এর আগে পাকিস্তান সিরিজে এক ম্যাচে ৩৬ রান করতে বল খেলেছিলেন ৩৭টি। অন্য ম্যাচে বিদায় নেন শূন্যতে।
সব মিলিয়ে দেশের হয়ে সর্বশেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে তিনি ৪০ ছুঁতে পারেননি। তবে ডাচদের বিপক্ষে সিরিজ শেষে লিটনের সাফ কথা, হৃদয়কে নিয়ে তার কোনো দুর্ভাবনা নেই। ‘এরকম স্ট্রাগল আসতে পারে। আমি এটা নিয়ে একদমই চিন্তিত নই। আমি জানি, আমাদের দলের জন্য হৃদয় কী করতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আমার পুরো বিশ্বাস আছে, সে এশিয়া কাপে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে।’
নিজেকে দিয়েই হৃদয়ের ভোগান্তি আড়াল করতে চাইলেন অধিনায়ক। ‘আজ হৃদয় দুর্ভাগ্য ছিল, যখন ও ব্যাটিংয়ে নেমেছে, দুই দিকেই বাঁহাতি স্পিনার বোলিং করছিল এবং তারা উইকেট থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছিল। হৃদয়কে নিয়ে আমার একদমই দুর্ভাবনা নেই। আমার মনে হয়, সে বড় ম্যাচের ক্রিকেটার এবং সে ঘুরে দাঁড়াবে।’
সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ দল
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ প্রত্যাশিতভাবে জয় দিয়ে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শেষ করলো বাংলাদেশ। এবার মূল অভিযান শুরুর অপেক্ষা। সেই পরীক্ষা শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেন, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের জন্য এখন তারা তৈরি। গতকাল বুধবার সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘সবদিক থেকেই আমার মনে হয়, সিরিজটি আমাদের জন্য ইতিবাচক হয়েছে।’
‘মনে হয়, এশিয়া কাপের জন্য আমরা খুব ভালোভাবেই প্রস্তুত। এ সিরিজের আগে আমরা যে ক্যাম্পটা করেছি, সেটা শুধু এ সিরিজের জন্য নয়, সামনে যতগুলো খেলা থাকবে, সেসবের জন্যও আমরা প্রস্তুত কারণ এত ভালো ক্যাম্প আমি কখনও দেখিনি। ফিটনেস তো মিরপুরে থেকেও করা যায়। কিন্তু যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলতে চাচ্ছি, যে ধরনের অনুশীলন আমরা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা সিলেটেই পাওয়া গেছে। এজন্যই আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে আমাদের এই ভ্রমণটা ভালো ছিল।’
সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে খুব বেশি সময় পাবেন না লিটনরা। দ্রুতই যেতে হবে আরব আমিরাতে। আগামী মঙ্গলবারই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। এশিয়া কাপের লক্ষ্য নিয়ে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কিছু বললেন না লিটন ‘এশিয়া কাপে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। ভালো ক্রিকেট খেললেই জেতা যাবে।’ ‘দল যখন একটির পর একটি সিরিজ খেলছে এবং ভালো ফল করছে, তার মানে সঠিক জায়গাতেই আছে। এখন মূল ব্যাপার হলো- বড় ইভেন্টে গিয়ে খেলোয়াড়রা কীভাবে পারফর্ম করছেন, কীভাবে নার্ভ ধরে রাখছেন, কীভাবে ম্যাচে বাস্তবায়ন করছেন। সেসবই এখন দেখার ব্যাপার।’
‘নেতৃত্ব অনেক উপভোগ করছি’
টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে এখন মোটামুটি অভিজ্ঞই বলা যায় লিটন কুমার দাসকে। এ সংস্করণে জয়ের দিক থেকে দেশের তৃতীয় সফল অধিনায়কও হয়ে গেছেন যৌথভাবে। নেতৃত্বের বাড়তি চাপ লিটন খুব উপভোগ করেন না বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আলোচনা হয়েছে। এত পথ পেরিয়ে পুরনো এক প্রসঙ্গ শুনে যেন একটু বিরক্তই হলেন তিনি। সেই বিরক্তির রেশ কণ্ঠে ফুটিয়ে তুলে তার পরামর্শ, ‘শোনা কথায় কান না দেয়া ভালো।’
‘আমার মুখ থেকে কখনও কি শুনেছেন যে আমি (অধিনায়কত্ব) উপভোগ করি কী করি না? কাজেই কিছু কিছু সময় শোনা কথায় কান না দেয়া ভালো।’
‘আমি অনেক উপভোগ করি (অধিনায়কত্ব)। উপভোগ করি বলেই দায়িত্বটি নিয়েছি। পিঠেপিঠি কয়েকটি সিরিজ আমরা ভালো ক্রিকেটও খেলছি। আমি পারফর্ম করছি, এটাও দলের জন্য দরকার কারণ নেতা যখন পারফর্ম করে না, দল মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকে। সেদিক থেকে বলবো, আমার দলের যেহেতু সবাই পারফর্ম করছে, আমারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যেন ইনপুট দিতে পারি (ব্যাট হাতে), পারফর্ম যেন করতে পারি। সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি যে দলের একটি অংশ হিসেবে প্রভাব রাখতে পারছি।’
জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও তিন ম্যাচে লিটনের মোট রান ছিল ১৭। সেটি পেছনে ফেলে ডাচদের বিপক্ষে রানে ফেরেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেন অপরাজিত ৫৪ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। শেষ ম্যাচে গতকাল বুধবার করেন ৭৩ রান। সিরিজ সেরার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশ অধিনায়কই।
তার নেতৃত্বে ১৯ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এ সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে জয়ের সংখ্যায় তিনি স্পর্শ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাশরাফির নেতৃত্বে ২৮ ম্যাচে ১০ জয় ছিল বাংলাদেশের, শান্তর নেতৃত্বে ২৪ ম্যাচে ১০টি।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ৩৯ ম্যাচের ১৬টি জিতেছে বাংলাদেশ, মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ৪৩ ম্যাচে ১০টি।
‘হৃদয় বড় ম্যাচের ক্রিকেটার’
তাওহিদ হৃদয়ের ফর্ম নিয়ে একদমই চিন্তিত নন জানিয়ে এশিয়া কাপে গিয়ে এ ব্যাটার জ্বলে উঠবেন বলেই বিশ্বাস অধিনায়কের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান হৃদয়। কিন্তু করেন ১৪ বলে ৯ রান।
সিরিজের আগের দুই ম্যাচে তিনি ব্যাটিং পাননি। এর আগে পাকিস্তান সিরিজে এক ম্যাচে ৩৬ রান করতে বল খেলেছিলেন ৩৭টি। অন্য ম্যাচে বিদায় নেন শূন্যতে।
সব মিলিয়ে দেশের হয়ে সর্বশেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে তিনি ৪০ ছুঁতে পারেননি। তবে ডাচদের বিপক্ষে সিরিজ শেষে লিটনের সাফ কথা, হৃদয়কে নিয়ে তার কোনো দুর্ভাবনা নেই। ‘এরকম স্ট্রাগল আসতে পারে। আমি এটা নিয়ে একদমই চিন্তিত নই। আমি জানি, আমাদের দলের জন্য হৃদয় কী করতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আমার পুরো বিশ্বাস আছে, সে এশিয়া কাপে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে।’
নিজেকে দিয়েই হৃদয়ের ভোগান্তি আড়াল করতে চাইলেন অধিনায়ক। ‘আজ হৃদয় দুর্ভাগ্য ছিল, যখন ও ব্যাটিংয়ে নেমেছে, দুই দিকেই বাঁহাতি স্পিনার বোলিং করছিল এবং তারা উইকেট থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছিল। হৃদয়কে নিয়ে আমার একদমই দুর্ভাবনা নেই। আমার মনে হয়, সে বড় ম্যাচের ক্রিকেটার এবং সে ঘুরে দাঁড়াবে।’