জোড়া গোল করে বিশ্বকাপের আগে অবসরের জল্পনা উস্কে দিলেন
আগামী বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয় লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপ না খেললে দেশের হয়ে সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন তিনি। ভেনেজুয়েলা ম্যাচে আবেগ তাকে ছুঁলেও খেলায় প্রভাব পড়তে দেননি।
দেশের মাটিতে সম্ভবত শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলে ফেললেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে ভিজল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়কের চোখও। সেই আবেগের ছাপ অবশ্য মাঠের পারফরমেন্সে পড়েনি। জোড়া গোল করলেন। শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তার দল জিতলো ৩-০ ব্যবধানে। সবশেষে মেসি জানান, বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা জানেন না।
দেশের মাটিতে মেসির যুগ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত আগেই ছিল। আর্জেন্টিনার মাটিতে শেষবার প্রিয় অধিনায়কের খেলা দেখতে বুয়েন্স আয়ার্স স্টেডিয়ামের গ্যালারি হাজির ছিলেন ভক্তরা। ছিল মেসির সন্তানেরাও। ভর্তি গ্যালারির সামনে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মেসি। খেলা শুরুর আগে তার চোখের কোণ চিকচিক করছিল। মুখে স্পষ্ট ছিল বিষন্নতার ছাপ। খেলা শেষ হওয়ার পর নিজেই উস্কে দিলেন অবসরের জল্পনা। জানান, তার আগামী বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয়।
এলএমটেন আগেই জানিয়েছিলেন, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটা তার কাছে আলাদা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার মধ্যেই লুকিয়েছিল ইঙ্গিত। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবু নিয়মরক্ষার ভেনেজুয়েলা ম্যাচকে মেসির বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল অবসরের বার্তা।
খেলায় অবশ্য আবেগের কোনো ছাপ পড়তে দেননি মেসি। স্বভাবসুলভ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ম্যাচের প্রথম গোলটিও এসেছে তার পা থেকেই। ৩৯ মিনিটে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় ভেনেজুয়েলার জালে বল জড়িয়ে দেন। মেসি গোল করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। ম্যাচের দ্বিতীয় গোল ৭৬ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেসের। এর ৪ মিনিট পর ম্যাচের ৮০ মিনিটে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল। এবারও সেই মেসি। দলের জয় নিশ্চিত করেন নিজের দ্বিতীয় গোলে।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়। মেসির জোড়া গোল। গোটা স্টেডিয়াম যখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে, তখনই অবসরের জল্পনা আবার উস্কে দেন মেসি।
খেলা শেষ হওয়ার পর বলেন, ‘বয়সের কথা মাথায় রাখলে, যুক্তি মানলে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে পারবো না। তবে বিশ্বকাপ কাছেই এসে গিয়েছে। আমিও খেলতে আগ্রহী। এখন প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাইছি। মাঠে নেমে যদি ফুটবল উপভোগ করতে না পারি, তাহলে নিজেই সরে যাবো।’
সরে যাবেন মানে তো অবসর! বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার কোনো সূচি নেই। ফলে নিজের দেশে আকাশি নীল-সাদা স্ট্রাইপ জার্সি গায়ে আর খেলার সুযোগ নেই মেসির। তার কথা থেকেই পরিষ্কার, বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত। খেললেও তারপর হয়তো আর টানবেন না আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবন। আর্জেন্টিনার ফুটবলকর্তারা মেসির জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা করলে আলাদা কথা।
আগামী মঙ্গলবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, যা হবে এই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ।
জোড়া গোল করে বিশ্বকাপের আগে অবসরের জল্পনা উস্কে দিলেন
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামী বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয় লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপ না খেললে দেশের হয়ে সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন তিনি। ভেনেজুয়েলা ম্যাচে আবেগ তাকে ছুঁলেও খেলায় প্রভাব পড়তে দেননি।
দেশের মাটিতে সম্ভবত শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলে ফেললেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে ভিজল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়কের চোখও। সেই আবেগের ছাপ অবশ্য মাঠের পারফরমেন্সে পড়েনি। জোড়া গোল করলেন। শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তার দল জিতলো ৩-০ ব্যবধানে। সবশেষে মেসি জানান, বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা জানেন না।
দেশের মাটিতে মেসির যুগ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত আগেই ছিল। আর্জেন্টিনার মাটিতে শেষবার প্রিয় অধিনায়কের খেলা দেখতে বুয়েন্স আয়ার্স স্টেডিয়ামের গ্যালারি হাজির ছিলেন ভক্তরা। ছিল মেসির সন্তানেরাও। ভর্তি গ্যালারির সামনে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মেসি। খেলা শুরুর আগে তার চোখের কোণ চিকচিক করছিল। মুখে স্পষ্ট ছিল বিষন্নতার ছাপ। খেলা শেষ হওয়ার পর নিজেই উস্কে দিলেন অবসরের জল্পনা। জানান, তার আগামী বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয়।
এলএমটেন আগেই জানিয়েছিলেন, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটা তার কাছে আলাদা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার মধ্যেই লুকিয়েছিল ইঙ্গিত। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবু নিয়মরক্ষার ভেনেজুয়েলা ম্যাচকে মেসির বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল অবসরের বার্তা।
খেলায় অবশ্য আবেগের কোনো ছাপ পড়তে দেননি মেসি। স্বভাবসুলভ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ম্যাচের প্রথম গোলটিও এসেছে তার পা থেকেই। ৩৯ মিনিটে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় ভেনেজুয়েলার জালে বল জড়িয়ে দেন। মেসি গোল করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। ম্যাচের দ্বিতীয় গোল ৭৬ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেসের। এর ৪ মিনিট পর ম্যাচের ৮০ মিনিটে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল। এবারও সেই মেসি। দলের জয় নিশ্চিত করেন নিজের দ্বিতীয় গোলে।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়। মেসির জোড়া গোল। গোটা স্টেডিয়াম যখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে, তখনই অবসরের জল্পনা আবার উস্কে দেন মেসি।
খেলা শেষ হওয়ার পর বলেন, ‘বয়সের কথা মাথায় রাখলে, যুক্তি মানলে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে পারবো না। তবে বিশ্বকাপ কাছেই এসে গিয়েছে। আমিও খেলতে আগ্রহী। এখন প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাইছি। মাঠে নেমে যদি ফুটবল উপভোগ করতে না পারি, তাহলে নিজেই সরে যাবো।’
সরে যাবেন মানে তো অবসর! বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার কোনো সূচি নেই। ফলে নিজের দেশে আকাশি নীল-সাদা স্ট্রাইপ জার্সি গায়ে আর খেলার সুযোগ নেই মেসির। তার কথা থেকেই পরিষ্কার, বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত। খেললেও তারপর হয়তো আর টানবেন না আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবন। আর্জেন্টিনার ফুটবলকর্তারা মেসির জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা করলে আলাদা কথা।
আগামী মঙ্গলবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, যা হবে এই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ।